‘অভিনন্দন জসিম মাতুব্বর, এটি আপনার এনআইডি নম্বর’
Published: 5th, October 2025 GMT
জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) জন্য তিন বছর ধরে চেষ্টা করে আসছিলেন ফরিদপুরের জসিম মাতুব্বর (২৬)। কিন্তু জন্ম থেকে দুই হাত না থাকায় আঙুলের ছাপ দিতে পারছিলেন না তিনি। তাই তাঁকে দেওয়া যাচ্ছিল না এনআইডি। নানা চেষ্টা করেও এনআইডি না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন জসিম।
অবশেষে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কদমতলী গ্রামের এই তরুণের দীর্ঘ অপেক্ষা ও ভোগান্তির অবসান হলো। তিনি পেলেন নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র। আজ রোববার বেলা ৩টা ২০ মিনিটে তাঁর মুঠোফোনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে বার্তা এসেছে। এতে লেখা ‘অভিনন্দন জসিম মাতুব্বর, এটি আপনার এনআইডি নম্বর।’
দুই হাত না থাকায় পা দিয়ে লিখে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন জসিম। বর্তমানে তিনি ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছেন। চার ভাইয়ের মধ্যে জসিম বড়। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি হাটে সবজি ও ফল বিক্রি করে নিজের ও পরিবারের খরচ চালান।
জসিমের জীবনে বড় বাধা ছিল এনআইডি না থাকা। এনআইডি না থাকায় সরকারি ও বেসরকারি নানা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন তিনি।
বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দবির উদ্দিন এগিয়ে আসেন। ২৪ সেপ্টেম্বর ইউএনওর উদ্যোগে জসিমকে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর পায়ের আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ সংগ্রহ করা হয়। ইউএনওর সুপারিশসহ তথ্য পাঠানো হয় নির্বাচন কমিশনে। নির্বাচন কমিশন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে এনআইডি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
ইউএনও দবির উদ্দিন বলেন, ‘জসিমের জীবনের গল্প জানার পর খুব অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। হাত না থাকা সত্ত্বেও তিনি নিজের যোগ্যতায় এসএসসি, এইচএসসি পাস করেছেন। তাঁর মতো একজন মেধাবী তরুণ শুধু এনআইডি না থাকার কারণে যেন পিছিয়ে না পড়েন, সেটিই নিশ্চিত করতে চেয়েছি। নির্বাচন কমিশনের দ্রুত পদক্ষেপে আজ তিনি এনআইডি পেয়েছেন। এটি আমাদের সবার জন্য আনন্দের।’ তিনি আরও জানান, আগামীকাল সোমবার সকালে প্রিন্ট করা এনআইডিটি তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে।
এনআইডি পাওয়ার পর আবেগাপ্লুত জসিম মাতুব্বর বলেন, ‘জন্ম থেকে দুই হাত না থাকার কারণে অনেক কষ্ট করেছি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেও পরিচয়পত্র পাইনি। পড়াশোনা, ফরম পূরণ, পরীক্ষায় অংশ নেওয়া—সব জায়গায় বাধা আসত। আজ নিজের এনআইডি পাওয়ায় মনে হচ্ছে, জীবনের বড় একটা অর্জন হলো।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিংয়ে ডিপ্লোমার সুযোগ, যোগ্যতা এসএসসি পাস
অ্যারো মেডিকেল ইনস্টিটিউট (এএমআই) বিএএফ-এ ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে চার বছর ছয় মাস মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং (এমএটিসি) কোর্সে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এটি বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিত্সা অনুষদে নিয়ন্ত্রিত। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর পরিচালিত একটি বিশেষায়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
ভর্তির যোগ্যতা
১. প্রার্থীকে অবশ্যই জন্মসূত্রে বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
২. ২০২১ থেকে ২০২৫ সালের সময়ের মধ্যে এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে উত্তীর্ণ ন্যূনতম জিপিএ ৩.০ পয়েন্ট পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।
৩. উল্লিখিত পরীক্ষায় আবশ্যিকভাবে জীববিজ্ঞান বিষয় থাকতে হবে। জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম জিপিএ ২.০ পয়েন্ট হতে হবে।
আবেদনপত্র সংগ্রহ
ভর্তির আবেদনপত্র, সেন্টার ফি ও আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ ৭০০ টাকা মাত্র (অফেরতযোগ্য) নগদ পরিশোধ করে আবেদনপত্র ও প্রসপেক্টাস সংগ্রহ করতে হবে। ডিপ্লোমা কোর্স চলাকালীন সময়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ঢাকা, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজিতে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
আরও পড়ুনকাতারের হামাদ বিন খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ, আইইএলটিএস ছাড়াই আবেদন ০৩ অক্টোবর ২০২৫আবেদনপত্র সংগ্রহ, জমা ও প্রবেশপত্র সংগ্রহের স্থান
১. অ্যারো মেডিকেল ইনস্টিটিউট বিএএফ, বিমানবাহিনী ঘাঁটি বীরউত্তম এ কে খন্দকার, ঢাকা সেনানিবাস।
২.চিকিত্সা বহর বিমানবাহিনী ঘাঁটি বাশার, ঢাকা সেনানিবাস ।
৩.বিমানবাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক, পতেঙ্গা চট্টগ্রাম।
৪. বিমানবাহিনী ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান, যশোর সেনানিবাস।
আরও পড়ুনহাঙ্গেরিতে স্কলারশিপ, পড়াশোনা ইংরেজিতে হলে আইইএলটিএস বা টোয়েফলের প্রয়োজন নেই ৯ ঘণ্টা আগে২০২১ থেকে ২০২৫ সালের সময়ের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৩ পয়েন্ট পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম জিপিএ ২ পয়েন্ট হতে হবে