বিহারের ভোটের আগে মোদির জিএসটি রাজনীতি
Published: 1st, October 2025 GMT
আট বছর পর অবশেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মেনে নিলেন, এত দিন ধরে বিরোধীদের করা সমালোচনা যথার্থ ছিল। যথার্থ ছিল বলেই সোমবার থেকে দেশের সর্বত্র পণ্য ও পরিষেবা করের (জিএসটি) হার চারটি থেকে কমিয়ে প্রধানত দুটি ধাপ করা হলো।
গত রোববার সন্ধ্যায় সে ঘোষণাই নতুনভাবে জাতিকে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি কৃতিত্ব দাবি করে বলেছেন, এর ফলে বছরে দেশবাসীর সাশ্রয় হবে আড়াই লাখ কোটি টাকা।
এত দিন ধরে জিএসটির ধাপ ছিল চারটি। সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ, তারপর পণ্য অনুযায়ী ১২, ১৮ ও ২৮ শতাংশ হারে কর ধার্য হতো। সোমবার কাঠামো সরলীকরণের পর করের হার নামিয়ে আনা হলো প্রধানত দুই ধাপে। ৫ ও ১৮ শতাংশ।
এর বাইরে রাখা হয়েছে আর একটি হার, ৪০ শতাংশ। যার মধ্যে ফেলা হয়েছে পানমসলা বা ক্যাফিনেটেড পানীয়র মতো স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকর দ্রব্যের পাশাপাশি উচ্চ মানের যানবাহন, ব্যয়বহুল ভোগ্যপণ্য, ক্যাসিনো বা জুয়ার মতো বিষয়, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গে যুক্ত নয়।
শুরু থেকেই দুধ, রুটিসহ বেশ কিছু নিত্যব্যবহার্য পণ্য শূন্য করের আওতায় ছিল। এবার তার বহর বাড়ানো হয়েছে। অথচ সত্য হলো আট বছর ধরে কংগ্রেসসহ বিরোধীদলীয় নেতারা ক্রমাগত এ ভ্রান্ত করকাঠামোর সমালোচনাই শুধু করেননি, নতুন বিন্যাসের দাবিও জানিয়ে আসছিলেন।
আরও পড়ুনট্রাম্পের ধাক্কায় হতভম্ব মোদি যে কঠিন শিক্ষা নিচ্ছেন০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫‘গব্বর সিং ট্যাক্স’কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী জিএসটির নাম দিয়েছিলেন ‘গব্বর সিং ট্যাক্স’। শোলে সিনেমার ডাকু গব্বর সিংয়ের ভয়ে গ্রামবাসী যেভাবে তাদের উৎপাদিত শস্য ও অর্থ তুলে দিত, এই অভিন্ন করব্যবস্থাকে তার সঙ্গে তুলনা করে রাহুলসহ বিরোধীরা বলেছিলেন, তড়িঘড়ি এ ব্যবস্থা চালু করার ফলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি মাপের ব্যবসায়ীরা পথে বসছেন। ভ্রান্তিতে ভরা জিএসটি ভারতীয় অর্থনীতিকে ধসিয়ে দিয়ে পরমুখাপেক্ষী করে তুলেছে।
করব্যবস্থা চারটি ধাপ থেকে দুটিতে নামিয়ে এনে মোদি সরকার সেই ভুল শোধরাতে সচেষ্ট হয়েছে। যদিও কৃতিত্বের দাবি বিরোধীদের দিতে রাজি নন।
জাতির প্রতি ভাষণে বারবার তিনি (মোদি) মনে করিয়ে দিয়েছেন, তাঁর সরকারের এ সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষের হাতে আরও বেশি টাকা আসবে। জিনিসপত্রের দাম কমে অর্থ সাশ্রয় হবে। তাতে বাজারের চাহিদা বাড়বে। অর্থনীতি উপকৃত হবে।
কিন্তু তাই বলে নিজেকে সমালোচনা থেকে মোদি রক্ষা করতে পারেননি।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে মনে করিয়ে দিয়েছেন, এত দিন ধরে এ জটিলতা কাটানোর দাবিই তাঁরা করে আসছিলেন। অথচ সিদ্ধান্তে অনড় থেকে মোদি সরকার এই আট বছরে ৫৫ লাখ কোটি টাকা আদায় করেছে। আজ বাধ্য হয়ে ভুল সংশোধনের পথে এগিয়ে সরকার আড়াই লাখ কোটি টাকা সাশ্রয়ের ঢাক পেটাচ্ছে! খাড়গে বলেছেন, গভীর ক্ষত আপনারই সৃষ্টি। এখন সেই ক্ষতে ব্যান্ডএইড লাগানোর চেষ্টা করছেন।
একই কথা সামান্য ঘুরিয়ে কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেছেন, মোদির জিএসটি আসলে ‘গ্রোথ সাপ্রেসিং ট্যাক্স’ বা প্রবৃদ্ধি বন্ধের কর। তিনি বলেন, ‘২০১৭ সাল থেকে আমরা এই কর সরলীকরণের দাবি জানিয়ে এসেছি। এমনকি ২০২৪ সালে কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতেও (ন্যায়পত্র) তা রাখা হয়েছিল।’
তৃণমূল নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এই ভুল করকাঠামোর জন্য পশ্চিমবঙ্গ ২০ হাজার কোটি টাকা লোকসান করেছে। আমরা যে দাবি এত দিন ধরে জানিয়ে আসছি, আজ তা মেনে প্রধানমন্ত্রী কৃতিত্ব নিচ্ছেন।’
আম আদমি পার্টির নেতা সঞ্জয় সিংয়ের দাবি, যে লুট মোদি সরকার এত বছর করেছে, তা জনগণকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
অভিন্ন করকাঠামোর কথা ভেবেছিলেন বাজপেয়ীঅটল বিহারি বাজপেয়ী ১৯৯৯ সালে সারা দেশে অভিন্ন পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) কাঠামোর কথা প্রথম ভেবেছিলেন। সে ভাবনা বাস্তবায়ন করতে ২০০০ সালে তৎকালীন অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ বিজয় কেলকরের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। জিএসটি মডেল তাঁরই সৃষ্টি।
সেই মডেল অনুযায়ী গড়ে তোলা হয় জিএসটি কাউন্সিল, যার চেয়ারম্যান করা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্তকে। পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রে সরকার বদল হলেও জিএসটি নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলোর মধ্যে আলোচনা অব্যাহত থাকে।
২০০৬ সালে কংগ্রেসের জমানায় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম বাজেট ভাষণে জিএসটির প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেছিলেন। ২০০৯ সালে বিভিন্ন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে গঠিত এমপাওয়ার্ড কমিটি জিএসটি নিয়ে প্রথম ‘ডায়ালগ পেপার’ প্রস্তুত ও পেশ করে।
২০১১ সালে এ নিয়ে লোকসভায় প্রথম পেশ করা হয় সংবিধান সংশোধন বিল। তা নিয়ে আলোচনায় সহমত হতে হতে চলে আসে ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচন। ক্ষমতায় আসেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি নতুনভাবে পেশ করেন ১২২তম সংবিধান সংশোধন বিল। সেই বিল পাস হয় ২০১৬ সালে।
আরও পড়ুনমাওবাদীদের বিরুদ্ধে বিজেপি সরকারের এই ‘সর্বাত্মক যুদ্ধ’ কেন২৪ মে ২০২৫নেহরুর ‘সমকক্ষ’ হতে চেয়েছিলেন মোদিওই বছর নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী মোদি আচমকাই ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বাতিল করে দেন। ভারতীয় অর্থনীতিতে সেটি ছিল এক প্রবল ধাক্কা। অর্থনীতিকে কালোটাকার কবল থেকে বাঁচানো ও সন্ত্রাসবাদীদের শায়েস্তা করা ছিল তাঁর সেই সিদ্ধান্তের মূল দুই লক্ষ্য।
দুই লক্ষ্যের একটিও সফল হয়নি। কিন্তু বহুদিন পর্যন্ত মানুষকে হয়রান হতে হয়েছে। সেটি ছিল অর্থনীতির ওপর এক বিরাট ধাক্কা।
পরের বছর ৩০ জুন রাত ১১টা ১৫ মিনিটে সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে প্রধানমন্ত্রী ২৩ মিনিটের ভাষণে জিএসটির প্রয়োজনীয়তা ও উপকারিতা বর্ণনা করেন। এরপর ২২ মিনিট ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। রাত ১২টায় ঘণ্টা বাজিয়ে জিএসটি চালু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বিরোধীরা ওই অনুষ্ঠান বর্জন করেছিলেন; কিন্তু তাতে জওহরলাল নেহরুর ‘সমকক্ষ’ হওয়ায় বাধা পড়েনি মোদির।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি শেষ পর্যন্ত ভারতের পক্ষে কতটা ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে, তা এখনো অজানা। রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার জন্য অতিরিক্ত যে ২৫ শতাংশ শুল্ক জরিমানা হিসেবে ধার্য হয়েছে, তা তুলে নেওয়ার কোনো ইঙ্গিত মার্কিন মুলুক থেকে এখনো আসেনি। তার ওপর নতুন চিন্তা এইচ–১বি ভিসা নীতি।১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট মধ্যরাতে এই সেন্ট্রাল হল থেকেই স্বাধীনতা প্রাপ্তির ঘোষণা করেছিলেন নেহরু। বিখ্যাত হয়ে রয়েছে তাঁর সেই ‘ট্রিস্ট উইথ ডেসটিনি’ ভাষণ। জিএসটির ঘোষণা করে মোদিও নিজেকে সেই কাতারে বসিয়েছিলেন।
সেই থেকে থেমে থাকেনি জিএসটি পর্যালোচনার দাবি। দেশের রাজস্ব বেড়েছে। রাজ্যগুলো তার ৭০ দশমিক ৫ শতাংশ ফেরত পেয়েছে।
কিন্তু সেই সঙ্গে বেড়ে গেছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের দুর্দশা। ধীরে ধীরে উৎপাদনের থেকে দূরে সরে গিয়ে অর্থনীতি হয়ে উঠেছে আমদানিনির্ভর।
করকাঠামোর জটিলতা, বছরে চারবার রিটার্ন জমা দেওয়ার ঝক্কি, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও বিশ্ববাজারে মন্দার দরুন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্রমেই ধুঁকতে থাকে।
রাহুল গান্ধী এসব কারণেই জিএসটির নাম দিয়েছিলেন গব্বর সিং ট্যাক্স।
এত দিন পর জাতির প্রতি ভাষণ কেন মোদিরনতুন হারে জিএসটি চালু হবে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে, সেই সিদ্ধান্ত জিএসটি কাউন্সিল ঘোষণা করেছিল চলতি মাসের ৩ তারিখ। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ সেই বৈঠকের পর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন।
অনেকগুলো ধাপ কমিয়ে প্রধানত দুটি করা হবে, সে জন্য মানুষের কত লাভ হবে, শিল্পেরই–বা কত, অর্থনীতি কীভাবে উপকৃত হবে—তা নিয়ে এত দিন নিবিড় আলোচনা চলেছে মিডিয়ায়, সভায়, অর্থনীতিবিদদের মধ্যে।
তা হলে হঠাৎ কেন জাতির প্রতি ভাষণ দিয়ে পুরোনো সিদ্ধান্তের কথা প্রধানমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দিতে হলো?
আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক চাপ তার প্রধান কারণ বলে ধারণা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি শেষ পর্যন্ত ভারতের পক্ষে কতটা ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে, তা এখনো অজানা। রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার জন্য অতিরিক্ত যে ২৫ শতাংশ শুল্ক জরিমানা হিসেবে ধার্য হয়েছে, তা তুলে নেওয়ার কোনো ইঙ্গিত মার্কিন মুলুক থেকে এখনো আসেনি। তার ওপর নতুন চিন্তা এইচ–১বি ভিসা নীতি।
ভারতকে সব দিক থেকে চাপে ফেলার রণনীতি গ্রহণ করেছেন ট্রাম্প। রপ্তানি মার খেলে বিকল্প বাজার খোঁজা সময়সাপেক্ষ। এ অবস্থায় জিএসটি সরলীকরণ দেশি উৎপাদকদের কিছুটা আশ্বস্ত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কর কমানো হলে মানুষের টাকা সাশ্রয় হবে। তাতে পণ্যের চাহিদা বাড়বে। দেশীয় বাজার চাঙা হবে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি বিদেশি পণ্য বর্জনেরও হাঁক দিয়েছেন।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে দেশজ পণ্য কেনার মধ্য দিয়ে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়তে বলেছেন তিনি। যদিও আমদানিনির্ভর ভারতীয় অর্থনীতিতে জাঁকিয়ে বসেছে চীন। শুধু তাদের সঙ্গেই ভারতের বাণিজ্যিক ঘাটতির পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলার।
অন্য শঙ্কাও উঁকি মারছেরাজনৈতিক ও অর্থনীতিবিদদের মনে অন্য এক শঙ্কাও উঁকি মারছে। জিএসটি সংস্কারের মধ্য দিয়ে নাগরিক মনে ভরসা জাগানোর পর মোদি সরকার কি তা হলে কৃষি ও ডেইরি শিল্পের কোনো কোনো ক্ষেত্র মার্কিনদের কাছে উন্মুক্ত করার কথা ভাবছে? এ ভাষণ কি সেই ক্ষেত্র তৈরির পদক্ষেপ? তা হলে কি সরকার ইথানল প্রস্তুতের জন্য কিছু পরিমাণ ভুট্টা আমদানিতে সায় দেবে?
নীতি আয়োগের এক গবেষণাপত্রে বাণিজ্যিক স্বার্থে ‘ডুয়েল ট্রাক পদ্ধতি’ বা দ্বৈত পন্থা অনুসরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। যেমন বলা হয়েছিল, ভোজ্যতেল বা বাদামের মতো কিছু কৃষিপণ্যের আমদানি বিরাট আকারে কৃষক সমাজকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না। খাদ্যনিরাপত্তাও বিঘ্নিত হবে না। বিনিময়ে ভারত বাসমতী চাল, মসলা বা চিংড়ি রপ্তানির সুবিধা আদায় করতে পারে।
প্রশ্ন উঠছে, সেই দেওয়া নেওয়া নিশ্চিত করতেই কি মোদি জাতির উদ্দেশে ভাষণে দিলেন? আর্থিক সুবিধা পাইয়ে দিয়ে আস্থা অর্জনের পথে এগোলেন?
উত্তর যা–ই হোক, শাসক বিজেপি মনে করছে, করব্যবস্থার সরলীকরণ আমজনতার মন জিততে সহায়ক হবে। বিশেষ করে বিহারের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে মোদির এই ঘোষণা ‘ফোর্স মাল্টিপ্লায়ার’–এর কাজ করবে।
শাসক দলের এক নেতার কথায়, গণতন্ত্রে কার দাবি মানা হলো সেটি বিবেচিত হয় না। মানুষ মনে রাখে সিদ্ধান্ত যিনি নেন তাঁকে। জিএসটির ভুলভ্রান্তি মিটিয়ে হাতে বাড়তি অর্থ জোগানোর কৃতিত্ব মানুষ তাই মোদিকেই দেবে। পুরোনো সিদ্ধান্ত নতুনভাবে মনে করিয়ে দিতেই তাই রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। কর কমানোর কৃতিত্ব নিয়ে নিজেই নিজের পিঠ চাপড়েছেন।
সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম আলোর নয়াদিল্লি প্রতিনিধি
মতামত লেখকের নিজস্ব
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: করক ঠ ম র ব যবস থ জ এসট র কর ছ ল র জন য বল ছ ন হয় ছ ল প রথম আমদ ন সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা
কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’
সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।
সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে