আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে মার্শের প্রথম সেঞ্চুরি, সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার
Published: 4th, October 2025 GMT
আবারও অস্ট্রেলিয়ার জয়ের নায়ক অধিনায়ক মিচেল মার্শ।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে সিরিজের প্রথম টি–টোয়েন্টিতে ১৮২ রানের লক্ষ্যটাকে ছেলেখেলা বানিয়ে ২১ বল হাতে রেখেই জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেদিন ৪৩ বলে ৮৫ রান করেছিলেন মার্শ। পরিত্যক্ত দ্বিতীয় ম্যাচে ৯ রানে অপরাজিত সেই মার্শ আজ সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচে পেয়ে গেছেন আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। তাতে ১৫৭ রানের লক্ষ্যটা ১২ বল ও ৩ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজটাও ২-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
প্রথম ম্যাচে টিম ডেভিড, ম্যাথু শর্ট আর ট্রাভিস হেডরা সঙ্গ দিয়েছিলেন মার্শকে। আজ অবশ্য একেবারে নিঃসঙ্গ লড়াই লড়তে হয়েছে অধিনায়ককে। একের পর এক সতীর্থ উইকেট বিলিয়ে দেওয়ায় মার্শের সেঞ্চুরি আর দলের জয়—দুটিই ঝুঁকিতে পড়ে গিয়েছিল। তাঁর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর মাত্র ১৪, মিচেল ওয়েনের। সংখ্যাটাই বলে দেয়, ইনিংসটা আসলে কতটা মার্শময় ছিল।
সেঞ্চুরি করার পথে সাতটি ছক্কা মেরেছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক মিচেল মার্শ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
শ্বশুরবাড়িতে যুবককে ‘গলা কেটে হত্যাচেষ্টা’, পাশের ঘরে খোঁড়া হয়েছিল গর্ত
ফরিদপুরের সদরপুরে শ্বশুরবাড়িতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার মুন্সি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ওই ব্যক্তির স্ত্রী লাবণী আক্তারকে (২৮) আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার পর তাঁর শাশুড়ি শহিদা বেগম (৪৯) ও দাদিশাশুড়ি জনকী বেগম (৬২) পলাতক।
ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তির নাম ফরহাদ ব্যাপারী ওরফে ঠান্ডু (৩৫)। তিনি সদরপুর উপজেলার ছলেনামা এলাকার ব্যাপারীডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা। ঢাকায় তাঁর একটি ওয়ার্কশপের ব্যবসা রয়েছে। ভাষানচর ইউনিয়নের মুন্সি গ্রামের প্রবাসী জাহাঙ্গীর মিয়ার মেয়ে লাবণী আক্তারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফরহাদ ব্যাপারীকে রাতের খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। তিনি ঘুমিয়ে পড়লে রাত দেড়টার দিকে স্ত্রী, শাশুড়ি ও দাদিশাশুড়ি মিলে কাস্তে দিয়ে গলা কাটার চেষ্টা করেন। হত্যাচেষ্টার আগে পাশের ঘরের বারান্দায় গর্ত খুঁড়ে রাখা হয়েছিল। এ সময় ফরহাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে তাঁকে উদ্ধার করেন। এর আগেই ওই তিন নারী পালিয়ে যান। এলাকাবাসী আহত ফরহাদকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং সদরপুর থানায় খবর দেন।
ফরহাদ ব্যাপারীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জমি কেনার জন্য ফরহাদ তাঁর স্ত্রী ও শাশুড়িকে ১১ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। তাঁরা জমি না কিনে টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই ঘটনার জেরেই হত্যাচেষ্টা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকদেব রায়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এই হত্যাচেষ্টা পূর্বপরিকল্পিত। টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ফরহাদের স্ত্রী লাবণীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।