বিসিবি নির্বাচনে অংশ নিলে জেতা নিয়ে কোনো সন্দেহ ছিল না বলে মনে করেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আজ রাজধানীর লেকশোর হোটেলে ক্লাব অর্গানাইজার অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন। একই সংবাদ সম্মেলনে ঢাকার লিগ, বিভাগীয় ও জেলার ক্রিকেটীয় কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।

এবারের বিসিবি নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন তামিম। তবে নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপ এবং অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় তৃতীয় বিভাগ বাছাই পেরিয়ে আসা ১৫টি ক্লাবের কাউন্সিলরশিপ স্থগিতের প্রতিবাদে তামিমসহ মোট ১৬ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। গত সোমবার বিসিবি নির্বাচনের আগের রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।

সেখানে তিনি লেখেন, ‘ধৈর্য ধরলে’ অনেকেই বিসিবি পরিচালক হতে পারতেন।
সেই ধৈর্য না ধরে নির্বাচনের ‘ট্রেন’ মিস করেছেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তামিম বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত আমার বিষয়ে আপনাদের কমবেশি ধারণা আছে। আপনি সত্যিই মনে করেন ১৫টা ক্লাব (কাউন্সিলরশিপ স্থগিত হয়ে পরে আবার ফিরে পাওয়া) থাকুক বা না থাকুক—আমি যদি নির্বাচনে দাঁড়াতাম, আমার জন্য কেউ ভোট করত না? আমার জন্য বাস ধরা বা না ধরা কখনো বিকল্প ছিল না। আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল একটা স্বচ্ছ নির্বাচন হওয়া। এটাই ছিল আমার স্ট্যান্ড।’

আরও পড়ুনবিসিবি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে তামিম বললেন—নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করেন০১ অক্টোবর ২০২৫

পরিচালক নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন জানিয়ে তামিম আরও বলেন, ‘আমি আপনাকে এতটুকু গ্যারান্টি দিয়ে বললাম, আমি যদি ব্যক্তিগতভাবে দাঁড়াতাম, আমার পক্ষে কোন টিম আছে, বিপক্ষে কোন টিম আছে.

..তারপরও আমি সহজেই পাস করতাম। এটা নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ ছিল না। কারণ, আমি এটা বিশ্বাস করি, আমরা সবাই ক্রিকেটের স্বার্থে আছি।’

ঘোষণা দিয়ে বিসিবি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তামিম ইকবাল

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তনের দাবিতে বাকৃবিতে রেল অবরোধ

৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি অবাস্তব ও বৈষম্যমূলক অ্যাখ্যা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পরীক্ষার্থীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড়ে রেললাইন অবরোধ করেন ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেন তারা।

শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকালে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিছিল নিয়ে আব্দুল জব্বার মোড়ে রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। এরপর বিকাল ৫ টায় রেল অবরোধের উদ্দেশ্যে রেললাইনে অবস্থান নেন। এতে ময়মনসিংহ রুটে সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আরো পড়ুন:

শৈবাল থেকে ৩ মূল্যবান পণ্য উদ্ভাবনে বাকৃবির সাফল্য

বাকৃবির সব সনদের আবেদন করা যাবে অনলাইনে

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘সবাই পায় ৬ মাস, আমরা কেন ২ মাস’, ‘এক দুই তিন চার, পিএসসি তুই স্বৈরাচার’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘সময় চায় সময়, যৌ‌ক্তিক সময় চায়’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। 

আন্দলনকারী শিক্ষার্থী মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, “সরকারি চাকরিতে বৈষম্য নিরসনের জন্য যে জুলাই গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল, সেই চাকরির ক্ষেত্রেই আবার নতুন বৈষম্যের উদ্ভব হয়েছে। পূর্বের যেসব বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত সময় দেওয়া হত। সেখানে এ বছর শুধু ২ মাস সময় দেওয়া হয়েছে, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”

তিনি বলেন, “এই সময় পরিবর্তনের দাবিতে আমাদের ভাইয়েরা অনশন করলেও পিএসসি সেটি নজরে নিচ্ছে না। মূলত প্রতিষ্ঠানটি আমাদের সঙ্গে স্বৈরাচারী আচরণ করছে। আমরা আন্দোলন করতে চাই না, পরীক্ষায় বস‌তে চাই।”

আরেক শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান সজীব বলেন, “এটি আমাদের কোনো অযৌক্তিক দাবি নয়। পিএসসিকে এটি মানতেই হবে। দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিল রেখে আমাদের এই রেল অবরোধ কর্মসূচি। পিএসসি যদি দাবি না মানে, তাহলে আমরা আরো কঠোর অবস্থানে যাব।”

এই বিষয়ে বাকৃবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. আবদুল আলীম বলেন, “বিসিএস পরীক্ষার বিষয়টি সম্পূর্ণ সরকারি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ধরনের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। বিসিএস সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে একটি সুন্দর সমঝোতায় পৌঁছানোর আহ্বান জানাই।”

তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি সাধারণ মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি হয় এমন কোনো কর্মসূচি না দিতে অনুরোধ করেন।

ঢাকা/লিখন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ