জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টিতে রবিবার (০৬ অক্টোবর) দুটি ম্যাচ ছিল। তার মধ্যে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সকালে অনুষ্ঠিত বরিশাল ও রাজশাহীর মধ্যকার ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। অন্যদিকে দুপুরের অনুষ্ঠিত লো স্কোরিং ম্যাচে ঢাকা মেট্রোকে ৩ উইকেটে হারায় রংপুর বিভাগ।

ঢাকা মেট্রো আগে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ৯০ রান সংগ্রহ করে। জবাব দিতে নেমে ১১ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে রংপুর।

আরো পড়ুন:

শেষ ওভারের নাটকে জিয়াউরের জাদু, খুলনার দুর্দান্ত জয়

বিজয়ের ব্যাটে খুলনার দাপুটে জয়

রংপুরের ইনিংসে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন জাহিদ জাভেদ। অধিনায়ক আকবর আলী করেন ১৭ রান। ১৬টি রান আসে আব্দুল্লাহ আল মামুনের ব্যাট থেকে। এছাড়া ১১ রান করেন নাসির হোসেন। ঢাকা মেট্রোর রাকিবুল হাসান ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন।

তার আগে ঢাকা মেট্রোর ইনিংসে সর্বোচ্চ ২০ রান করেন মাহফিজুল ইসলাম। অধিনায়ক রাকিবুল হাসান করেন অপরাজিত ১৪ রান। এছাড়া তাহজিবুল ইসলাম ১৩, শহীদুল ইসলাম অপরাজিত ১১ ও সাদমান ইসলাম ১০ রান করেন। বল হাতে রংপুরের আবু হাসিম, রাফি উজ্জামান রাফি ও জাহিদ জাভেদ ২টি করে উইকেট নেন।

ব্যাট হাতে ২৬ ও বল হাতে ৮ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন রংপুরের জাহিদ জাভেদ।

এই জয়ে ৭ ম্যাচ থেকে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে অবস্থান নিয়েছে রংপুর। সমান ম্যাচ থেকে সমান পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে পিছিয়ে মেট্রো আছে পঞ্চম স্থানে।

এদিকে রাজশাহীর বিপক্ষে বরিশাল আগে ব্যাট করতে নেমে ১৮ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪০ রান করে। জবাব দিতে নেমে রাজশাহী ১.

৫ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১৭ রান তোলার পর বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি আর শুরু করা যায় যায়নি।

বরিশালের ইনিংসে ইফতেখার হোসেন ইফতি ৩টি চার ও ১ ছক্কায় ৫৫ রান করেন। ফজলে মাহমুদ ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ২২ বলে করেন অপরাজিত ৩৯ রান। এছাড়া সোহাগ গাজীর ব্যাট থেকে আসে ২১ রান।

বল হাতে রাজশাহীর মোহর শেখ ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ৩০ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন।

৭ ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট নিয়ে রাজশাহী আছে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে। আর বরিশাল ৭ ম্যাচ খেলে এখনো কোনো জয়ের দেখা পায়নি। দুটি ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে ২ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে টেবিলের তলানিতে।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর ন উইক ট ন বর শ ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লা ইপিজেডে ভূমিকম্পের সময় অজ্ঞান-আহত ৮০ নারী শ্রমিক 

ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে কুমিল্লা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) কর্মরত অন্তত ৮০ জন নারী শ্রমিক অজ্ঞান ও আহত হয়েছেন। পাঁচজন দৌড়ে কারখনা থেকে বের হতে গিয়ে আহত হন। তাদের মধ্যে ৫০ জন ইপিজেডের ভেতর অবস্থিত বেপজা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে ৩০ জনকে। 

কুমিল্লা ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের সময় দুটি কারখানার নারী শ্রমিকরা আতঙ্কে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে গিয়ে প্যানিক অ্যাটাকে আক্রান্ত হন। তবে, গুরুতর আহত হননি কেউ৷ তাদের সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে এখন বাসায় অবস্থান করছেন।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তানভীর আহমেদ জানিয়েছেন, ওই হাসপাতালে অন্তত ৩০ জন শ্রমিককে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূকম্পন অনুভূত হয়। এ সময় কুমিল্লা ইপিজেডে কর্মরত নারীরা দৌড়ে বের হতে গিয়ে আহত হন। তাদের মধ্যে অনেকে ভয়ে অজ্ঞান হয়ে অফিসের মেঝেতে পড়ে যান। তাদেরকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ঢাকা/রুবেল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ