স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এর আগে একটি ফিফটি ছিল সাদমান ইসলামের। সর্বোচ্চ রান ৫৪। জাতীয় ক্রিকেট লিগে আগের ম্যাচে ৪৯ রান করেছিলেন। ফিফটি না পাওয়ার আক্ষেপ ঘুচিয়ে সাদমান এবার পেলেন সেঞ্চুরি স্বাদ।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার প্রথম সেঞ্চুরিতে বরিশাল বিভাগকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে ঢাকা মেট্রো। সাদমানের ৬১ বলে ১০১ রানের ইনিংসে ভর করে ঢাকা মেট্রো ৬ উইকেটে ১৯৭ রান করে। জবাবে বরিশাল বিভাগ ১০১ রানে অলআউট হয়। ৯৬ রানের বিশাল ব্যবধানে ঢাকা মেট্রো জয় পায়।

আরো পড়ুন:

রোমাঞ্চকর জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের 

সিরিজ জিততে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৪৮

ম্যাচের পুরোটা জুড়েই ছিলেন সাদমান। উইকেটের চারিপাশে দৃষ্টিনন্দন সব শটে মুগ্ধ করেন সবাইকে। ১১ চার ও চার ছক্কায় ১৬৫ স্ট্রাইকরেটে সাজান ইনিংসটি।

২০১৫ সালে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে তার পথ চলা শুরু। কিন্তু ১০ বছরে মাত্র ২১টি ম্যাচ খেলেছেন বাঁহাতি ওপেনার। জাতীয় দলে খেললেও বিপিএলে শেষ তিন বছরে পাননি দল। ৪৫ গড়ে এবার ৪ ম্যাচে ১৮২ রান করছেন।

সাদমানকে ওপেনিংয়ে সঙ্গ দেন মাহফিজুল ইসলাম রবিন। দুজন ১৭৭ রানের জুটি গড়েন। মাহফিজুল ৪৯ বলে ৯টি চার ও ২টি ছক্কায় ৭৯ রান করেন।

বরিশালের বোলারদের মধ্যে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা ছিলেন ইফতিকার হোসেন। এদিকে ব্যাটিং নিয়ে নিয়মিত ভুগছে বরিশাল। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ওপেনিং এ আজমির সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন। এছাড়া ফজলে মাহমুদ ১৬, জাহিদুজ্জামান ১৮ রান করেন। বাকিরা ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে।

বল হাতে ঢাকা মেট্রোর সেরা মারুফ মৃধা। ১৫ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি। ২টি করে উইকেট নেন আবু হায়দার রনি ও রাকিবুল হাসান।

ছয় ম্যাচে ঢাকা মেট্রো এটি তৃতীয় জয়। বরিশালের সমান ম্যাচে পঞ্চম হার। 

ঢাকা/ইয়াসিন/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স দম ন বর শ ল র ন কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

২২০ বছরের পুরোনো এক আমগাছ তলায় এবার তাঁবুবাস করেছি

ক্লান্ত শরীর অথচ চোখে ঘুম নেই। অন্ধকারে তাঁবুর ভেতর শুয়ে আছি, হঠাৎই কানে এল তাঁবুর কাছে প্রাণীর হাঁটাচলা। তাদের ডাকে অরণ্যের গভীর নিস্তব্ধতা যেন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠল। বুঝতে বাকি থাকল না, দলটা শিয়াল পণ্ডিতদের। মুহূর্তেই পাহারায় থাকা কুকুর মহাশয় দৌড়ে এল গর্জন করতে করতে। শিয়ালরা এক ঝটকায় সটকে পড়ল।

ক্যাম্পসাইটে আসার পরই দেখেছি লেজ নেড়ে নেড়ে ঘুরে বেড়াতে, সেই কুকুর মহাশয়ই এখন অতন্দ্রপ্রহরী। চারদিকে চক্কর দিচ্ছে। জুয়েল হেসে বলল, ‘ওকে কিছু খাবার দিলেই সারা রাতের জন্য সবচেয়ে বিশ্বস্ত পাহারাদার হয়ে যাবে।’

সত্যিই তা–ই হলো। সামান্য খাবারের বিনিময়ে কুকুরটা যেন দায়িত্ব নিল পুরো ক্যাম্পসাইটের। রাতের নিস্তব্ধতা আর শিয়ালের ডাকের ভেতর কুকুরের উপস্থিতি এনে দিল এক অদ্ভুত নিরাপত্তার আশ্বাস।

এই মৌসুমের প্রথম ক্যাম্প। তাঁবু পেতেছি এক প্রাচীন অভিভাবকের ছায়ায়, আনুমানিক ২২০ বছরের পুরোনো এক সূর্যপুরী আমগাছ। ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্তঘেঁষা হরিণমারীর এই গাছের নাম শুনেছি বহুবার, কিন্তু দেখা হয়নি কখনো। আজ অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান হলো।

দলেবলে

সম্পর্কিত নিবন্ধ