ছাত্রদল প্যানেলকে সমর্থন জানিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ালেন সর্বজনীন শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ প্যানেলের দুই প্রার্থী। 

তারা হলেন, ভিপি প্রার্থী সাঈদ মো. রেদওয়ান ও দপ্তর সম্পাদক প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন সালমান। তারা উভয়ই শাখা ছাত্রদলের কর্মী।

আরো পড়ুন:

রাকসু: ছাত্রদলের বিরুদ্ধে ভোটারদের অর্থ প্রদানের অভিযোগ শিবিরের

২ দাবিতে ইবি ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচি

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) চাকসু ভবনে বিকেল ৪টায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত জানান তারা।

লিখিত বক্তব্যে সাঈদ মো.

রেদওয়ান বলেন, “ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রতিটি শিক্ষার্থীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। আর ৩৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনের অংশ হতে পারাটা আমার জন্য ছিল গর্বের বিষয়।  ছাত্রদলের সঙ্গে আমার আত্মিক বন্ধন রয়েছে। আমি এই সংগঠনকে হৃদয়ে ধারণ করি এবং সংগঠনের আদর্শ ও সিদ্ধান্তকে সর্বোচ্চ সম্মান করি। তাই, আমার সংগঠন কর্তৃক মনোনীত ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় ভাইয়ের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে, আমি আমার প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিচ্ছি।”

লিখিত বক্তব্যে সাখাওয়াত হোসেন সালমান বলেন, “আজকের এ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আমি গভীরভাবে উপলব্ধি করছি, ব্যক্তির চেয়ে দল কতখানি বড়। ছাত্রদলের সঙ্গে আমার আত্মিক বন্ধন রয়েছে। আমি এই সংগঠনকে হৃদয়ে ধারণ করি এবং সংগঠনের আদর্শ ও সিদ্ধান্তকে সর্বোচ্চ সম্মান করি। তাই, আমার সংগঠন কর্তৃক মনোনীত দপ্তর সম্পাদক প্রার্থী তৌহিদুল ইসলাম ভাইয়ের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে, আমি আমার প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিচ্ছি।”

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে তারা জানান, দল থেকে কোনো চাপ নয়, বরং ব্যক্তিগত কারণে তারা নির্বাচন থেকে সরে এসেছেন। দীর্ঘদিন পর চাকসু নির্বাচনে দলের প্যানেলে তারা মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছিলেন। কিন্তু প্যানেলে স্থান না পাওয়ায় তারা স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু এখন দলের বৃহত্তর স্বার্থে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন এই দুই প্রার্থী।

তারা আরো জানান, তাদের প্যানেল থেকে শুধু তারাই সরে এসেছেন। বাকিরা নির্বাচন করবে কি করবে না, সেটা তাদের একান্ত সিদ্ধান্ত।

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ছ ত রদল র স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

জামালের হ্যাটট্রিকে আবারও ঢাকার পথে রাবি

ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবলের তৃতীয় আসরে রাজশাহী অঞ্চল থেকে এবারও চূড়ান্ত পর্বের টিকিট পেয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। রাজশাহী মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে গতকাল পড়ন্ত বিকেলে আঞ্চলিক ফাইনালে রাবির সামনে দাঁড়াতেই পারেনি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। ৬-০ গোলের বিশাল জয়ে উৎসবে মেতে উঠেছিলেন রাবির খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা।

এই আনন্দের মধ্যমণি ছিলেন স্ট্রাইকার জামাল উদ্দিন—হ্যাটট্রিক করেছেন। ম্যাচসেরা বেছে নিতে তাই অন্য কারও নাম ভাবতেই হয়নি। এবারের টুর্নামেন্টের ১১তম ম্যাচে প্রথম হ্যাটট্রিক হলো। নিজের হ্যাটট্রিক আর দলের চূড়ান্ত পর্বে ওঠার জোড়া আনন্দে জামাল চোখ রাখছেন আরও সামনে, ‘গতবার আমরা সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিলাম, তবে এবার রাজশাহীতে কাপ আনার লক্ষ্য আমাদের।’

আগামী ৭-৮ ডিসেম্বর ঢাকার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে হবে চূড়ান্ত পর্ব বা কোয়ার্টার ফাইনাল, যেখানে খেলবে রাবি। কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে চিটাগাং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিও। চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে চূড়ান্ত পর্বে উঠেছে এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়। কোয়ার্টার ফাইনালের বাকি পাঁচ দলের নাম জানা যাবে খুলনা ও ঢাকা পর্ব শেষে। খুলনা পর্ব আগামীকাল। এরপর ২৮ নভেম্বর থেকে ঢাকা পর্ব।

আরও পড়ুনরাজশাহী পর্বের বর্ণিল উদ্বোধন করলেন এমিলি৮ ঘণ্টা আগে

আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে রাবি গতকাল দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে ২-০ গোলে হারায়। ম্যাচসেরা হন দলের ফরোয়ার্ড ও সহ–অধিনায়ক সুমন হাসান সবুজ। এর আগে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় আঞ্চলিক ফাইনালে ওঠার পথে দিনের প্রথম ম্যাচে সহজেই আহ্ছানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেয়, যেখানে ম্যাচসেরা হন মিডফিল্ডার ও দলের অধিনায়ক এস এম তুষার আহমেদ রাজ।

হ্যাটট্রিক করে ম্যাচসেরা হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জামাল উদ্দিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ