রংপুরে অ্যানথ্রাক্সের ঝুঁকির মধ্যে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গরু জবাই
Published: 3rd, October 2025 GMT
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ পৌরসভায় দিনে ৮ থেকে ১০টি গরু জবাই করেন মাংস ব্যবসায়ীরা। ছুটির দিনে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ থেকে ২০টিতে। কিন্তু এসব গরু জবাইয়ের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত কোনো জবাইখানা নেই। ব্যবসায়ীদের কেউ নিজ বাড়ির উঠানে, কেউ–বা বাড়ি-সংলগ্ন খোলা জায়গায় গরু জবাই করেন। রংপুরে অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণের মধ্যে এভাবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পশু জবাই হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন জেলার বাসিন্দারা।
কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্যমতে, অসুস্থ গরুর মাংস কাটা, নাড়াচাড়া ও খাওয়ার কারণে হারাগাছের ঠাকুরদাস গ্রামের চারজনের নমুনা সংগ্রহ করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে। ২৯ সেপ্টেম্বর সন্দেহভাজন চারজনের মধ্যে দুজনের অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় বলছে, রংপুরের পীরগাছা, কাউনিয়া ও মিঠাপুকুরে মোট ১১ জনের অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হয়েছে। চিকিৎসায় তাঁরা অনেকটা সুস্থ হয়েছেন। অন্যদিকে প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গবাদিপশুর মাংস যাতে মাংস ব্যবসায়ীরা বিক্রি করতে না পারেন, সে জন্য প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে কর্মী পাঠিয়ে গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। অ্যানথ্রাক্স টিকা দেওয়ায় গবাদিপশুর নতুন করে সংক্রমণ নেই।
যত্রতত্র পশু জবাইঅ্যানথ্রাক্স শনাক্তের পর রংপুরে মাংসের দোকানগুলোর চিত্র সরেজমিনে দেখতে শুক্রবার ভোরে হারাগাছ পৌরসভায় যান প্রথম আলোর এ প্রতিবেদক। রংপুর ও আশপাশের এলাকার অনেকে হারাগাছে যান মাংস কিনতে। সকাল ছয়টার দিকে হারাগাছের সারাই বাজারে মাংস বিক্রেতা ইউনুছ আলীর দোকানে মাংস নিয়ে আসতে দেখা গেল। তিনি বলেন, পাশের বাবুখা গ্রামে তাঁর বাড়ির পেছনে একটি গরু জবাই করা হয়েছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগের কেউ ছিল কি না জিজ্ঞেস করলে বলেন, ‘প্রতিদিন এনামুল থাকেন। কিন্তু আজ এখনো আসেননি।’
এনামুল হক প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এআই (কৃত্রিম প্রজনন) টেকনিশিয়ান। রংপুরে অ্যানথ্রাক্স উপসর্গ দেখা দেওয়ায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে হারাগাছ পৌর এলাকায় প্রতিদিন যেসব গরু জবাই করা হবে, সেগুলোর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গবাদিপশু জবাই করে কাটাকাটি করা হচ্ছে। শুক্রবার সকালে হারাগাছ পৌর এলাকার বাবুখা এলাকায়.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আবারও জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনায় হেফাজত আমির
আবারও জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনা করেছেন হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী পার্বতী মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে শানে রেসালত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই সমালোচনা করেন।
হেফাজত আমির আগামী সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানান। হেফাজতে ইসলাম হাটহাজারী উপজেলা শাখা এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
হেফাজতে ইসলামের আমির বলেন, কুফরি যাতে প্রতিষ্ঠা করতে না পারে, সামনের নির্বাচনে ভোট দেওয়া যাবে না। যারা পূজা আর রোজা একই বলে, এগুলো কি ইসলাম।
আল্লামা শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, নবী ও রাসুলদের দেখানো সোজা রাস্তায় চলতে হবে। তাহলে দুনিয়া ও আখিরাত ঠিক থাকবে। সাহাবা কেরাম সত্যের মাপকাঠি। তাঁদের দেখানো রাস্তা সোজা রাস্তা।
জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে হেফাজত আমিরের এই বক্তব্যের বিষয়ে চট্টগ্রাম নগর জামায়াতে ইসলামীর তিনজন দায়িত্বশীল নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তবে তাঁরা কেউ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।