জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশ দুর্নীতিমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ দেশ হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলের সুরা সদস্য ও ঢাকা জেলা শাখার আমির মাওলানা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন।   

আজ শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার কলাতিয়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে আয়োজিত খাড়াকান্দি এলাকায় জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

আরো পড়ুন:

নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও নারীদের সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি

ফাঁকা ক্যাম্পাসে পশু-পাখিদের পাশে রাকসুর ছাত্রদল সমর্থীত প্রার্থী

ঢাকা জেলা শাখার আমির মাওলানা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন বলেন, ‘‘জামায়াতকে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র করে নিষিদ্ধ করার চেষ্টা হয়েছিল। সেই জামায়াত সারা দেশে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনি কার্যক্রম শুরু করেছে। যা অন্য কোনো দল এখনো পারেনি।’’  

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘‘জনগণ দাঁড়ি পাল্লা মার্কায় ভোট দিয়ে  তাদের খেদমত করার সুযোগ করে দেবে। জনগণের খেদমত করার জন্য জামায়াতে ইসলামী সর্বদা প্রস্তুত।’’  

মাওলানা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন ঢাকা-২ আসনে দলের সংসদ সদস্য প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ তৌফিক হাসানকে ভোট দেওয়ার জন্য কেরানীগঞ্জবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। 

প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ তৌফিক হাসান বলেন, ‘‘জামায়াতে ইসলামীতে  কোনো চাঁদাবাজ পাবেন না। কোনো দুর্নীতিবাজ পাবেন না।’’ আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাকে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।  

জনসভায় উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ মডেল পশ্চিম থানা জামায়াতে ইসলামীর আমির মোহাম্মদ আব্দুর রহিম মজুমদার, সাভার থানা জামায়াতে ইসলামীর আমির আব্দুল কাদির প্রমুখ। 
 

ঢাকা/শিপন/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হ ম মদ র আম র ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

‘বিহারে ভোট কিনতে ব্যবহার হয়েছে বিশ্বব্যাংকের ১৪ হাজার কোটি রুপি’

ভারতের বিহার রাজ্যের ভোটারদের প্রভাবিত করতে বিশ্বব্যাংকের ১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যবহার করা হয়েছে। দেশটির সাবেক ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরাজ পার্টি। রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়েছে।

জন সুরাজ পার্টির দাবি, রাজ্যের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বিশ্বব্যাংক যে ১৪ হাজার কোটি রুপি দিয়েছিল, তা ভোটে জিততে ব্যবহার করা হয়েছে। এই অর্থ থেকেই নীতীশ কুমারের সরকার ‘মুখ্যমন্ত্রী রোজগার যোজনা’ প্রকল্পের মাধ্যমে ১ কোটি ২৫ লাখ নারীকে ১০ হাজার রুপি দিয়েছে।

দলের জাতীয় সভাপতি উদয় সিংহ বলেন, “নির্বাচনের ফলাফলকে কেনা হয়েছে। ২১ জুন থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত ৪০ হাজার কোটি রুপি খরচ করা হয়েছে। জনগণের অর্থ ব্যবহার করে জনগণের ভোট কেনা হয়েছে। আমি এটাও জানলাম যে, বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে পাওয়া রুপি নগদ অর্থবিলিতে ব্যবহার করা হয়েছে।”

চলতি সপ্তাহে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ। ২৪৩ সদস্যের বিধানসভার মধ্যে এনডিএ ২০২টি আসন জিতেছে, যার মধ্যে বিজেপি ৮৯টি, জেডিইউ ৮৫টি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস) ১৯টি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতন রাম মাঝির হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা পাঁচটি এবং রাজ্যসভার সাংসদ উপেন্দ্র কুশওয়াহার জাতীয় লোক মোর্চা চারটি আসন পেয়েছে। আরজেডি-নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট মহাগঠবন্ধন মাত্র ৩৫টি আসন পেয়েছে।

তবে রাজ্যের নতুন দল জন সুরাজ পার্টি একটি আসনেও জয় পায়নি।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যশোরে জামায়াতে ইসলামীর হিন্দু সম্মেলন অনুষ্ঠিত
  • দিনের ভোট রাতে করতে রাষ্ট্রের ৮ হাজার কোটি টাকা লুট করেছিলেন শেখ হাসিনা: রিজভী
  • শেখ হাসিনার রায় দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে: গণসংহতি আন্দোলন
  • দেশবাসীকে ধৈর্য, সতর্কতা ও ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জামায়াত আমিরের
  • রায় প্রত্যাখ্যান আওয়ামী লীগের
  • পদ্মা সেতু ও এক্সপ্রেসওয়েতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা
  • ইকুয়েডরে গণভোটে ‘না’ এগিয়ে, বিদেশি সামরিক ঘাঁটিতে সায় নেই মানুষের
  • নানা অসিলায় নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা চলছে: খন্দকার মোশাররফ হোসেন
  • ককটেল নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগ করলে গুলির নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের
  • ‘বিহারে ভোট কিনতে ব্যবহার হয়েছে বিশ্বব্যাংকের ১৪ হাজার কোটি রুপি’