রেখাকে বিয়ে! আরও যেসব তারকার সঙ্গে ইমরান খানের প্রেমের গুঞ্জন
Published: 5th, October 2025 GMT
বলিউড তারকা রেখাকে ঘিরে আজও অনেক গল্প চর্চিত। বলিউডে তাঁর অভিনয় ও সিনেমা যেমন ছিল আলোচনায়, তেমনি তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও ছিল বৈচিত্র্যে ভরা। বিশেষ করে রেখার প্রেম নিয়ে বলিউডে এখনো আলোচনা চলে। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক যেমন একসময় সংবাদপত্রের পাতায় শিরোনাম হয়েছে, তেমনি আশির দশকে পাকিস্তানের এক তারকা ক্রিকেটারের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা নিয়েও গুঞ্জন ছিল বলিউড পাড়ায়। তিনি আর কেউ নন, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শোনা যায়, মুম্বাইয়ে কয়েক সপ্তাহ একসঙ্গে কাটিয়েছিলেন তাঁরা, সমুদ্রসৈকতে ঘন ঘন একসঙ্গে দেখা যেত দুজনকে। এমনকি বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলেও দাবি উঠেছিল সে সময়।
আজ ইমরান খানের জন্মদিন। ৭২ বছরে পা রাখলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সাবেক ক্রিকেট কিংবদন্তি। ক্রিকেট, রাজনীতি আর ব্যক্তিজীবনের অজস্র ওঠানামার ভিড়ে রেখার সঙ্গে সেই রহস্যময় সম্পর্ক এখনো আলোচনার অংশ হয়ে আছে। এই তো কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে ১৯৮৫ সালের একটি পুরোনো প্রতিবেদন।
সেখানেই দাবি করা হয়, ইমরান খান–রেখার প্রেম ছিল। বিয়ের দিকেও নাকি যাচ্ছিল সে সম্পর্ক। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি সে খবর নতুন করে প্রচার করে। শুধু কি রেখা? বলিউডের বেশ কজন অভিনেত্রীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের কাহিনি বিভিন্ন সময় সামনে এসেছে। কারা তাঁরা? ইমরান খানের জন্মদিনে আজ সেইসব দিনের কিছু গল্প জানব।
অনেকে বলেছিলেন, মা-ও চাইতেন ইমরান তাঁদের পরিবারের অংশ হয়ে উঠুক। তবে শেষ পর্যন্ত বিয়ে হয়নি। রেখা কখনো প্রকাশ্যে এই সম্পর্ক নিয়ে কিছু বলেননি। অন্যদিকে ইমরান খান সংবাদমাধ্যমে নাকি ঠিক এভাবে মন্তব্য করেছিলেন, ‘আমি তাঁর (রেখা) সঙ্গে কিছু সময় কাটিয়েছি, তবে সামনেই এগোতে চাই। কোনো সিনেমার নায়িকাকে বিয়ে করার কথা আমি ভাবতেই পারি না।’রহস্যময় সম্পর্ক
আশির দশকে ইমরান খানের জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। পাকিস্তান ছাড়িয়ে ভারতে তাঁর অগণিত ভক্ত। মুম্বাইয়ের পার্টি থেকে সমুদ্রসৈকত—যেখানেই গেছেন, প্রায়ই সঙ্গী হয়েছেন বলিউডের চিরসবুজ নায়িকা রেখা। স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয় কানাঘুষা—তাঁরা কি কেবল বন্ধু, নাকি আরও কিছু? সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৮৫ সালে মুম্বাইয়ে কয়েক সপ্তাহ অবস্থান করেছিলেন ইমরান। তখন প্রায়ই দেখা যেত তাঁকে রেখার সঙ্গী হয়ে। যাঁরা তাঁদের কাছ থেকে দেখেছিলেন, তাঁদের ধারণা হয়েছিল—বন্ধুত্বের বাইরে গিয়ে সত্যিই প্রেম ফুটে উঠছে।
মায়ের ইচ্ছা, জ্যোতিষীর পরামর্শ
এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, রেখার মা পুষ্পাবল্লী নাকি ইমরান খানের বড় ভক্ত ছিলেন। এমনকি মেয়ের ভাগ্য যাচাই করতে দিল্লির এক জ্যোতিষীর কাছেও গিয়েছিলেন তিনি।
অনেকে বলেছিলেন, মা-ও চাইতেন ইমরান তাঁদের পরিবারের অংশ হয়ে উঠুক। তবে শেষ পর্যন্ত বিয়ে হয়নি। রেখা কখনো প্রকাশ্যে এই সম্পর্ক নিয়ে কিছু বলেননি। অন্যদিকে ইমরান খান সংবাদমাধ্যমে নাকি ঠিক এভাবে মন্তব্য করেছিলেন, ‘আমি তাঁর (রেখা) সঙ্গে কিছু সময় কাটিয়েছি, তবে সামনেই এগোতে চাই। কোনো সিনেমার নায়িকাকে বিয়ে করার কথা আমি ভাবতেই পারি না।’
‘সিলসিলা’ সিনেমায় রেখা। আইএমডিবি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইমর ন খ ন র
এছাড়াও পড়ুন:
পাবনায় ঈদগাহের নাম নিয়ে দু’ গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ২০
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় ঈদগাহের নামকরণ করা নিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
শুক্রবার (০৩ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের আটলংকা গ্রামে সংঘর্ষ হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরো পড়ুন:
হবিগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, ৫০ জন আহত
ট্রেন ছাড়তে দেরি হওয়ায় ভাঙ্গুড়ায় যাত্রীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ
চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিকৃত আহতরা হলেন, উপজেলার বন্যাগাড়ী গ্রামের আজিম উদ্দিন, সুরমান আলী, আরমান আলী, আবুল হোসেন, রাশেদ হোসেন, আফজাল প্রামাণিক, সেলিম হোসেন ও সাব্বির হোসেন। আহত কয়েকজনকে আটঘরিয়া ও পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম বলেন, ‘‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। মূলত ঈদগাহ মাঠের নামকরণ করা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় ঈদগাহের নামকরণ করা নিয়ে আটলংকা ও বন্যাগাড়ী গ্রামের লোকজনের মধ্যে বিরোধ চলছে। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার থানায় ও স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য দুই গ্রামের গণ্যমাণ্য ব্যক্তিরা বসেন। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়। এরপর থেকে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা চলছে।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে নামফলক লাগানো নিয়ে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ লাঠিসোঁটা ও দেশীয় নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুসা নাসের চৌধুরী, থানার ওসি মনজুরুল আলমসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর উভয় পক্ষের আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আটলংকা বাজারের পাশে অবস্থিত ঈদগাহ মাঠটি দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে বন্যাগাড়ী ও আটলংকা গ্রামের মানুষ একসঙ্গে ব্যবহার করে আসছেন। ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর আটলংকা গ্রামের মানুষ ঈদগাহ মাঠটি নিজেদের দাবি করে এবং নামকরণ তাদের গ্রামের নামে ‘আটলংকা ঈদগাহ মাঠ’ করার চেষ্টা করে। এতে বন্যাগাড়ী গ্রামের মানুষ তা মানতে অস্বীকৃতি জানায়।
বন্যাগাড়ী গ্রামের মানুষের দাবি, যেহেতু ঈদগাহ মাঠটি পূর্বপুরুষ থেকে একসঙ্গে ব্যবহার হয়ে আসছে, তাই নাম দিতে হলে দুই গ্রামের নামে ‘আটলংকা-বন্যাগাড়ী ঈদগাহ মাঠ’ করতে হবে।
ঢাকা/শাহীন/বকুল