বিএনপি নেতা শাহিন শওকতকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে শিবগঞ্জে সড়ক অবরোধ
Published: 9th, November 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত দলের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহিন শওকতকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন তাঁর সমর্থকেরা। আজ রোববার বিকেলে শিবগঞ্জের কানসাটে শিবগঞ্জ-সোনা মসজিদ স্থলবন্দর সড়ক অবরোধ করে তাঁরা বিক্ষোভ করেন। এতে আধা ঘণ্টা সড়কের যান চলাচল বন্ধ থাকে।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ৩ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭টি আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক শাহজাহান মিঞাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। একই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহিন শওকত।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, আজ বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ‘শিবগঞ্জের সর্বস্তরের জনগণ’ ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শাহিন শওকতের সমর্থকেরা। মিছিল থেকে শাহজাহান মিঞার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিয়ে শাহিন শওকতকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানানো হয়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা শিবগঞ্জ-সোনা মসজিদ স্থলবন্দর সড়ক অবরোধ করেন। এতে স্থলবন্দর থেকে আসা আমদানি পণ্যের ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে। প্রায় আধা ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কিবরিয়া বলেন, শাহিন শওকতের কর্মী-সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করে। তাঁরা সড়ক ছাড়লে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা সৈয়দ শাহিন শওকত সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিক্ষোভ বা সড়ক অবরোধের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে শিবগঞ্জের বিএনপির নেতা–কর্মীরা আমাকে ভালোবাসেন। তাঁরা জানেন, বিএনপির জন্য শিবগঞ্জে কে বা কারা ডেডিকেটেড। হয়তো এবারের প্রার্থী বাছাইয়ে তাঁদের আকাঙ্ক্ষা বা প্রত্যাশার প্রতিফলন হয়নি। তাই কর্মসূচি পালন করেছেন।’ তিনি বলেন, দল যে সিদ্ধান্ত নেবে, তার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ হ ন শওকত ব এনপ র শ বগঞ জ র ধ কর
এছাড়াও পড়ুন:
৭ বছর পর হিলি দিয়ে ভারত থেকে এসেছে ২৫ টন আপেল
ফল আমদানিতে ট্রাকের চাকা অনুযায়ী শুল্কায়ন প্রথার কারণে দীর্ঘ সাত বছর পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আপেল আমদানি শুরু হয়েছে। আজ রোববার বেলা আড়াইটার দিকে ২৫ মেট্রিক টন আপেলবোঝাই একটি ভারতীয় ট্রাক হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ২০১৮ সালে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সর্বশেষ আপেল আমদানি হয়েছিল বলে হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
আজ আমদানি হওয়া আপেল এনেছে চট্টগ্রামের খাজা আজমির ট্রেডিং নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। ভারতের কাশ্মীর থেকে এসব আপেল আমদানি করে প্রতিষ্ঠানটি। আর ভারতের মালদহ এলাকার মেসার্স ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ নামের একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব আপেল রপ্তানি করেছে বলে হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন সূত্রে জানা গেছে। তবে ভারত থেকে আমদানি হওয়া এসব আপেল খালাস করতে হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ দপ্তর থেকে এখনো ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেনি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।
হিলি স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর ইসলাম বলেন, ‘করোনার আগে ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আপেল আমদানি হয়েছিল। তারপর আর আমদানি হয়নি। আপেল আমদানিতে হিলি কাস্টমস আমাদের যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। দেশের বাজারে আপেলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এখন আবার এ ফল আমদানি হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সবাই সহযোগিতা করলে ভবিষ্যতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সব ধরনের ফল আমদানি হবে। এতে এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে।’
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, দীর্ঘ বিরতির পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২৫ মেট্রিক টন আপেল আমদানি হয়েছে। বন্দর থেকে আপেল খালাসের ছাড়পত্রের জন্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এখনো আবেদন করেনি। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৩টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৪০০ মেট্রিক টন আপেল আমদানির অনুমতি (আইপি) দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আদেশ অনুযায়ী, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ফল আমদানির ক্ষেত্রে ৬ চাকার গাড়িতে ১৪ টন, ১০ চাকার গাড়িতে ১৮ টন এবং ১২ চাকার গাড়িতে ২০ টন পণ্যের শুল্কায়নব্যবস্থা চালু রয়েছে। এ শুল্কায়নের ফলে ফল আমদানিতে খরচ বেশি হওয়ায় আমদানিকারকদের অনীহার কারণে ২০১৮ সালে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সব ধরনের তাজা ফল আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।