বান্দরবানের রুমা উপজেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান কেওক্রাডং আগামী ১ অক্টোবর থেকেই পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে। সোমবার  (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বান্দরবান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, জেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং সমন্বয় সংক্রান্ত কোর কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক কেওক্রাডং পাহাড়চূড়ায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আগামী ১ অক্টোবর থেকে পর্যটকরা কেওক্রাডং যেতে পারবেন। গণবিজ্ঞপ্তিতে পর্যটকদের ৬টি নির্দেশনা মানতে হবে বলে জানানো হয়েছে। সেগুলো হলো-

ক) সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় রুমা উপজেলার যেসব পর্যটনকেন্দ্র উন্মুক্ত করা হয়েছে সেসব ব্যতীত উপজেলার অন্য জায়গায় পর্যটকদের গমনাগমন নিষিদ্ধ থাকবে।

খ) জেলা/উপজেলা প্রশাসনের নিবন্ধিত ট্যুর গাইড ব্যতীত ভ্রমণ করা যাবে না।

গ) পর্যটনকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট চেকপোস্ট অথবা পর্যটন তথ্য সেবা কেন্দ্রে চাহিত তথ্য অবশ্যই সরবরাহ করতে হবে।

ঘ) পর্যটক কর্তৃক উপর্যুক্ত নির্দেশনাসমূহ অমান্য করা হলে তাৎক্ষণিক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ/নিকটবর্তী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবগত করতে হবে।

ঙ) পাহাড়ি রাস্তায় চলাচলের অনুপযোগী ও ফিটনেস বিহীন সকল যানবাহন উল্লিখিত পর্যটনকেন্দ্রসমূহে চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে এবং পর্যটকবাহী সকল যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে উপজেলা প্রশাসন বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

চ) অযাচিত যেকোনো ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট পর্যটন সংস্থার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং পর্যটন শিল্পের ওপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

এর আগে, গত শনিবার বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক বলেছিলেন, ১ অক্টোবর থেকে কেওক্রাডং খুলে দেওয়া হবে।

তবে তার এক দিন পরেই ১ অক্টোবর থেকে পর্যটকরা কেওক্রাডং যেতে পারবেন না জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের আরো পর্যবেক্ষণ করা দরকার। খুলে দেওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন রকমের তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের ক্লিয়ারেন্স এখনো হাতে পাইনি। সবকিছু পজিটিভ হলে আমরা গণবিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে জানিয়ে দিব।

সোমবার গণবিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে কেওক্রাডং পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হলো।

২০২৩ সালের সশস্ত্র সংগঠন ‘কুকি-চিন’ ইস্যুকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বান্দরবানের রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে রোয়াংছড়ির দেবতাখুম, থানচি তিন্দু পর্যন্ত এবং রুমার বগালেক পর্যটনকেন্দ্র পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। তবে, কিউক্রাডং ভ্রমণের ক্ষেত্রে এতদিন বিধিনিষেধ কার্যকর ছিল।

ঢাকা/চাই মং/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উন ম ক ত উপজ ল ভ রমণ

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে আজও অবরোধ চলছে, স্থবির জনজীবন

খাগড়াছড়িতে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’-এর ব্যানারে ডাকা সড়ক অবরোধ আজ মঙ্গলবারও অব্যাহত রয়েছে। জেলার চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি ও ঢাকা-খাগড়াছড়ি সড়কে অবরোধ শিথিল করা হলেও দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু হয়নি। অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতেও অল্পসংখ্যক অটোরিকশা-ইজিবাইক চলাচল করছে। প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারাও বহাল রয়েছে জেলার সদর ও গুইমারা উপজেলায়।

পাহাড়ি এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর এর প্রতিবাদে জুম্ম ছাত্র-জনতা এ অবরোধের ডাক দেয়। অবরোধ কর্মসূচি চলাকালেই গত রোববার বিক্ষোভ ও সহিংসতায় রণক্ষেত্র পরিণত হয় খাগড়াছড়ির গুইমারার রামেসু বাজার। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে অবরোধকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ছিল স্থানীয় একটি পক্ষ। এ সময় গুলিতে তিনজনের মৃত্যু হয়। তাঁরা তিনজনই পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর। সেনাবাহিনীর মেজরসহ আহত হন অন্তত ২০ জন।

আজ সকালে খাগড়াছড়ি পৌর শহরের শাপলা চত্বর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন। অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। সড়কে মানুষের হাঁটাচলাও তেমন নেই। একাধিক ব্যক্তি একসঙ্গেই দেখলেই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শহরে কেবল কয়েকটি টমটম চলাচল করতে দেখা গেছে।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বলেন, জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল রয়েছে। গতকাল সোমবার থেকে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গত শনিবার খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এরপর সদর উপজেলা, পৌরসভা এলাকা এবং গুইমারা উপজেলায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখার উদ্দিন খন্দকার বলেন, অবরোধ তুলে না নেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বহাল থাকবে।

খাগড়াছড়ি পৌরশহরে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আজ সকালে তোলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পূজার ছুটিতে বান্দরবানে পর্যটকের ভিড়
  • অনীষাদের পূজার আনন্দ বাড়িয়ে দিলেন প্রধান উপদেষ্টার সহকারী
  • ইউনেসকো–ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের মধ্যে কোনগুলো পর্যটকদের সবচেয়ে বেশি টানে
  • উন্মুক্ত কেওক্রাডং, স্বস্তিতে পর্যটন ব্যবসায়ীরা 
  • চার দিন পর স্বাভাবিক যান চলাচল, জনজীবনে স্বস্তি
  • পূজামণ্ডপের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা জানতে ও ব্যবস্থা নিতে ‘শারদীয় সুরক্ষা অ্যাপ’ চালু এনটিএমসির
  • দুর্গাপূজা যাতে শান্তিপূর্ণ না হতে পারে, সে জন্যই খাগড়াছড়ির ঘটনা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • চালু থাকছে লাইফগার্ড সেবা, পর্যটকদের স্বস্তি
  • সৌন্দর্যের মায়াবি হাতছানিতে পর্যটকদের কাছে ডাকছে শ্রীমঙ্গল
  • খাগড়াছড়িতে আজও অবরোধ চলছে, স্থবির জনজীবন