ঢাকায় তুরস্কের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী, সচিব পর্যায়ের বৈঠক আজ
Published: 7th, October 2025 GMT
তুরস্কের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বেরিস একিনচি দুই দিনের সফরে সোমবার সকালে ঢাকায় এসেছেন। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠেয় বৈঠকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম। তুরস্কের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন দেশটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বেরিস একিনচি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত রস ক র
এছাড়াও পড়ুন:
ভূমিকম্পে আবাসিক হলের দেয়ালে নতুন করে ফাটল, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ভূমিকম্পে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা ফজলুল হক হলের দেয়ালে নতুন করে ফাটল দেখা দিয়েছে। এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। পরে নিরাপত্তা চেয়ে ও হল পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে হলের প্রধান ফটকে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তাঁরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। সেখানে সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন ও প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তাঁরা হলটি পরিদর্শন করেন। এ সময় রাকসুর ভিপি মোস্তাকুর রহমান, এজিএস এস এম সালমান সাব্বিরসহ ছাত্র সংসদের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধিও হল পরিদর্শনে যান।
হলের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আবাসিক হলটি অনেক পুরোনো। বিভিন্ন জায়গায় ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছিল। আজকের ভূমিকম্পের পর হলের পশ্চিম ব্লকের একাংশ হেলে পড়েছে বলে তাঁদের দাবি। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার অজুহাত দেখাচ্ছে। তাঁরা দ্রুত অন্য হলে পুনর্বাসনের দাবি জানান।
শেরেবাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী খালিদ আল হাসান বলেন, ‘ঘুম থেকে ওঠার পরই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এরপর দেখি হলের পশ্চিম ব্লকের একাংশ হেলে পড়েছে। আমরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়েছিলাম। কিন্তু প্রশাসনের কথাবার্তা ছিল হতাশাজনক। তারা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বোঝাচ্ছে। আমাদের জীবনের মূল্যের চেয়ে কী আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বড়? আমরা যে ৩০০ ছাত্র এখানে আছি, কোথায় যাব?’
আবাসিক শিক্ষার্থী মারুফ হোসেন বলেন, ‘১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হলটি কাঠামোগতভাবেই দুর্বল। এখানে কোনো আরসিসি কলাম নেই, ইটের পিলারের ওপর ছাদ। ভূমিকম্পের সময় মনে হচ্ছিল ছাদ ভেঙে পড়বে। বিভিন্ন রুমের পলেস্তারা খসে পড়ছে। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, আমাদের কথা ভেবে রাতেই যেন নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়।’
ভূমিকম্পের পর শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানকে নিয়ে হল পরিদর্শনে যান সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন। পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, ‘ইতিপূর্বেও উপাচার্য মহোদয়সহ আমরা ইঞ্জিনিয়ারিং টিম নিয়ে এই হল পরিদর্শন করেছিলাম। তখনই মনে হয়েছিল, বিল্ডিংটা একটু হেলে গেছে এবং বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে। আজকের ভূমিকম্পের পর অবস্থা আরও খারাপ মনে হচ্ছে। বিষয়টি গভীর এবং সহজ নয়। আমরা ইঞ্জিনিয়ারিং টিমকে টেকনিক্যাল অ্যাসেসমেন্টের দায়িত্ব দিয়েছি।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।শুক্রবার দুপুরে