খুলনায় মুস্তাসিম বিল্লাহকে (২৫) অপহরণ করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবির মামলায় তিন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (৬ অক্টোবর) গভীর রাতে নগরীর পশ্চিম বানিয়াখামার এলাকা থেকে খুলনা সদর থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। 

কেএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) খোন্দকার হোসেন আহমদ গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছেন। 

আরো পড়ুন:

চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা 

বরগুনায় গৃহবধূকে হত্যা: স্বামী-সতীনসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

গ্রেপ্তাররা হলেন, নগরীর পশ্চিম বানিয়াখামার এলাকার শেখ ওমর আলীর ছেলে ফেরদাউস (৩০), বি কে রায় রোড এলাকার হাবিবুর রহমান আকনের ছেলে রমজান আকন (২৮) এবং কৃষ্ণনগর এলাকার আমিরুল ইসলামের ছেলে মনিরুজ্জামান (২৪)।

খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, অপহরণের মামলা দায়েরের পর সোমবার (৬ অক্টোবর) গভীর রাতে নগরীর পশ্চিম বানিয়াখামার এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে আরো ৫-৬ জন জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে তারা স্বীকার করেছেন। 

তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে এ ধরনের আরো অভিযোগ রয়েছে। আগামীকাল বুধবার (৮ অক্টোবর) তাদের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হবে। 

কেএমপির মিডিয়া সেলের সূত্র জানায়, গত ৩ অক্টোবর মুস্তাসিম বিল্লাহকে (২৪) খুলনা নগরীর সাতরাস্তার মোড়স্থ গরীবে নেওয়াজ ক্লিনিকের সামনে থেকে অপহরণ করে। অপহরণকারীরা তাকে হত্যার ভয় দেখিয়ে নগদ ২৪ হাজার টাকা ও পাইওনিয়ার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৫৬ ডলার হাতিয়ে নেয়। আরো ৫ লাখ টাকা দাবি করে। মুস্তাসিম টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে হত্যার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো হয়। এক পর্যায়ে নিরূপায় হয়ে তিনি দাবিকৃত টাকা দিতে সম্মত হলে তাকে মুক্তি দেয় অপহরণকারীরা। 

এ ঘটনায় মুস্তাসিম বিল্লাহ বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।  
 

ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য অপহরণ অপহরণক র র এল ক নগর র

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রলারসহ ৬ জেলে অপহরণ 

বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার শেষে ফেরার সময় কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলীয় জলসীমা থেকে একটি ট্রলারসহ ছয় জেলেকে অপহরণ করেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন ‘আরাকান আর্মি’। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকালে সেন্টমার্টিনের ছেড়াদ্বীপের কাছাকাছি এলাকা থেকে তাদের অপহরণ করা হয়।

টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী ঘাট বোট মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ জানান, বঙ্গোপসাগর থেকে ফেরার পথে ছেড়াদ্বীপের কাছাকাছি এলাকায় আরাকান আর্মি একটি ট্রলারসহ ছয় মাঝি-মাল্লাকে অপহরণ করে। 

আরো পড়ুন:

মিয়ানমারে পণ্য পাচারকালে আটক ১৫

মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তে অভিবাসী নৌকাডুবি, শতাধিক নিখোঁজ

অপহৃত ট্রলারের মালিক জাকির হোসেন বলেন, ‍“ট্রলারটি নিয়ে গত ১৫ নভেম্বর আব্দুর করিম মাঝিসহ ছয় জেলে মাছ ধরতে সাগরে যান। ১৮ নভেম্বর সকালে ঘাটে ফেরার পথে ছেড়াদ্বীপের কাছাকাছি পৌঁছালে আরাকান আর্মি তাদের ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে তাদের আটক করে ট্রলারসহ নিয়ে যায়।”

মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর থেকে আরাকান আর্মির উপকূলীয় নিরাপত্তা ইউনিট সমুদ্রপথে টহল জোরদার করেছে। টহলের সময় আরাকান রাজ্যের জলসীমা অতিক্রম করে মাছ ধরতে থাকা কয়েকটি বাংলাদেশি ট্রলার শনাক্ত করা হয়। জানুয়ারি থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ১৮৮ বাংলাদেশি জেলে ও ৩০টি নৌকা আটক করা হয়েছিল। পরে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু আইন অমান্য করায় ফের এ ধরনের ট্রলার ধরা হচ্ছে। 

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, “ট্রলারসহ কিছু জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।”

বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, গত ১১ মাসে নাফ নদ ও সংলগ্ন এলাকা থেকে অন্তত ৩৫০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি। এর মধ্যে প্রায় ২০০ জনকে বিভিন্ন সময় বিজিবির সহায়তায় ফেরত আনা হয়েছে।

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সৌদি আরবে অপহরণ করে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়, মাগুরা থেকে একজন গ্রেপ্তার
  • বেবি’স ডে আউট: বাস্তবে একটি শিশুর চরিত্রে দুই শিশু ছিল
  • ট্রলারসহ ৬ জেলে অপহরণ