নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

তবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নয়, পরের নির্বাচন থেকে এই ব্যবস্থা কার্যকর হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়কে অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ড.

সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে এই রায় দেন। খবর বাসসের।

আপিল বেঞ্চের অন্য ছয় বিচারপতি হলেন মো. আশফাকুল ইসলাম, জুবায়ের রহমান চৌধুরী, মো. রেজাউল হক, এস এম ইমদাদুল হক, এ কে এম আসাদুজ্জামান ও ফারাহ মাহবুব।

আজকের এই রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী পুনর্বহাল হয়েছে বলে জানান আইনজীবীরা।

বহুল আলোচিত এই আপিলে বিএনপির পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। 

অন্যদিকে, পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিকের পক্ষে আপিল শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শরীফ ভূইয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম. সলিম উল্লাহসহ তিন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন।

২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে করা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। এরপর ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।

তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক ও এক ব্যক্তি আবেদন করেন।

সেই রিভিউ আবেদন থেকে আপিল শুনানির জন্য গত ২৭ আগস্ট লিভ মঞ্জুর করে ২১ অক্টোবর আপিল শুনানির দিন ধার্য করেন। পরবর্তী ১০ দিন এই আপিল শুনানি শেষে রায়ের দিন ধার্য করেন সর্বোচ্চ আদালত।

ঢাকা/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আপ ল শ ন ন আইনজ ব

এছাড়াও পড়ুন:

ফেসবুকে তারেক রহমানকে ‘কটূক্তি’র অভিযোগে মামলার আবেদন

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে ফেসবুকে ‘কটূক্তি’র অভিযোগে শাহিন মাহমুদ নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

আজ বুধবার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহসাধারণ সম্পাদক ইলতুৎমিশ সওদাগর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাইদুর রহমান গাজীর আদালতে মামলাটির আবেদন করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আদেশ হতে পারে।

মামলার আবেদনের অভিযোগে বলা হয়েছে, এ বছরের ১২ নভেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলীয় সমাবেশের ভার্চ্যুয়াল বক্তব্যে বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে, গণভোটের চাইতে আলুর ন্যায্যমূল্য পাওয়া অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’ শাহিন মাহমুদ ১৫ নভেম্বর তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে তারেক রহমানের উদ্দেশে পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘৮৮ কোটি টাকা দিয়ে বুলেটপ্রুফ গাড়ি না কিনে ওই টাকা কৃষকদের দিলে পেঁয়াজ, আলুর ন্যায্য দাম পেত।’

অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামি কাণ্ডজ্ঞানহীন ও মিথ্যা পোস্ট দিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের গৌরব, সম্মান, দেশপ্রেম, রাজনৈতিক দূরদর্শিতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার হীন প্রয়াসকে প্রস্ফুটিত করেছে। তারেক রহমানের রাজনৈতিক ও সামাজিক গৌরবকে কলুষিত করে আসামি উদ্দেশ্যেমূলকভাবে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করেছেন। আসামির দাবি করা ৮৮ কোটি টাকার বিনিময়ে কোনো বিলাসবহুল বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনা হয়নি। এ ধরনের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করায় সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫–এর ২৩ (২), ২৫(১), ২৭ (১) ও ২৭ (২) ধারায় অপরাধ হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই সনদ পাস হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কাঠামোয় পরিবর্তন আসতে পারে: শিশির মনির
  • ফেসবুকে তারেক রহমানকে নিয়ে ‘কটূক্তি’র অভিযোগে মামলার আবেদন খারিজ
  • হাসিনা পালিয়ে যাওয়ায় বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পেরেছে: রুহুল কুদ্দুস
  • এই রায়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে: বদিউল আলম মজুমদার
  • তত্ত্বাবধায়ক বিধান পুনরুজ্জীবিত, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
  • তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা: ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের বিরুদ্ধে আপিলের রায় আজ
  • ১৪ মাসের বিচার যদি খুব দ্রুত হয়, তাহলে বলার কিছু নেই: প্রসিকিউটর মিজানুল
  • ফেসবুকে তারেক রহমানকে ‘কটূক্তি’র অভিযোগে মামলার আবেদন
  • তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে আপিলের রায় হলে কী হতে পারে