ছোট লক্ষ্য। ভালো শুরুর পর একেবারেই ছন্দে বাংলাদেশ। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন। এরপর তীব্র লড়াই। নখ কামড়ানো মুহূর্ত৷ স্নায়ুযুদ্ধ। শেষমেষ বিজয়ের হাসি। 

শারজাহতে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রতিটির চিত্র একেবারেই একই রকম৷ প্রতিটি ম্যাচের রিপোর্টই যেন হুবহু আগের ম্যাচের মত। পার্থক্য থাকে কেবল ম্যাচের নায়কের। 

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানকে ৮৮ রানে হারাল ভারত

শেষ ম্যাচে ১৪৪ রানের টার্গেট দিল আফগানিস্তান

২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ আজ আফগানিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশ করার মিশনে মাঠে নামে। সেই লড়াইয়ে সবচেয়ে বড় জয় পেয়েছে আজকেই। ৪ ও ২ উইকেটের পর বাংলাদেশ আফগানিস্তানকে হারিয়েছে ৬ উইকেটে। সবচেয়ে বেশি ১২ বল হাতে রেখে আজকেই জয়ের বন্দরে পৌঁছেছে। আগের দুই ম্যাচে বল বাকি ছিল যথাক্রমে ৮টি ও ৫টি। 

বড় রান না হওয়াতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের আমেজ ঠিক পাওয়া যায়নি৷ তিন ম্যাচেই আফগানিস্তান আগে ব্যাটিং পায়। দিনকে দিন রান কেবল কমেছে৷ প্রথম ম্যাচে ৯ উইকেটে ১৫১ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে ৫ উইকেটে ১৪৭। আজ আরো ৪ রান কমেছে, ৯ উইকেটে ১৪৩।  

বাংলাদেশের জয়ের নতুন নায়ক সাইফ হাসান ছক্কা বৃষ্টি নামান শারজাহতে। ৩৮ বলে ৭টি ছক্কা ও ২টি চারে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন সাইফ। দু-একটি শট এদিক-সেদিক হয়েছে। নয়তো পুরো ইনিংসই ছিল শিল্পীর আরাধ্য ক্যানভাস। যেখানে তুলির আঁচড় ছড়িয়ে সাইফ ছড়িয়েছেন মুগ্ধতা। 

আগের দুই ম্যাচের মত আজও বোলিংয়ে বাংলাদেশ দোর্দণ্ড প্রতাপ দেখিয়েছে। আফগানিস্তানের স্কোরবোর্ডের নাটাইটা এক মুহূর্তের জন্যও ছাড় দেননি বোলাররা। নিয়মিত উইকেট নিয়ে তাদেরকে থিতু হতে দেননি৷ সঙ্গে রানের চাকায় লাগাম টেনে রেখেছিলেন।

স্কোরবোর্ডে রান যখন ৯৮, আফগানিস্তানের ৮ ব্যাটসম্যান সাজঘরে। সেখান থেকে আফগানিস্তান ১৪৩ রান করবে সেটা কেউ কল্পনাও করেনি। বোলিংয়ে শেষ দিকে একটু ঢিলেমি দেওয়ায় কয়েকটি বাউন্ডারি এসেছে মুজিব ও দারউইসের ব্যাটে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন দারউইস। মুজিব ২৩ রান করে কিছুটা মান রাখেন। 

সাইফুদ্দিন তিন ওভারে ১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ছিলেন বাংলাদেশের সেরা। দুইটি করে উইকেট নেন নাসুম আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব। 

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আফগ ন স ত ন উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লা ইপিজেডে ভূমিকম্পের সময় অজ্ঞান-আহত ৮০ নারী শ্রমিক 

ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে কুমিল্লা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) কর্মরত অন্তত ৮০ জন নারী শ্রমিক অজ্ঞান ও আহত হয়েছেন। পাঁচজন দৌড়ে কারখনা থেকে বের হতে গিয়ে আহত হন। তাদের মধ্যে ৫০ জন ইপিজেডের ভেতর অবস্থিত বেপজা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে ৩০ জনকে। 

কুমিল্লা ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের সময় দুটি কারখানার নারী শ্রমিকরা আতঙ্কে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে গিয়ে প্যানিক অ্যাটাকে আক্রান্ত হন। তবে, গুরুতর আহত হননি কেউ৷ তাদের সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে এখন বাসায় অবস্থান করছেন।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তানভীর আহমেদ জানিয়েছেন, ওই হাসপাতালে অন্তত ৩০ জন শ্রমিককে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূকম্পন অনুভূত হয়। এ সময় কুমিল্লা ইপিজেডে কর্মরত নারীরা দৌড়ে বের হতে গিয়ে আহত হন। তাদের মধ্যে অনেকে ভয়ে অজ্ঞান হয়ে অফিসের মেঝেতে পড়ে যান। তাদেরকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ঢাকা/রুবেল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ