পুলিশের ওপর একের পর এক হামলা, উদ্বেগে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন
Published: 7th, October 2025 GMT
নরসিংদী, বগুড়া, সিলেট ও ফেনীতে পুলিশের ওপর সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। এসব ঘটনাকে পরিকল্পিত ও মনোবল ভাঙার অপচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করে ভবিষ্যতে আরো কঠোর অবস্থানে যাওয়ার কথা জানিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মো.
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা
ডিএমপির পাঁচ কর্মকর্তাকে পদায়ন
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৪ অক্টোবর নরসিংদীতে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে অভিযানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের ওপর হামলা চালানো হয়। একই দিন বগুড়ার শিবগঞ্জে নিষিদ্ধ সংগঠনের এক সদস্যকে গ্রেপ্তারের সময় হাতকড়াসহ আসামি ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এতে আহত হন তিন পুলিশ সদস্য।
পরদিন ৫ অক্টোবর সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে নিয়মিত চেকপোস্টে ট্রাক শ্রমিকদের হামলায় আরো পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন।
মঙ্গলবার ফেনীর সোনাগাজী থানায় পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে এক আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, এসব ঘটনা আমাদের ব্যথিত করেছে। একটি কুচক্রি মহল সুপরিকল্পিতভাবে পুলিশের মনোবল ভাঙতে ইউনিফর্মধারী পুলিশ সদস্যদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা দিচ্ছে এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করছে।
সংগঠনটির ভাষ্য, জনশৃঙ্খলা ও আইনের শাসনের পরিপন্থী এসব অপচেষ্টা ঠেকাতে পেশাদারিত্বের সঙ্গে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেবে পুলিশ। বেআইনি কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে পুলিশ সবসময় তৎপর এবং ভবিষ্যতেও তৎপর থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আদর্শ ও লক্ষ্য বাস্তবায়নে পুলিশ বাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাবে।
ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ল শ সদস য র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
খাগড়াছড়ির সহিংসতা তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি এইচআরএফবির
খাগড়াছড়িতে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও অপরাধীদের জবাবদিহি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)।
মঙ্গলবার সংগঠনটির সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই দাবি জানান। সাক্ষাৎ শেষে মানবাধিকার সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এইচআরএফবি জানায়, খাগড়াছড়ি জেলায় এক মারমা কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালে বলপ্রয়োগ ও সংঘর্ষের সময় তিনজন আদিবাসী তরুণ নিহত হন। পাশাপাশি স্থানীয় আদিবাসী নাগরিকদের বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগের ঘটনার বিষয়ে প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ ছাড়া প্রতিনিধিদল সহিংসতার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের পাশাপাশি অপরাধীদের জবাবদিহি এবং অতিরিক্ত বলপ্রয়োগকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন, গুইমারায় শান্তি ও আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, আদিবাসীদের জীবন ও সাংস্কৃতিক অধিকার রক্ষার বিষয়ে আলোচনা করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রতিনিধিদল ওই এলাকার পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য অবিলম্বে সরকারের কার্যকর হস্তক্ষেপ ও পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান। পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগ ও নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনকে নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের সমস্যাগুলোর টেকসই সমাধানের উপায় খোঁজার জন্য একটি জাতীয় সম্মেলন আয়োজনের আহ্বান জানান।
সাত সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশের (এইচআরএফবি) স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য এবং বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, ব্লাস্টের পরিচালক মাহবুবা আখতার, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ও এইচআরএফবির সদস্য ইফতেখারুজ্জামান, কাপেং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও এইচআরএফবির সদস্য পল্লব চাকমা, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী ও এইচআরএফবির স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য জাকির হোসেন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও এইচআরএফবির সদস্য বনশ্রী মিত্র নিয়োগী, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) উপদেষ্টা মাবরুক মোহাম্মদ।