বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে আফিকুল ইসলাম সাদ (১৮) হত্যা মামলায় ধামরাইয়ের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানসহ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাভারের নবীনগরের একটি আবাসিক এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

আরো পড়ুন:

শহীদ আবরার ফাহাদ বাংলাদেশের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক: ডাকসু

ময়মনসিংহে ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ২

আরো পড়ুন: ‘এখন আমার মোবাইলে ওর ফোন আসে না’

গ্রপ্তাররা হলেন- ধামরাইয়ের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাদ্দেছ হোসেন (৫৮), ঢাকা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও ধামরাই পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সানাউল হক সুজন (৪৫), ধামরাই সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান (৪২), নবযুগ কলেজের ছাত্রলীগ সভাপতি আমিনুল ইসলাম (৩০) ও ছাত্রলীগ নেতা আহাদ হোসেন (৩২)।

পুলিশ জানায়, গত বছরের ৫ আগস্ট সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ধামরাই হার্ডিঞ্জ সরকারি স্কুল এন্ড কলেজ গেটের সামনে গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এসময় কলেজছাত্র আফিকুল ইসলাম সাদ মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনদিন পর ৮ আগস্ট সকালে মারা যান তিনি।

এ ঘটনায় নিহত সাদের নানা আজিম উদ্দিন বাদী হয়ে গত ২১ আগস্ট সাবেক সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৮২ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে ধামরাই থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় আরো ৮০-৯০ জনকে নাম না জানা আসামি করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। মামলার পর থেকে তারা পলাতক ছিলেন।

ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

মনিরুল ইসলাম মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘কলেজছাত্র আফিকুল ইসলাম সাদ হত্যা মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগামীকাল তাদের আদালতে পাঠানো হবে।”

ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় সাংবাদিক হত্যা, গ্রেপ্তার ২

ফেসবুকে দেওয়া একটি সচেতনতামূলক পোস্টকে কেন্দ্র করে বাগেরহাটের সাংবাদিক এএসএম হায়াত উদ্দিনকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুই আসামিকে ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

রবিবার (৫ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর আশুলিয়া পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে আদালতে সোপর্দ করার পর তারা হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. ওমর ফারুক ওরফে ইমন হাওলাদার (২৫) এবং মো. আশিকুল ইসলাম ওরফে আশিক (২৫)। তারা দুজনই বাগেরহাট সদর উপজেলার গোপালকাটি গ্রামের বাসিন্দা।

বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই স্নেহাশিস দাশ বলেন, “পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি চৌকস দল প্রযুক্তিগত সহায়তা ও তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। পরে ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় অবস্থানরত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার দায় স্বীকার করেছে। এই ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “আসামিরা জানিয়েছে, সাংবাদিক হায়াত উদ্দিন তার ফেসবুক আইডিতে একটি সচেতনতামূলক পোস্ট দেন। ওই পোস্টের বিষয়বস্তু নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। পরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলাকারীরা গত শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মোটরসাইকেলে করে চাপাতি, রামদা, ছুরি, লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে হায়াত উদ্দিনের মাথা, ঘাড়, পাঁজর, পেট ও পায়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে গুরুতর জখম করে। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।” 

এ ঘটনায় রবিবার বাগেরহাট সদর মডেল থানায় ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন সাংবাদিক হায়াতের মা হাসিনা বেগম।

ঢাকা/শহিদুল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ