ছাত্রদলকে সমর্থন জানিয়ে আসন্ন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন দুই প্রার্থী। তাঁরা হলেন ‘সর্বজনীন ছাত্র ঐক্য পরিষদ’ প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী সাঈদ মো. রেদোয়ান ও দপ্তর সম্পাদক পদপ্রার্থী সাখাওয়াত হোসাইন সালমান।

আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে সাঈদ মো.

রেদোয়ান বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সঙ্গে আমার আত্মিক বন্ধন রয়েছে। আমি সংগঠনের আদর্শ ও সিদ্ধান্তকে সর্বোচ্চ সম্মান করি। তাই আমার সংগঠন কর্তৃক মনোনীত ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়ের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে আমার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করছি।’

দপ্তর সম্পাদক পদপ্রার্থী সাখাওয়াত হোসাইন সালমান বলেন, ‘ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রত্যেক শিক্ষার্থীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। ৩৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনের অংশ হতে পারা ছিল গর্বের বিষয়। তবে সংগঠনের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমি আমার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করছি এবং মনোনীত প্রার্থী তৌহিদুল ইসলামের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি।’

দুজনই তাঁদের বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী ও সহপাঠীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে সাঈদ মো. রেদোয়ান সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘এটি কোনো রাজনৈতিক চাপের কারণে নয়। দলের প্রতি দায়বদ্ধতার কারণেই আমরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছি।’

গত ২৫ সেপ্টেম্বর চাকসু নির্বাচনের ১৩তম প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছিল। ‘সর্বজনীন ছাত্র ঐক্য পরিষদ’ নামের ওই প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে সাঈদ মো. রেদোয়ান ও দপ্তর সম্পাদক পদে সাখাওয়াত হোসাইন সালমান নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

প্রায় তিন দশক পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সপ্তম চাকসু নির্বাচন হতে যাচ্ছে। একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে হল সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ২৭ হাজার।

১৫ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চাকসু নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ভোট গণনা শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী চাকসু ও হল সংসদে চূড়ান্ত প্রার্থী আছেন ৯০৭ জন। এর মধ্যে চাকসুর ২৬টি পদের বিপরীতে ৪১৫ জন ও হল সংসদে ৪৮৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। নির্বাচনে ভোটার ২৭ হাজার ৫২১ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১৬ হাজার ৮৪ জন ও ছাত্রী ১১ হাজার ৩২৯ জন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ঈদ ম

এছাড়াও পড়ুন:

জামালের হ্যাটট্রিকে আবারও ঢাকার পথে রাবি

ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবলের তৃতীয় আসরে রাজশাহী অঞ্চল থেকে এবারও চূড়ান্ত পর্বের টিকিট পেয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। রাজশাহী মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে গতকাল পড়ন্ত বিকেলে আঞ্চলিক ফাইনালে রাবির সামনে দাঁড়াতেই পারেনি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। ৬-০ গোলের বিশাল জয়ে উৎসবে মেতে উঠেছিলেন রাবির খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা।

এই আনন্দের মধ্যমণি ছিলেন স্ট্রাইকার জামাল উদ্দিন—হ্যাটট্রিক করেছেন। ম্যাচসেরা বেছে নিতে তাই অন্য কারও নাম ভাবতেই হয়নি। এবারের টুর্নামেন্টের ১১তম ম্যাচে প্রথম হ্যাটট্রিক হলো। নিজের হ্যাটট্রিক আর দলের চূড়ান্ত পর্বে ওঠার জোড়া আনন্দে জামাল চোখ রাখছেন আরও সামনে, ‘গতবার আমরা সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিলাম, তবে এবার রাজশাহীতে কাপ আনার লক্ষ্য আমাদের।’

আগামী ৭-৮ ডিসেম্বর ঢাকার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে হবে চূড়ান্ত পর্ব বা কোয়ার্টার ফাইনাল, যেখানে খেলবে রাবি। কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে চিটাগাং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিও। চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে চূড়ান্ত পর্বে উঠেছে এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়। কোয়ার্টার ফাইনালের বাকি পাঁচ দলের নাম জানা যাবে খুলনা ও ঢাকা পর্ব শেষে। খুলনা পর্ব আগামীকাল। এরপর ২৮ নভেম্বর থেকে ঢাকা পর্ব।

আরও পড়ুনরাজশাহী পর্বের বর্ণিল উদ্বোধন করলেন এমিলি৮ ঘণ্টা আগে

আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে রাবি গতকাল দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে ২-০ গোলে হারায়। ম্যাচসেরা হন দলের ফরোয়ার্ড ও সহ–অধিনায়ক সুমন হাসান সবুজ। এর আগে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় আঞ্চলিক ফাইনালে ওঠার পথে দিনের প্রথম ম্যাচে সহজেই আহ্ছানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেয়, যেখানে ম্যাচসেরা হন মিডফিল্ডার ও দলের অধিনায়ক এস এম তুষার আহমেদ রাজ।

হ্যাটট্রিক করে ম্যাচসেরা হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জামাল উদ্দিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ