মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) আজ শিকাগো ফায়ারের কাছে ৫–৩ গোলে হেরেছে ইন্টার মায়ামি। লিওনেল মেসি পুরো সময় মাঠে থেকেও দলের বড় হার এড়াতে পারেননি। হতাশায় মাঠ ছেড়েছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। তবে এমন হারে সমর্থকদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, ক্যারিয়ারে এ নিয়ে কতবার পাঁচ গোল হজম করলেন মেসি?

ফুটবল যেহেতু দলীয় খেলা, তাই গোল হজমের বিষয়টি আসলে ব্যক্তির নয় দলের। তাই প্রশ্নটি এমন হলে ভালো, নিজ দলের হয়ে ক্যারিয়ারে কতবার মেসি পাঁচ গোল হজম করেছেন? উত্তর জানিয়েছে আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস—তিনবার।

টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছে, শিকাগো ফায়ারের কাছে ৫–৩ গোলের হারসহ এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ক্যারিয়ারে এক ম্যাচে পাঁচ গোল হজম করলেন মেসি।

আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি প্রথম পাঁচ গোল হজম করেন জাতীয় দলের জার্সিতে। সেটা ২০১০ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে। ২০০৯ সালের ১ এপ্রিল লা পাজে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে স্বাগতিক বলিভিয়ার বিপক্ষে ৬–১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল আর্জেন্টিনা। সুমদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৫৭৭ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত লা পাজ স্টেডিয়ামের সেই ম্যাচে তৎকালীন কোচ ডিয়েগো ম্যারাডোনোর হাত ধরে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে হারের সম্মুখীন হয়েছিল আর্জেন্টিনা।

পুরো সময় মাঠে থেকেই আজ গোল পাননি মেসি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ গ ল হজম আর জ ন ট

এছাড়াও পড়ুন:

এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর

বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!

কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।

চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!

চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।

এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)

সম্পর্কিত নিবন্ধ