কী আছে মেহজাবীনের আলোচিত এই সিনেমায়
Published: 8th, October 2025 GMT
এ শহরের সব মানুষেরই একটা গল্প থাকে। তবে সেই গল্পগুলো বাস্তবসম্মতভাবে খুব কমই পর্দায় উঠে আসে। দর্শক নিজেকে একাত্ম করতে পারেন—এমন গল্পের সিনেমা হাতে গোনা। এ ধারায় একেবারেই ব্যতিক্রম ‘সাবা’। মা আর মেয়ের গল্প নিয়ে সিনেমা; তাঁদের জীবনে ঘটে যাওয়া, ঘটতে থাকা টুকরো টুকরো সময়ের গল্প। গল্পের প্রধান চরিত্রও তাঁরা, মা-মেয়ে।
একনজরেসিনেমা: ‘সাবা’
ধরন: ড্রামা
পরিচালক: মাকসুদ হোসাইন
চিত্রনাট্য: মাকসুদ হোসাইন ও ত্রিলোরা খান
অভিনয়: মেহজাবীন চৌধুরী, রোকোয়া প্রাচী, মোস্তফা মন্ওয়ার, সুমন পাটোয়ারী, অশোক ব্যাপারী
দৈর্ঘ্য: ১ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট
নির্মাতা মাকসুদ হোসাইনের শাশুড়ি এক সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন, মাকে নিয়ে দীর্ঘ এক লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে যান তাঁর স্ত্রী (সিনেমার সহচিত্রনাট্যকার ও প্রযোজক) ত্রিলোরা খান। নিজেদের জীবনের সে গল্পই পর্দায় তুলে এনেছেন তাঁরা। ‘জীবন থেকে নেওয়া’, তাই বোধ হয় সাবার আবেগ এতটা ছুঁয়ে যায়।
সাবা করিম (মেহজাবীন চৌধুরী)। ২৪ বছরের তরুণী। মা-মেয়ে একসঙ্গে থাকেন। এক সড়ক দুর্ঘটনায় মায়ের শরীরের নিচের অংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যায়। বাবা লাপাত্তা। মায়ের ওষুধ, চিকিৎসক, রান্না থেকে ডায়াপার বদলানো—সব একা হাতেই সামলান সাবা। একই সঙ্গে ঘাড়ে তুলে নিতে হয় পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব। মাকে দেখভাল করে সংসার চালাতে হিমশিম খান সাবা। সারা দিন ঘরে থেকে থেকে মা-ও হয়ে ওঠেন খিটমিটে। কিছুই যেন বুঝতে চান না। কখনো তিনিই আরও কঠিন করে তোলেন সাবার জীবন। কিন্তু দিন শেষে সাবা চান তাঁর মা যেন বেঁচে থাকুন, সুস্থ থাকুন। কঠিন এই শহরে সাবাকে নামতে হয় এক অসম যুদ্ধে। মাকে বাঁচানোর এ লড়াইয়ে নিজের মনের বিরুদ্ধে কাজ করতেও তিনি দ্বিধা করেন না। শেষ পর্যন্ত কী হয়, জানতে হলে সিনেমাটি দেখতে হবে।
‘সাবা’য় মেহজাবীন ও রোকেয়া প্রাচী। নির্মাতার সৌজন্যে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম হজ ব ন
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ববাজারে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ডলার ছাড়াল
বিশ্ববাজারে সোনার দাম নতুন ইতিহাস গড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এই প্রথম প্রতি আউন্স সোনার দাম চার হাজার ডলার ছুঁয়েছে। ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, বিশ্ব অর্থনীতির ধীরগতি, যুক্তরাষ্ট্রে নীতি সুদ কমার সম্ভাবনা—সব মিলিয়ে এই নিরাপদ সম্পদের দিকে বিনিয়োগকারীদের ঝোঁক বেড়েছে।
চলতি বছরে এখন পর্যন্ত সোনার দাম বেড়েছে ৫১ শতাংশ। বিশ্লেষকেরা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সোনা কেনা বেড়ে যাওয়া, স্বর্ণনির্ভর এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ডে (ইটিএফ) বিনিয়োগ বৃদ্ধি, মার্কিন ডলারের দুর্বলতা, খুচরা বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ—এসব কারণে সোনার দামের এই উল্লম্ফন। বাণিজ্যযুদ্ধ ও ভূরাজনৈতিক টানাপোড়েন বেড়ে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনাকে বেছে নিচ্ছেন। ফলে ১৯৮৬ সালের পর চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে সোনার দাম সবচেয়ে বেশি হারে বেড়েছে। খবর সিএনএনের
অর্থনীতিবিদদের মতে, কম সুদের হার ও অনিশ্চিত অর্থনৈতিক পরিবেশে সোনার দাম সাধারণত বেড়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরেই মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে সোনা নির্ভরযোগ্য রক্ষাকবচ হিসেবে বিবেচিত। কেননা, মূল্যস্ফীতি বাড়লেও সোনার দাম কমে না।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন থাকায় ব্যবসায়ী ও নীতিনির্ধারকেরা এখন সরকারি অর্থনৈতিক তথ্য পাচ্ছেন না। ফলে বিনিয়োগকারীরা বিকল্প উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ফেডারেল রিজার্ভের পরবর্তী পদক্ষেপ অনুমান করার চেষ্টা করছেন। বাজার বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, আগামী ২৮-২৯ অক্টোবরের বৈঠকে ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার ১ চতুর্থাংশ পয়েন্ট কমাতে পারে। শুধু তা–ই নয়, ডিসেম্বরেও তারা নীতি সুদহার কমাতে পারে।
স্করপিয়ন মিনারেলসের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা মাইকেল ল্যাংফোর্ড সিএনএনকে বলেন, মার্কিন ডলারের মান আরও কমতে থাকলে আগামী ছয় মাসে সোনার দাম আউন্স প্রতি ৪ হাজার ৩০০ ডলারে পৌঁছাতে পারে।
শতকোটিপতি বিনিয়োগকারী কেন গ্রিফিন অবশ্য এ প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর ভাষায়, ‘ডলারের চেয়ে নিরাপদ সম্পদ হিসেবে সোনার উত্থান উদ্বেগজনক। মানুষ এখন নিজেদের সম্পদ ডলারের প্রভাব থেকে দূরে রাখতে বা ঝুঁকি কমাতে চাইছে।
এদিকে বৈশ্বিক বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকস গত সোমবারের পূর্বাভাসে সোনার দাম আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে। ২০২৬ সালের ডিসেম্বর মাসের জন্য তাদের পূর্বাভাস ৪ হাজার ৩০০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৪ হাজার ৯০০ ডলার করেছে।
চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও সেপ্টেম্বরে টানা একাদশ মাসের মতো তাদের রিজার্ভের জন্য সোনা কিনেছে বলে জানা গেছে।
গোল্ড প্রাইস ডট অর্গের তথ্যানুসারে, গতকাল বিশ্ববাজারে সোনার দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ বা আউন্সপ্রতি ৫৪ দশমিক ৬৩ ডলার। গত এক মাসে বেড়েছে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ বা আউন্সপ্রতি ৩০৮ দশমিক ৯৭ ডলার। গত ছয় মাসে সোনার দাম বেড়েছে ২৮ দশমিক ২১ শতাংশ বা ৮৬৯ দশমিক ৪৪ ডলার। গত এক বছরে বেড়েছে ৫১ দশমিক ৫২ শতাংশ বা আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৩৪৩ দশমিক ৭২ ডলার।