নর্থ সাউথের সেই শিক্ষার্থীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত
Published: 5th, October 2025 GMT
পবিত্র কোরআন শরিফ অবমাননার অভিযোগে গ্রেপ্তার অপূর্ব পাল নামের এক শিক্ষার্থীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত তাঁকে আজ কারাগারে পাঠিয়েছেন বলে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান জানিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, অপূর্ব পাল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। গতকাল শনিবার মধ্যরাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওসি রাকিবুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, পবিত্র কোরআন শরিফ অবমাননার অভিযোগে অপূর্ব পালকে গতকাল রাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় তাঁকে আজ আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। মামলাটির তদন্ত চলছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই হত্যা মামলা প্রত্যাহারে পিপি সুপারিশ করেননি বলে দাবি
ফেনীতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ওয়াকিল আহমেদ শিহাব হত্যা মামলাটি প্রত্যাহারে সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) সুপারিশ করেননি। এটি জালিয়াতি হতে পারে। আজ রোববার ফেনী আদালতের পিপি মেজবাহ উদ্দিন খান জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পিপি মেজবাহ উদ্দিন খান বলেন, একটি জাতীয় দৈনিক জুলাই শহীদ ওয়াকিল হত্যা মামলাটি প্রত্যাহারে মন্ত্রণালয়ে পিপি সুপারিশ করেছেন বলা হয়েছে, যা সত্য নয়। ওয়াকিল হত্যা মামলার নম্বরের সঙ্গে সুপারিশ হওয়া মামলাগুলোর মিল নেই। যেখানে ফেনীর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, ফেনী-২ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রটোকল অফিসার আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমকে আসামি করা হয়। এই মামলা প্রত্যাহার করতে পিপি কোনো সুপারিশ করেননি। আইন মন্ত্রণালয়ের আবেদনে মামলাটি প্রত্যাহারের যদি কোনো সুপারিশ করা হয়ে থাকে, সেটি তার সই করা নয়। মামলা প্রত্যাহারের তালিকায় ওয়াকিল হত্যা মামলাটি যদি থেকে থাকে, তাহলে কোনো পক্ষ জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে করতে পারে। এর সঙ্গে তিনি জড়িত নন।
মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশের আসামিদের মধ্যে আলোচিত কারও নাম না লিখে আবদুল্লাহ আল মহসিন ও আবুল কালাম নামের অন্য দুজন আসামির নাম লেখা হয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পিপি বলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। আইন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে পিপির কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চেয়েছে। পিপি তাঁর লিখিত বক্তব্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন। সেখান থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
পিপি আরও বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের দায়ের করা বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানি ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে জেলা থেকে ৫৮০টি মামলার সুপারিশ করা হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী ইতিমধ্যে ২২৩টি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ফেনী জজকোর্টের আইনজীবী পার্থ পাল চৌধুরী, হুমায়ুন কবির বাদল, রেজাউল করিম তুহিন ভূঞা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।