জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য পাঁচ সদস্যের নির্বাচন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক শেখ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

নির্বাচন প্রস্তুতি কমিটিতে আহ্বায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোস্তফা হাসান। সদস্যসচিব হিসেবে আছেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো.

আনিসুর রহমান।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শহিদুল ইসলাম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কানিজ ফাতেমা কাকলী, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. জুলফিকার মাহমুদ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জকসু বিধি পাস হওয়ার আগপর্যন্ত এই কমিটি নির্বাচনসংক্রান্ত প্রস্তুতির যাবতীয় কার্য সম্পাদন করবে।

৮ অক্টোবর বুধবার জকসু নির্বাচনের রূপরেখা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠন করার কথা ছিল। কিন্তু এর আগের দিন নির্বাচন প্রস্তুতি কমিটি গঠন নিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা ফেসবুকে লেখেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৮ অক্টোবর তারিখে জকসু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন করার কথা ছিল। কিন্তু তাদের ধারাবাহিক ব্যর্থতার ফলে এখনো জকসু আইনই পাস করতে পারেনি তারা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের সদস্যসচিব শাহীন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগের মতো আবারও প্রহসন শুরু করেছে। বারবার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একই প্রতারণা করছে। তাদের দেওয়া কোনো প্রতিশ্রুতি এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন করতে পারেনি। ব্যর্থতার দায় নিয়ে এই প্রশাসনের বিদায় নেওয়াই ভালো হবে।

অপর দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকারের সভাপতি এ কে এম রাকিব প্রথম আলোকে বলেন, প্রশাসন জকসুর রূপরেখা অনুযায়ী দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেনি। বারবার তারা ব্যর্থতার প্রমাণ দিচ্ছে। বুধবার সব সংগঠন বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নতুন কর্মসূচি নিয়ে কথা হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রস ত ত সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

জামালের হ্যাটট্রিকে আবারও ঢাকার পথে রাবি

ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবলের তৃতীয় আসরে রাজশাহী অঞ্চল থেকে এবারও চূড়ান্ত পর্বের টিকিট পেয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। রাজশাহী মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে গতকাল পড়ন্ত বিকেলে আঞ্চলিক ফাইনালে রাবির সামনে দাঁড়াতেই পারেনি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। ৬-০ গোলের বিশাল জয়ে উৎসবে মেতে উঠেছিলেন রাবির খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা।

এই আনন্দের মধ্যমণি ছিলেন স্ট্রাইকার জামাল উদ্দিন—হ্যাটট্রিক করেছেন। ম্যাচসেরা বেছে নিতে তাই অন্য কারও নাম ভাবতেই হয়নি। এবারের টুর্নামেন্টের ১১তম ম্যাচে প্রথম হ্যাটট্রিক হলো। নিজের হ্যাটট্রিক আর দলের চূড়ান্ত পর্বে ওঠার জোড়া আনন্দে জামাল চোখ রাখছেন আরও সামনে, ‘গতবার আমরা সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিলাম, তবে এবার রাজশাহীতে কাপ আনার লক্ষ্য আমাদের।’

আগামী ৭-৮ ডিসেম্বর ঢাকার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে হবে চূড়ান্ত পর্ব বা কোয়ার্টার ফাইনাল, যেখানে খেলবে রাবি। কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে চিটাগাং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিও। চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে চূড়ান্ত পর্বে উঠেছে এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়। কোয়ার্টার ফাইনালের বাকি পাঁচ দলের নাম জানা যাবে খুলনা ও ঢাকা পর্ব শেষে। খুলনা পর্ব আগামীকাল। এরপর ২৮ নভেম্বর থেকে ঢাকা পর্ব।

আরও পড়ুনরাজশাহী পর্বের বর্ণিল উদ্বোধন করলেন এমিলি৮ ঘণ্টা আগে

আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে রাবি গতকাল দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে ২-০ গোলে হারায়। ম্যাচসেরা হন দলের ফরোয়ার্ড ও সহ–অধিনায়ক সুমন হাসান সবুজ। এর আগে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় আঞ্চলিক ফাইনালে ওঠার পথে দিনের প্রথম ম্যাচে সহজেই আহ্ছানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেয়, যেখানে ম্যাচসেরা হন মিডফিল্ডার ও দলের অধিনায়ক এস এম তুষার আহমেদ রাজ।

হ্যাটট্রিক করে ম্যাচসেরা হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জামাল উদ্দিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ