পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়ার আগে সাপ ঢুকে পড়ল ভারতের মেয়েদের অনুশীলনে
Published: 4th, October 2025 GMT
কলম্বোর প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের নারী ক্রিকেট দল যখন অনুশীলনে ব্যস্ত, তখন সেখানে হাজির হয় এক অপ্রত্যাশিত ‘অতিথি’। বিশেষ সেই অতিথি ছিল একটি সাপ। শ্রীলঙ্কায় এ ধরনের সাপকে বলা হয় ‘গারান্দিয়া’। এগুলো মূলত নিরীহ প্রজাতির ইঁদুরখেকো সাপ, যা মানুষের জন্য ভীতিকর নয়।
প্রেমাদাসায় অবশ্য এমন দৃশ্য একেবারে নতুন নয়। লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচেও আগে দেখা মিলেছে সাপের। চলতি বছরের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কা–বাংলাদেশের ওয়ানডেতেও মাঠে ঢুকে পড়েছিল এই প্রজাতির সাপ। ফলে নিয়মিত এই মাঠে আসাটা গারান্দিয়ার জন্য যেন নিয়মই হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাঠ কর্মকর্তারা জানান, এই সাপ বিষধর নয়। কামড়ায়ও না। গারান্দিয়া শুধু ইঁদুর খুঁজতে বের হয়।
শুক্রবার ধূসর–বাদামি রঙের সেই সাপকে ড্রেন আর গ্যালারির পাশ দিয়ে এগিয়ে যেতে দেখা যায়। সে সময় ভারতের খেলোয়াড়েরা সেন্টার উইকেট থেকে নেটে অনুশীলনে যাচ্ছিলেন। সাপটিকে দেখে ভয়–আতঙ্কের পরিবর্তে কৌতূহলী হয়ে মজা নিতেই দেখা গেছে ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ ও মাঠে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের।
আরও পড়ুনমেয়েদের বিশ্বকাপে কি ভারত–পাকিস্তান হাত মেলাবে০২ অক্টোবর ২০২৫আগামী রোববার এ মাঠেই পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামবে ভারত। উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে ডি/এল নিয়মে ৫৯ রানে হারায় হারমানপ্রীতের দল। অন্যদিকে পাকিস্তানের শুরুটা হয়েছে বাংলাদেশের কাছে ৭ উইকেটের বড় হারে।
সাম্প্রতিক সময়ে পুরুষদের ক্রিকেটে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে তৈরি হওয়া উত্তেজনার কারণে চোখ থাকবে মেয়েদের ম্যাচেও। এ ম্যাচে হারমানপ্রীতরা ফাতিমা সানাদের সঙ্গে হাত মেলান কি না, তা নিয়েও কৌতূহল রয়েছে অনেকের।
হিন্দুস্তান টাইমসসহ ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যম অবশ্য জানিয়েছে, এশিয়া কাপে ভারতের ছেলেদের ক্রিকেট দলের মতো ভারতীয় নারী ক্রিকেটাররাও এ ম্যাচে পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাত মেলাবেন না।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লা ইপিজেডে ভূমিকম্পের সময় অজ্ঞান-আহত ৮০ নারী শ্রমিক
ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে কুমিল্লা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) কর্মরত অন্তত ৮০ জন নারী শ্রমিক অজ্ঞান ও আহত হয়েছেন। পাঁচজন দৌড়ে কারখনা থেকে বের হতে গিয়ে আহত হন। তাদের মধ্যে ৫০ জন ইপিজেডের ভেতর অবস্থিত বেপজা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে ৩০ জনকে।
কুমিল্লা ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের সময় দুটি কারখানার নারী শ্রমিকরা আতঙ্কে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে গিয়ে প্যানিক অ্যাটাকে আক্রান্ত হন। তবে, গুরুতর আহত হননি কেউ৷ তাদের সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে এখন বাসায় অবস্থান করছেন।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তানভীর আহমেদ জানিয়েছেন, ওই হাসপাতালে অন্তত ৩০ জন শ্রমিককে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূকম্পন অনুভূত হয়। এ সময় কুমিল্লা ইপিজেডে কর্মরত নারীরা দৌড়ে বের হতে গিয়ে আহত হন। তাদের মধ্যে অনেকে ভয়ে অজ্ঞান হয়ে অফিসের মেঝেতে পড়ে যান। তাদেরকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ঢাকা/রুবেল/রফিক