জয়ের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে সিলেটকে উড়াল চট্টগ্রাম
Published: 5th, October 2025 GMT
আগের দিন জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন সাদমান ইসলাম। আজ মাঠে নেমে মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমানের দেখানো পথে হাঁটলেন।
চট্টগ্রাম বিভাগের এই ওপেনার পেলেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ। ৬৩ বলে ৫টি চার ও ৯টি ছক্কায় ১১০ রানের ইনিংস খেলেন জয়। জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংসটি এখন তারই দখলে। এর আগে সাদমান ও এনামুল ১০১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।
আরো পড়ুন:
খুলনায় ডাবের দামে সেঞ্চুরি
জয়ের রেকর্ড রানের ইনিংসে ভর করে চট্টগ্রাম বিভাগ ৬ উইকেটে ২১৪ রান তোলে, যা এবারের লিগে সর্বোচ্চ দলীয় রান। জবাবে সিলেট বিভাগ ১১৫ রানে গুটিয়ে ৯৯ রানের পরাজয়কে সঙ্গী করে।
লিগে দুইটি ফিফটি আছে তার। ৭১ ও ৭৮ রান করেছেন দুই ইনিংসে। আজ জয় সেটিকে রূপ দিলেন সেঞ্চুরিতে। প্রথম ৫০ রান ছুঁয়েছিলেন ৪০ বলে। পরের ৫০ রানে যেতে খেলেন মাত্র ১৯ বল।
বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে সিলেটের বোলারদের তুলোধোনা করে বড় স্কোর পেয়ে যান ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। সবমিলিয়ে শেষের ২৩ বলে ২ চারের সঙ্গে সাতটি ছক্কা মেরে ৬০ রান করেন জয়।
চতুর্থ উইকেটে ইরফান শুক্কুরের সঙ্গে জুটি বাধেন জয়। দুজন মিলে মাত্র ৫৭ বলে যোগ করেন ১২২ রান। ২২ বলে ৪১ রান করেন শুক্কুর। এর আগে মুমিনুল হকের ব্যাট থেকে আসে ১৯ বলে ৩২ রান। দিপুর ব্যাট থেকে আসে কেবল ২ রান।
লক্ষ্য তাড়ায় সিলেটের ব্যাটিং একটুও জমেনি। এমন না যে চট্টগ্রামের বোলাররা খুব ভালো বোলিং করেছেন। স্কোর বোর্ডে বিশাল রান দেখেই মনোবল নষ্ট হয়েছে তাদের। দ্রুত রান করতে হবে, সেই চিন্তায় প্রত্যেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করার চেষ্টা করেছেন। তাতেই পথ থমকে যায় তাদের। ৬৭ রানে ৫ উইকেট ও ১১৫ রানে অলআউট হারায় তারা।
সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন অমিত হাসান। ৩৭ রান আসে রাহির ব্যাট থেকে। অফ ফর্মে থাকা জাকির হাসান ১ রানের বেশি করতে পারেননি। বোলিংয়ে চট্টগ্রামের হয়ে ৩ উইকেট নেন রুবেল। দুইটি করে উইকেট পেয়েছেন শরীফ ও মুরাদ।
ছয় ম্যাচে চার জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষ চট্টগ্রাম। অন্যদিকে, সিলেটের ছয় ম্যাচে জয় কেবল একটি।
ঢাকা/ইয়াসিন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন র ইন র ন কর উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
পুরুষ ও মহিলা কাবাডি দলকে জেলা প্রশাসকের আর্থিক অনুদান প্রদান
‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত জাতীয় কাবাডি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলার পুরুষ ও মহিলা কাবাডি দলকে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
শনিবার রাতে (৪ অক্টোবর) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক দুই দলের জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। আগামী ৫, ৬ ও ৭ অক্টোবর গোপালগঞ্জে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডির প্রচার ও প্রসারে ক্রীড়ামুখী ও তারুণ্যবান্ধব এই উদ্যোগ নারায়ণগঞ্জ জেলার ক্রীড়াঙ্গনে জেলা প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকারই প্রতিফলন বলে মনে করছেন স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠকরা।
দেশীয় ও ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়ার উন্নয়ন ও প্রতিভা বিকাশে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বরাবরই অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থা অ্যাডহক কমিটির সদস্য ও সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার মো. জাকারিয়া ইমতিয়াজ রবিবার বলেন, খেলাধুলা থেকে শুরু করে নারায়ণগঞ্জ জেলায় সবকিছুই এখন সুশৃঙ্খলভাবে চলছে। এই বিষয়ে জেলা প্রশাসকের অনেক অবদান আছে।
তিনি নারায়ণগঞ্জ ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামের সংস্কারের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে ইতিমধ্যেই বরাদ্দের ব্যবস্থা করেছেন। দ্রুতই ফুটবল মাঠ সংস্কার হবে।