ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। ৩৫ বছর বয়সী তারকা পেসার মিচেল স্টার্ক ফিরেছেন অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলে। গত বছর নভেম্বরে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেন এই বাঁহাতি পেসার। বাদ পড়েছেন ব্যাটসম্যান মারনাস লাবুশেন। এ সিরিজ দিয়ে ওয়ানডেতে অভিষেক হতে পারে স্কোয়াডে ডাক পাওয়া ২৯ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান ম্যাট রেনশর। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ১৯ অক্টোবর পার্থে।

ওয়ানডে সিরিজের পর ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও খেলবে অস্ট্রেলিয়া। এ সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচের স্কোয়াডও ঘোষণা করেছে সিএ। চোট থেকে সেরে না ওঠায় গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের বাইরে রাখা হয়েছে। ৩১ বছর বয়সী নাথান এলিসকে ফেরানো হয়েছে এই সংস্করণে। ২৯ অক্টোবর ক্যানবেরায় অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ।

অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে স্কোয়াড:মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), হ্যাভিয়ের বার্টলেট, অ্যালেক্স ক্যারি (উইকেটকিপার), কুপার কনোলি, বেন ডওয়ারশুইস, নাথান এলিস, ক্যামেরন গ্রিন, জশ হ্যাজলউড, ট্র্যাভিস হেড, জশ ইংলিশ (উইকেটকিপার), মিচেল ওয়েন, ম্যাট রেনশ, ম্যাথু শর্ট, মিচেল স্টার্ক ও অ্যাডাম জ্যাম্পা।

লাবুশেনের ওয়ানডে স্কোয়াড থেকে বাদ পড়াটা প্রত্যাশিতই ছিল। এই সংস্করণে সর্বশেষ ১০ ইনিংসে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর ৪৭। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে রান পাওয়ায় ওয়ানডে স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন রেনশ। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের হয়ে সেঞ্চুরি করেন রেনশ। ২০২২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে স্কোয়াডে ডাক পেলেও সেবার অভিষেকের সুযোগ পাননি তিনি।

আরও পড়ুনটি–টোয়েন্টিতে ছক্কাবাজি: পাকিস্তানের পরেই বাংলাদেশ২ ঘণ্টা আগে

সাউথ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে শেফিল্ড শিল্ডে ম্যাচ থাকায় পার্থে প্রথম ওয়ানডেটি খেলতে পারবেন না উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স ক্যারি। অ্যাশেজ সামনে রেখে লাবুশেনেরও শেফিল্ড শিল্ডে রান করে টেস্ট দলে ফেরার সুযোগ আছে। তাসমানিয়ার বিপক্ষে ১৬০ রানের ইনিংসে মৌসুমে শুরুটা দারুণ করেছেন লাবুশেন।

ওয়ানডে স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন লাবুশেন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

হাতিয়া পৌরসভা আ.লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার

নোয়াখালীর হাতিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম ছাইফ উদ্দিনকে (৫৮) গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।

সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে দিকে তাকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে। 

এর আগে, গতকাল সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে হাতিয়া আদালত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ রাজনীতির পাশাপাশি ছাইফ উদ্দিন স্থানীয় আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি তিনটি সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের হওয়া মামলার আসামি ছিলেন। 

সোমবার দুপুরের দিকে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য যৌথ বাহিনীর সদস্যরা হাতিয়া আদালত এলাকায় অবস্থান নেন। পরবর্তীতে একই দিন বিকাল ৫টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। তাৎক্ষণিক তার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ও মুক্তির দাবি করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী উপজেলা সদরের ওছখালীতে বিক্ষোভ করে। এসময় যৌথ বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দিলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। 

একই সময়ে আওয়ামী লীগ নেতার গ্রেপ্তারকে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মিছিল করে। 

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, “তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে তিনটি মামলা রয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল করার জন্য জড়ো হয়েছিলেন। পুলিশ তাদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। মঙ্গলবার বিকালে তাকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোর্পদ করা হবে।”

ঢাকা/সুজন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ