নির্বাচন করলে জিততাম, কোনো সন্দেহ নাই: তামিম
Published: 8th, October 2025 GMT
বিসিবি নির্বাচনে অংশ নিলে জেতা নিয়ে কোনো সন্দেহ ছিল না বলে মনে করেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আজ রাজধানীর লেকশোর হোটেলে ক্লাব অর্গানাইজার অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন। একই সংবাদ সম্মেলনে ঢাকার লিগ, বিভাগীয় ও জেলার ক্রিকেটীয় কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।
এবারের বিসিবি নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন তামিম। তবে নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপ এবং অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় তৃতীয় বিভাগ বাছাই পেরিয়ে আসা ১৫টি ক্লাবের কাউন্সিলরশিপ স্থগিতের প্রতিবাদে তামিমসহ মোট ১৬ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। গত সোমবার বিসিবি নির্বাচনের আগের রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
সেখানে তিনি লেখেন, ‘ধৈর্য ধরলে’ অনেকেই বিসিবি পরিচালক হতে পারতেন।
সেই ধৈর্য না ধরে নির্বাচনের ‘ট্রেন’ মিস করেছেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তামিম বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত আমার বিষয়ে আপনাদের কমবেশি ধারণা আছে। আপনি সত্যিই মনে করেন ১৫টা ক্লাব (কাউন্সিলরশিপ স্থগিত হয়ে পরে আবার ফিরে পাওয়া) থাকুক বা না থাকুক—আমি যদি নির্বাচনে দাঁড়াতাম, আমার জন্য কেউ ভোট করত না? আমার জন্য বাস ধরা বা না ধরা কখনো বিকল্প ছিল না। আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল একটা স্বচ্ছ নির্বাচন হওয়া। এটাই ছিল আমার স্ট্যান্ড।’
পরিচালক নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন জানিয়ে তামিম আরও বলেন, ‘আমি আপনাকে এতটুকু গ্যারান্টি দিয়ে বললাম, আমি যদি ব্যক্তিগতভাবে দাঁড়াতাম, আমার পক্ষে কোন টিম আছে, বিপক্ষে কোন টিম আছে.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
২২ দিন মা ইলিশ রক্ষা করতে পারলে উৎপাদন বাড়বে: উপদেষ্টা
ডিম ছাড়া ও প্রজননের জন্য সরকার নির্ধারিত ২২ দিন সফলভাবে কার্যকর করার মধ্য দিয়ে মা ইলিশ রক্ষা করতে পারলে আগামী মৌসুমে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার সাভার উপজেলার কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের কেন্দ্রীয় কৃত্রিম প্রজনন ল্যাবরেটরির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
মেঘনায় মা ইলিশ রক্ষায় অভিযানিক দলের ওপর হামলা
নিষেধাজ্ঞার মধ্যে মৎস্যকর্মীর ইলিশ শিকার: তদন্ত কমিটি গঠন
ইলিশের ডিম ছাড়া ও প্রজনন বৃদ্ধির জন্য মা ইলিশ রক্ষায় ৪ অক্টোবর থেকে ২২ দিন দেশের নদী-সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এ সময় ইলিশ ধরা, বিক্রয়, পরিবহন বন্ধ থাকবে।
সাভারে ল্যাবরেটরি পরিদর্শন শেষে সন্তোষ প্রকাশ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আমাদের যে সুযোগ-সুবিধা আছে, তা যদি কাজে লাগানো যায়, দেশের খামারিরা তাদের গো-প্রজননের ক্ষেত্রে বড় সেবা পাবে। এর মাধ্যমে উন্নত ও সংকর প্রজাতির প্রজনন এবং গো-মাংস ও দুগ্ধ উৎপাদন বাড়বে।’’
এ সময় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ বছর ইলিশের আকাল হওয়ার পেছনে অন্যান্য আরো কারণ আছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘নদীতে নাব্যতার অভাব, দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৃষ্টি ঠিকমতো না হওয়া এছাড়াও এখন বড় দুটি সমস্যা আছে, একটি হচ্ছে অবৈধ জালের ব্যবহার, আরেকটি হচ্ছে জাটকা ধরা।’’
ফরিদা আখতার বলেন, ‘‘এই জাটকা নিধন বন্ধে আমরা যদিও এপ্রিল মাসে ৫৮ দিনের (মাছ ধরার ওপর) নিষেধাজ্ঞা দেই, সেসময় কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী, নৌপুলিশ এবং আমাদের কর্মকর্তারা অনেক কাজ করেন, কিন্তু তারপরও এটা দুঃখজনক, অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা স্বল্পমেয়াদী মুনাফা চান, তারা জেলেদের বাধ্য করেন এগুলো (জাটকা) ধরতে। এটার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আশা করি, আগামী মৌসুমে আপনারা ভালো রেজাল্ট পাবেন।’’
ঢাকা/সাব্বির/বকুল