আগের দিন জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন সাদমান ইসলাম। আজ মাঠে নেমে মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমানের দেখানো পথে হাঁটলেন।

চট্টগ্রাম বিভাগের এই ওপেনার পেলেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ। ৬৩ বলে ৫টি চার ও ৯টি ছক্কায় ১১০ রানের ইনিংস খেলেন জয়। জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংসটি এখন তারই দখলে। এর আগে সাদমান ও এনামুল ১০১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। 

আরো পড়ুন:

খুলনায় ডাবের দামে সেঞ্চুরি

জয়ের রেকর্ড রানের ইনিংসে ভর করে চট্টগ্রাম বিভাগ ৬ উইকেটে ২১৪ রান তোলে, যা এবারের লিগে সর্বোচ্চ দলীয় রান। জবাবে সিলেট বিভাগ ১১৫ রানে গুটিয়ে ৯৯ রানের পরাজয়কে সঙ্গী করে।

লিগে দুইটি ফিফটি আছে তার। ৭১ ও ৭৮ রান করেছেন দুই ইনিংসে। আজ জয় সেটিকে রূপ দিলেন সেঞ্চুরিতে। প্রথম ৫০ রান ছুঁয়েছিলেন ৪০ বলে। পরের ৫০ রানে যেতে খেলেন মাত্র ১৯ বল।

বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে সিলেটের বোলারদের তুলোধোনা করে বড় স্কোর পেয়ে যান ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। সবমিলিয়ে শেষের ২৩ বলে ২ চারের সঙ্গে সাতটি ছক্কা মেরে ৬০ রান করেন জয়। 

চতুর্থ উইকেটে ইরফান শুক্কুরের সঙ্গে জুটি বাধেন জয়। দুজন মিলে মাত্র ৫৭ বলে যোগ করেন ১২২ রান। ২২ বলে ৪১ রান করেন শুক্কুর। এর আগে মুমিনুল হকের ব্যাট থেকে আসে ১৯ বলে ৩২ রান। দিপুর ব্যাট থেকে আসে কেবল ২ রান। 

লক্ষ্য তাড়ায় সিলেটের ব্যাটিং একটুও জমেনি। এমন না যে চট্টগ্রামের বোলাররা খুব ভালো বোলিং করেছেন। স্কোর বোর্ডে বিশাল রান দেখেই মনোবল নষ্ট হয়েছে তাদের। দ্রুত রান করতে হবে, সেই চিন্তায় প্রত্যেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করার চেষ্টা করেছেন। তাতেই পথ থমকে যায় তাদের। ৬৭ রানে ৫ উইকেট ও ১১৫ রানে অলআউট হারায় তারা।

সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন অমিত হাসান। ৩৭ রান আসে রাহির ব্যাট থেকে। অফ ফর্মে থাকা জাকির হাসান ১ রানের বেশি করতে পারেননি। বোলিংয়ে চট্টগ্রামের হয়ে ৩ উইকেট নেন রুবেল। দুইটি করে উইকেট পেয়েছেন শরীফ ও মুরাদ। 

ছয় ম্যাচে চার জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষ চট্টগ্রাম। অন্যদিকে, সিলেটের ছয় ম্যাচে জয় কেবল একটি।

ঢাকা/ইয়াসিন/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন র ইন র ন কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

সিনেটে বিল পাস, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারে অচলাবস্থা শেষ হতে যাচ্ছে

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল আবার চালু করা নিয়ে মার্কিন সিনেটে একটি বিল গতকাল রোববার পাস হয়েছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র সরকারে রেকর্ড ৪০ দিন ধরে চলা শাটডাউন বা অচলাবস্থার অবসান হওয়ার পথ খুলেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সরকারি ব্যয়ের বাজেট পাস নিয়ে দীর্ঘ এ অচলাবস্থার কারণে বহু সরকারি কার্যক্রম কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। বিশেষ করে দেশটিতে উড়োজাহাজ চলাচল দারুণভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।

আরও পড়ুনশাটডাউনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে উড়োজাহাজ চলাচলে বিপর্যয়০৭ নভেম্বর ২০২৫

গতকাল রোববার সিএনএন, ফক্স নিউজসহ একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যসেবা ভর্তুকি, খাদ্যসহায়তা এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকারি কর্মী বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়ে টানাপোড়েনের পর আইনপ্রণেতারা আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারের তহবিল চালু রাখতে একটি অস্থায়ী চুক্তিতে পৌঁছেছেন।

সরকারি ব্যয়ের বাজেট পাস নিয়ে দীর্ঘ এ অচলাবস্থার কারণে বহু সরকারি কার্যক্রম কার্যত অচল হয়ে গেছে।

এ খবর প্রকাশের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে, সরকারের অচলাবস্থা শিগগিরই শেষ হতে যাচ্ছে।’

ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে সপ্তাহান্তের ছুটি কাটিয়ে হোয়াইট হাউসে ফিরেছেন ট্রাম্প।

সিএনএনের খবরে বলা হয়, কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয়-বরাদ্দসংক্রান্ত বিলটি গতকাল সিনেটে ৬০-৪০ ভোটে পাস হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে ভোট চলে। সরকারের অচলাবস্থা কাটাতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

মার্কিন আইনসভার উচ্চকক্ষ সিনেটের সদস্যসংখ্যা ১০০। সিনেটে এই বিল পাসের জন্য অন্তত ৬০ ভোটের প্রয়োজন পড়ে। এর আগে একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও পর্যাপ্ত ভোট না পড়ায় বিলটি পাস হয়নি।

দেখে মনে হচ্ছে, সরকারের অচলাবস্থা শিগগির শেষ হতে যাচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প, মার্কিন প্রেসিডেন্ট

এদিন ডেমোক্রেটিক পার্টির সিনেটর ক্যাথরিন কর্টেজ মাস্তো, ডিক ডার্বিন, জন ফেটারম্যান, টিম কেইন, ম্যাগি হাসান, জ্যাকি রোজেন, জিন শাহিন এবং স্বতন্ত্র সিনেটর অ্যানগাস কিং ব্যয় বরাদ্দ বিলটি এগিয়ে নেওয়ার পক্ষে ভোট দেন।

তবে সিনেটে বিল পাস হলেও সরকারের অচলাবস্থা পুরোপুরি কাটতে এখনো কিছু কাজ বাকি আছে।

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার শাটডাউনের কবলে, ট্রাম্পের হুমকিতেও কাজ হলো না০১ অক্টোবর ২০২৫

সিনেটে পাস হওয়া এই বিল এখন মার্কিন আইনসভার নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে যাবে। বর্তমান মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। সেখানে বিলটি পাস হলে প্রেসিডেন্টের অনুমোদনের জন্য তা ট্রাম্পের কাছে পাঠানো হবে। ট্রাম্প সই করতে বিলটি চূড়ান্ত হবে।

গত ১ অক্টোবর থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারে অচলাবস্থা চলছে।

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন চলছে, পঞ্চম দফায়ও বিল পাসে ব্যর্থ সিনেট০৭ অক্টোবর ২০২৫আরও পড়ুনশাটডাউন হলেও ট্রাম্প খাদ্যসহায়তা বন্ধ করতে পারবেন না, আদালতের নির্দেশ০১ নভেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ