নারী বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে ৮৮ রানে হারিয়েছে ভারত। কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ভারত আগে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৪৭ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ৪৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান পর্যন্ত যেতে পারে পাকিস্তান।
ব্যাট হাতে একপ্রান্ত আগলে লড়াই করেন পাকিস্তানের সিদরা আমিন। তিনি ৯টি চার ও ১ ছক্কায় ৮১ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন। এছাড়া নাতালিয়া পারভেজ ৪টি চারে ৩৩ ও সিদরা নওয়াজ করেন ১৪ রান। বাকিদের কেউ ছুঁতে পারেনি দুই অঙ্কের কোটা।
আরো পড়ুন:
শেষ ম্যাচে ১৪৪ রানের টার্গেট দিল আফগানিস্তান
আ.
বল হাতে ভারতের ক্রান্তি গৌড় ১০ ওভারে ৩ মেডেনসহ ২০ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। দীপ্তি শর্মা ৯ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। আর স্নেহ রানা ৮ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।
তার আগে ভারতের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন হারলিন দেওল। এছাড়া বাকিদের মধ্যে অনেকেই ছোট ছোট ইনিংস খেলে অবদান রাখেন। বিশেষ করে রিচা ঘোষ ৩ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫, জেমিমাহ রদ্রিগেজ ৩২, প্রতিকা রাওয়াল ৩১, দীপ্তি শর্মা ২৫, স্মৃতি মান্দানা ২৩ ও স্নেহা ২০ রান করেন।
পাকিস্তানের ডায়ানা বেগ ১০ ওভারে ১ মেডেনসহ ৬৯ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন। সাদিয়া ইকবাল ও ফাতিমা সানা নেন ২টি করে উইকেট।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লা ইপিজেডে ভূমিকম্পের সময় অজ্ঞান-আহত ৮০ নারী শ্রমিক
ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে কুমিল্লা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) কর্মরত অন্তত ৮০ জন নারী শ্রমিক অজ্ঞান ও আহত হয়েছেন। পাঁচজন দৌড়ে কারখনা থেকে বের হতে গিয়ে আহত হন। তাদের মধ্যে ৫০ জন ইপিজেডের ভেতর অবস্থিত বেপজা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে ৩০ জনকে।
কুমিল্লা ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের সময় দুটি কারখানার নারী শ্রমিকরা আতঙ্কে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে গিয়ে প্যানিক অ্যাটাকে আক্রান্ত হন। তবে, গুরুতর আহত হননি কেউ৷ তাদের সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে এখন বাসায় অবস্থান করছেন।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তানভীর আহমেদ জানিয়েছেন, ওই হাসপাতালে অন্তত ৩০ জন শ্রমিককে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূকম্পন অনুভূত হয়। এ সময় কুমিল্লা ইপিজেডে কর্মরত নারীরা দৌড়ে বের হতে গিয়ে আহত হন। তাদের মধ্যে অনেকে ভয়ে অজ্ঞান হয়ে অফিসের মেঝেতে পড়ে যান। তাদেরকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ঢাকা/রুবেল/রফিক