টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রতিপক্ষকে ধবলধোলাই করার সুখস্মৃতি বাংলাদেশের খুব বেশি নেই। আয়ারল্যান্ড, ইংল্যান্ড আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর গতকাল ছোট এই তালিকায় ঢুকেছে আফগানিস্তানের নাম। ৩-০ ব্যবধানে জেতা সিরিজজয়ী অধিনায়কের তালিকায় যুক্ত হয়েছে জাকের আলীর নামও।

তবে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দেওয়া জাকের বলেছেন, সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব তাঁকে দেওয়ার কিছু নেই। তিনি নিজে জেতাননি। লিটন দাসের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছেন শুধু।

রোববার শারজায় সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। আগের দুই ম্যাচে জয় ছিল ২ ও ৪ উইকেটে। আফগানিস্তানের ‘হোম সিরিজ’টির আগে এশিয়া কাপের সুপার ফোরেও দুটি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জাকের।

নিয়মিত অধিনায়ক লিটন দাস চোটের কারণে ছিটকে যাওয়ায় তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। অধিনায়কত্বের এই পাঁচ ম্যাচে দল তিন জয় পেলেও জাকেরের ব্যাটিং ভালো হয়নি। ৫ ইনিংস ব্যাট করে রান মাত্র ৫৭। সর্বোচ্চ ৩২ রান আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে।

গতকাল সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টির পর সংবাদ সম্মেলনে জাকেরকে তাঁর ব্যাটিংয়ের সমালোচনা নিয়ে জিজ্ঞেস করা হয়। এ বিষয়ে কিছু বলবেন কি না কিংবা জবাব দেবেন কি না জিজ্ঞাসায় তিনি বলেন, ‘এগুলো নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।’

এরপর এক সাংবাদিক জানতে চান তাঁর অধিনায়কত্বে দলের তিন ম্যাচ জয়ের অনুভূতি সম্পর্কে। উত্তরে ২৭ বছর বয়সী এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান সতীর্থদেরই কৃতিত্ব দিয়েছেন, ‘প্রথমে পরিষ্কার করি, আমি ম্যাচ জেতাইনি। সবার প্রচেষ্টায় খেলা জিততে পেরেছি। এখানে আসলে আমাকে কৃতিত্ব দেওয়ার কিছু নেই। আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, আমি সুন্দরভাবে এটা পূরণের চেষ্টা করেছি। লিটনদা ছিল না, ওনার অনুপস্থিতিতে দায়িত্বটা ঠিকমতো শেষ করতে পারার ব্যাপারটা ভালো। তবে সব কৃতিত্ব আমাদের সব খেলোয়াড়ের।’

আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে বাংলাদেশ এখন ওয়ানডে সিরিজের প্রস্তুতিতে নামবে। মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বাধীন দল তিন ওয়ানডের প্রথমটি খেলতে ৮ অক্টোবর (বুধবার)। সিরিজের পরের দুটি ম্যাচ ১১ ও ১৪ অক্টোবর।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আফগ ন স ত ন র

এছাড়াও পড়ুন:

কোনো সরকার শিক্ষা নিয়ে তেমন কিছু করেনি, বর্তমান সরকারও না

বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ভালোভাবে হয় না। সমস্যাটি নতুন নয়, অনেক আগে থেকেই এমন হয়ে আসছে। এটা কাঠামোগত সমস্যা। খণ্ডিতভাবে দেখে, খণ্ডিত উদ্যোগ নিয়ে সমস্যাটির সমাধান হবে না। শিক্ষার মানোন্নয়ন ও বৈষম্য কমানো দরকার।

ধনী ও সচ্ছল পরিবারের সন্তানেরা ভালো শিক্ষা পাবে, নিম্নবিত্তের সন্তানেরা পাবে না, সেটা হতে পারে না। শিক্ষার জন্য সম্পদের সংস্থান কোথা থেকে হবে, সেটার পথ খোঁজা দরকার। সব মিলিয়ে খাত ধরে একটি বড় ধরনের পর্যালোচনা হতে হবে। সেটা কয়েক দিন বা মাসের বিষয় নয়। পর্যালোচনাটি দরকার গভীর ও বিস্তৃত।

আরও পড়ুনবিদ্যালয়ে যেনতেন পড়াশোনা, ভরসা কোচিং ও গৃহশিক্ষক২ ঘণ্টা আগে

বর্তমান সরকার ১১টি বিষয়ে সংস্কার কমিশন করেছে। শিক্ষা খাত নিয়ে কোনো সংস্কার কমিশন করা হয়নি। প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি কমিটি করেছিল। সেই কমিটির প্রধান ছিলাম আমি। আমরা প্রতিবেদন সরকারের কাছে দিয়েছি। সেখানে বিভিন্ন সুপারিশ রয়েছে। কিন্তু সেটা নিয়ে তেমন কোনো কাজ হয়নি। খণ্ডিতভাবে দু-একটি সুপারিশ হয়তো বাস্তবায়ন হয়ে থাকতে পারে।

২০১০ সালে শিক্ষানীতি হয়েছে। তবে তা অনেকাংশে বাস্তবায়ন হয়নি। কারণ, সরকারগুলো কর্তৃত্ব ধরে রাখতে চায়। বিগত ৫৪ বছরে কোনো সরকারই শিক্ষা নিয়ে তেমন কিছু করেনি। বর্তমান সরকার অন্তত একটা সূচনা করতে পারত। সেটাও করেনি।

শিক্ষা খাত আমাদের রাজনৈতিক ব্যর্থতার একটি উদাহরণ। এ খাতের বড় ধরনের সংস্কার দরকার। অতীতের সরকারগুলো যেমন এ খাত নিয়ে কাজ করেনি, তেমনি ভবিষ্যতের সরকার সংস্কার করবে, সে আশাও করতে পারছি না। তবু আশা নিয়ে থাকতে হবে।

মনজুর আহমদ: শিক্ষাবিদ ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক।

[মতামত লেখকের নিজস্ব]

সম্পর্কিত নিবন্ধ