শেরপুর সীমান্তে ২ পাচারকারীসহ ২৪ জন আটক, পালিয়েছে মূলহোতা
Published: 7th, October 2025 GMT
শেরপুরের ঝিনাইগাতী সীমান্তে ভারতে মানব পাচারকালে পাচারকারীচক্রের দুই সদস্যসহ ২৪ জনকে আটক করেছে বিজিবি। তবে পাচারকারী চক্রের প্রধান হোতা মহিদুল ইসলাম পালিয়ে যান।
সোমবার (৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ৩৯ বিজিবি ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ হলদীগ্রাম বিওপির একটি টহল দল বিশেষ অভিযানে ১১১০ সীমান্ত পিলারের আনুমানিক ৮০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরের একটি গজারী বাগান থেকে তাদের আটক করে।
আরো পড়ুন:
মেহেরপুর সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক
নদীতে কলাগাছে ভাসিয়ে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ
এ সময় তাদের বহনকারী চারটি সিএনজি অটোরিকশা এবং দেহ তল্লাশি করে নগদ ৫৪ হাজার ৪০০ টাকা, সীমকার্ডসহ ১৪টি মোবাইল ফোন, একটি করে হাতঘড়ি ও পাওয়ারব্যাংক জব্দ করা হয়। পরে বিজিবির পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করে ঝিনাইগাতী থানায় তাদের সোপর্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় অবৈধভাবে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার শালবাগান এলাকার সীমান্ত পিলার ১১১০ এর কাছ দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা কালে তাদের আটক করা হয়। আটকরা ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে চেন্নাই শহরে রাজমিস্ত্রি ও শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন, আটকরা প্রত্যেকে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে দালাল চক্রের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন।
বিজিবি আরো জানায়, অভিযানের সময় পাচারকারী চক্রের প্রধান হোতা মহিদুল ইসলাম (৩০) পালিয়ে গেলেও অপর দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
তারা হলেন, শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলার বাতকুচি এলাকার মৃত আলাল উদ্দিনের ছেলে মজনু মিয়া (৩৬) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার কুদালকাটি গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মিলন হক (৩৫)।
আটকদের মধ্যে পাচারের জন্য জড়ো করা ১৮ জনের মধ্যে ১৬ জন চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার এবং অন্য দুইজন নাটোর ও রাজশাহী জেলার অধিবাসী। এছাড়াও চার সিএনজি চালকরা শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী, সমশ্চুড়া ও বুরুঙ্গা এলাকার বাসিন্দা।
আটকদের মধ্যে রয়েছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বারবশিয়া ঘনটলা গ্রামের মো.
এছাড়াও রাজশাহী জেলার লারেংপুর গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে মো. আকবর (২৯), চরআসরাদাও গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে বিপ্লব হোসেন (১৯) ও নাটোর জেলার কৈপারিকৃষ্ণপুর গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. রতন আলী।
চার সিএনজি চালক হলেন, শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলার বাতকুচি এলাকার মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪০), উদলাকুচি এলাকার মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে মো. ফারুক (৪০), সমশচূড়া এলাকার মৃত আল-আমীনের ছেলে ইমন (২০) ও বাইগরপাড়া গ্রামের মৃত মুসাআলীর ছেলে সুলাইমান (৪০)।
ময়মনসিংহ বিজিবি ৩৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মেহেদি হাসান বলেন, “আটকদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী মানবপাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিজিবিসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।”
তিনি বলেন, “শেরপুর জেলার আন্তর্জাতিক সীমানা রক্ষায় এবং যেকোনো ধরনের অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা সদা জাগ্রত থেকে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে বিজিবি। সীমান্তে মাদক, চোরাচালানী মালামাল এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধকল্পে বিজিবি কঠোরতা নীতি অনুসরণ করছে এবং এই ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল-আমিন জানিয়েছেন, বিজিবির পক্ষ থেকে আটক ২৪ জনকে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এবং পাসপোর্ট ব্যতীত অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের অপরাধে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
ঢাকা/তারিকুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক ক ল ইসল ম র ছ ল আল র ছ ল প চ রক র এল ক র ম উপজ ল র আটকদ র
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুর সীমান্তে ২ পাচারকারীসহ ২৪ জন আটক, পালিয়েছে মূলহোতা
শেরপুরের ঝিনাইগাতী সীমান্তে ভারতে মানব পাচারকালে পাচারকারীচক্রের দুই সদস্যসহ ২৪ জনকে আটক করেছে বিজিবি। তবে পাচারকারী চক্রের প্রধান হোতা মহিদুল ইসলাম পালিয়ে যান।
সোমবার (৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ৩৯ বিজিবি ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ হলদীগ্রাম বিওপির একটি টহল দল বিশেষ অভিযানে ১১১০ সীমান্ত পিলারের আনুমানিক ৮০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরের একটি গজারী বাগান থেকে তাদের আটক করে।
আরো পড়ুন:
মেহেরপুর সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক
নদীতে কলাগাছে ভাসিয়ে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ
এ সময় তাদের বহনকারী চারটি সিএনজি অটোরিকশা এবং দেহ তল্লাশি করে নগদ ৫৪ হাজার ৪০০ টাকা, সীমকার্ডসহ ১৪টি মোবাইল ফোন, একটি করে হাতঘড়ি ও পাওয়ারব্যাংক জব্দ করা হয়। পরে বিজিবির পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করে ঝিনাইগাতী থানায় তাদের সোপর্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় অবৈধভাবে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার শালবাগান এলাকার সীমান্ত পিলার ১১১০ এর কাছ দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা কালে তাদের আটক করা হয়। আটকরা ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে চেন্নাই শহরে রাজমিস্ত্রি ও শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন, আটকরা প্রত্যেকে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে দালাল চক্রের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন।
বিজিবি আরো জানায়, অভিযানের সময় পাচারকারী চক্রের প্রধান হোতা মহিদুল ইসলাম (৩০) পালিয়ে গেলেও অপর দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
তারা হলেন, শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলার বাতকুচি এলাকার মৃত আলাল উদ্দিনের ছেলে মজনু মিয়া (৩৬) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার কুদালকাটি গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মিলন হক (৩৫)।
আটকদের মধ্যে পাচারের জন্য জড়ো করা ১৮ জনের মধ্যে ১৬ জন চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার এবং অন্য দুইজন নাটোর ও রাজশাহী জেলার অধিবাসী। এছাড়াও চার সিএনজি চালকরা শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী, সমশ্চুড়া ও বুরুঙ্গা এলাকার বাসিন্দা।
আটকদের মধ্যে রয়েছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বারবশিয়া ঘনটলা গ্রামের মো. আনারুল ইসলামের ছেলে মো. মজিবুর রহমান (২৫), মামুন রশিদের ছেলে শাহরিয়ার ইমন (২১), মো. ইসতার আলীর ছেলে ওয়াহিদ (৩৮), মৃত মনজুর আলীর ছেলে মো. কুরবান আলী (৪৫), বাবুল আলীর ছেলে মো. মিঠুন আলী (২৭), আনিসুর রহমানের ছেলে জয়নুল হোসেন (৩০), ফারুক মিয়ার ছেলে ইব্রাহীম (৩৩), মৃত আলা উদ্দিনের ছেলে মো. মাহাবুর (৪৭), মৃত ছাত্তারের ছেলে মো. মামুন (৪০), মাসকাটাদিঘী গ্রামের নূরুল হুদার ছেলে তৌফিক ওমর (২৩), মহারাজ নগর ডালপাড়া গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে আখতারুল (২৯), বাঘরআলী বিশ্বাসপাড়া গ্রামের আব্দুল বাসিরের ছেলে মো. শাকিল (২৯), ইসলামপুর গ্রামের মৃত তরিকুল ইসলামের ছেলে মো. ইয়াকুব আলী (৩০), চরবাগডাঙ্গা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মো. তারিফ (২৭), একই গ্রামের সফিকুল ইসলামের ছেলে আসমাউল (১৮)।
এছাড়াও রাজশাহী জেলার লারেংপুর গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে মো. আকবর (২৯), চরআসরাদাও গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে বিপ্লব হোসেন (১৯) ও নাটোর জেলার কৈপারিকৃষ্ণপুর গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. রতন আলী।
চার সিএনজি চালক হলেন, শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলার বাতকুচি এলাকার মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪০), উদলাকুচি এলাকার মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে মো. ফারুক (৪০), সমশচূড়া এলাকার মৃত আল-আমীনের ছেলে ইমন (২০) ও বাইগরপাড়া গ্রামের মৃত মুসাআলীর ছেলে সুলাইমান (৪০)।
ময়মনসিংহ বিজিবি ৩৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মেহেদি হাসান বলেন, “আটকদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী মানবপাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিজিবিসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।”
তিনি বলেন, “শেরপুর জেলার আন্তর্জাতিক সীমানা রক্ষায় এবং যেকোনো ধরনের অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা সদা জাগ্রত থেকে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে বিজিবি। সীমান্তে মাদক, চোরাচালানী মালামাল এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধকল্পে বিজিবি কঠোরতা নীতি অনুসরণ করছে এবং এই ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল-আমিন জানিয়েছেন, বিজিবির পক্ষ থেকে আটক ২৪ জনকে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এবং পাসপোর্ট ব্যতীত অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের অপরাধে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
ঢাকা/তারিকুল/মেহেদী