বাংলাদেশের অন্যতম শিল্প গ্রুপ দেশবন্ধু গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান দেশবন্ধু ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে তাদের জনপ্রিয় এনার্জি ড্রিংক গুরু কার্বোনেটেড বেভারেজ এখন পাওয়া যাবে মাত্র ২০ টাকায়, যা আগে ছিল ২৫ টাকা। অর্থাৎ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনতেই পাঁচ টাকা কমানো হয়েছে পণ্যটির দাম।

দেশের ভোক্তাদের চাহিদা ও সুবিধাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশবন্ধু ফুড অ্যান্ড বেভারেজ। সতেজতা ও বাড়তি শক্তির প্রতিশ্রুতি নিয়ে বাজারে আসা গুরু কার্বোনেটেড বেভারেজ অল্প সময়েই তরুণদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। নতুন এই মূল্য নির্ধারণের মাধ্যমে আরো বেশি গ্রাহক সহজেই উপভোগ করতে পারবেন মানসম্মত এনার্জি ড্রিংক।

গত বুধবার এ উপলক্ষে রাজধানীর বনানী দেশবন্ধু গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিল্পপতি গোলাম রহমান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশন, অ্যাডমিন, এইচআর ও কমপ্লায়েন্স) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.

) মো. জাকির হোসেন পিএসসি, উপদেষ্টা কাজী হাসান আহমেদ, দেশবন্ধু ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সিওও মো. ইদ্রিসুর রহমান। প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড ব্যবস্থাপক, জিএম ও দেশবন্ধু গ্রুপের অন্য কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে দেশবন্ধু গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিল্পপতি গোলাম রহমান বলেন, “দেশবন্ধু গ্রুপ সব সময় ভোক্তাদের জন্য সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গুরু কার্বোনেটেড বেভারেজের নতুন মূল্য আমাদের সেই প্রতিশ্রুতিরই বহিঃপ্রকাশ।”-বিজ্ঞপ্তি

ঢাকা/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ শবন ধ ব যবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর

বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!

কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।

চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!

চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।

এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)

সম্পর্কিত নিবন্ধ