চাকসু: ছাত্রদলকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরলেন দুই প্রার্থী
Published: 7th, October 2025 GMT
ছাত্রদল প্যানেলকে সমর্থন জানিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ালেন সর্বজনীন শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ প্যানেলের দুই প্রার্থী।
তারা হলেন, ভিপি প্রার্থী সাঈদ মো. রেদওয়ান ও দপ্তর সম্পাদক প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন সালমান। তারা উভয়ই শাখা ছাত্রদলের কর্মী।
আরো পড়ুন:
রাকসু: ছাত্রদলের বিরুদ্ধে ভোটারদের অর্থ প্রদানের অভিযোগ শিবিরের
২ দাবিতে ইবি ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচি
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) চাকসু ভবনে বিকেল ৪টায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত জানান তারা।
লিখিত বক্তব্যে সাঈদ মো.
লিখিত বক্তব্যে সাখাওয়াত হোসেন সালমান বলেন, “আজকের এ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আমি গভীরভাবে উপলব্ধি করছি, ব্যক্তির চেয়ে দল কতখানি বড়। ছাত্রদলের সঙ্গে আমার আত্মিক বন্ধন রয়েছে। আমি এই সংগঠনকে হৃদয়ে ধারণ করি এবং সংগঠনের আদর্শ ও সিদ্ধান্তকে সর্বোচ্চ সম্মান করি। তাই, আমার সংগঠন কর্তৃক মনোনীত দপ্তর সম্পাদক প্রার্থী তৌহিদুল ইসলাম ভাইয়ের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে, আমি আমার প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিচ্ছি।”
সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে তারা জানান, দল থেকে কোনো চাপ নয়, বরং ব্যক্তিগত কারণে তারা নির্বাচন থেকে সরে এসেছেন। দীর্ঘদিন পর চাকসু নির্বাচনে দলের প্যানেলে তারা মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছিলেন। কিন্তু প্যানেলে স্থান না পাওয়ায় তারা স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু এখন দলের বৃহত্তর স্বার্থে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন এই দুই প্রার্থী।
তারা আরো জানান, তাদের প্যানেল থেকে শুধু তারাই সরে এসেছেন। বাকিরা নির্বাচন করবে কি করবে না, সেটা তাদের একান্ত সিদ্ধান্ত।
ঢাকা/মিজান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ছ ত রদল র স গঠন
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্রদলকে সমর্থন জানিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার দুই প্রার্থীর
ছাত্রদলকে সমর্থন জানিয়ে আসন্ন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন দুই প্রার্থী। তাঁরা হলেন ‘সর্বজনীন ছাত্র ঐক্য পরিষদ’ প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী সাঈদ মো. রেদোয়ান ও দপ্তর সম্পাদক পদপ্রার্থী সাখাওয়াত হোসাইন সালমান।
আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাঈদ মো. রেদোয়ান বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সঙ্গে আমার আত্মিক বন্ধন রয়েছে। আমি সংগঠনের আদর্শ ও সিদ্ধান্তকে সর্বোচ্চ সম্মান করি। তাই আমার সংগঠন কর্তৃক মনোনীত ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়ের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে আমার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করছি।’
দপ্তর সম্পাদক পদপ্রার্থী সাখাওয়াত হোসাইন সালমান বলেন, ‘ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রত্যেক শিক্ষার্থীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। ৩৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনের অংশ হতে পারা ছিল গর্বের বিষয়। তবে সংগঠনের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমি আমার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করছি এবং মনোনীত প্রার্থী তৌহিদুল ইসলামের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি।’
দুজনই তাঁদের বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী ও সহপাঠীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে সাঈদ মো. রেদোয়ান সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘এটি কোনো রাজনৈতিক চাপের কারণে নয়। দলের প্রতি দায়বদ্ধতার কারণেই আমরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছি।’
গত ২৫ সেপ্টেম্বর চাকসু নির্বাচনের ১৩তম প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছিল। ‘সর্বজনীন ছাত্র ঐক্য পরিষদ’ নামের ওই প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে সাঈদ মো. রেদোয়ান ও দপ্তর সম্পাদক পদে সাখাওয়াত হোসাইন সালমান নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
প্রায় তিন দশক পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সপ্তম চাকসু নির্বাচন হতে যাচ্ছে। একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে হল সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ২৭ হাজার।
১৫ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চাকসু নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ভোট গণনা শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী চাকসু ও হল সংসদে চূড়ান্ত প্রার্থী আছেন ৯০৭ জন। এর মধ্যে চাকসুর ২৬টি পদের বিপরীতে ৪১৫ জন ও হল সংসদে ৪৮৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। নির্বাচনে ভোটার ২৭ হাজার ৫২১ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১৬ হাজার ৮৪ জন ও ছাত্রী ১১ হাজার ৩২৯ জন।