মাদ্রাসায় আধুনিক শিক্ষার উপাদানগুলোও সংযোজন করতে হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
Published: 1st, October 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার বলেছেন, ধর্মীয় শিক্ষা অবশ্যই মাদ্রাসাশিক্ষার কেন্দ্রবিন্দু থাকবে, তবে শিক্ষার্থীদের কর্মদক্ষতা বাড়াতে আধুনিক শিক্ষার উপাদানগুলোও সংযোজন করতে হবে। এ জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একাধিক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, ঢাকার ২৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিক্ষা উপদেষ্টা। ১৭৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার ২৪৬ বছরের ইতিহাসকে স্মরণ করে শিক্ষা উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে বলেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় মাদ্রাসাশিক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। লাখ লাখ শিক্ষার্থী এখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই এই শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী, বাস্তবমুখী এবং আধুনিক রূপে গড়ে তুলতে। মাদ্রাসাশিক্ষার ঐতিহ্যে যুক্তিবিদ্যা, জ্যোতির্বিদ্যা, বিজ্ঞানচর্চা ও ধর্মবিদ্যা একসঙ্গে ছিল। আমরা চাই এই ধারাকে পুনরুজ্জীবিত করে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঙ্গে ধর্মীয় শিক্ষার একটি সমন্বিত রূপ তৈরি করতে।’
আরও পড়ুনজাহাঙ্গীরনগরের সামিয়া ইসলাম চার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কেন অক্সফোর্ডকেই বেছে নিলেন৮ ঘণ্টা আগেঅধ্যাপক সি আর আবরার বলেন, অ্যালামনাইদের অংশগ্রহণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে এক বড় ভূমিকা রাখতে পারে। রাষ্ট্রের পাশাপাশি সমাজকেও এগিয়ে আসতে হবে এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানগুলোর অগ্রগতিতে অবদান রাখতে।
শিক্ষকের সংকট, অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা, শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা, বিশুদ্ধ পানি ও পরিবহনের সংকটসহ বিভিন্ন বিষয় দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন শিক্ষা উপদেষ্টা।
সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ওবায়দুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুনবেসরকারি স্কুল-কলেজে কর্মচারী নিয়োগে ক্ষমতা হারাল পরিচালনা পর্ষদ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়
ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।
পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।
ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি এখন সারানো হয়েছে।
ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।
ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।
ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে। পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’
ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’
ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।
আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে