স্বীকৃতি দেওয়ার তালেবানের সঙ্গে প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক করল রাশিয়া
Published: 8th, October 2025 GMT
রাশিয়া ও আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের কর্মকর্তারা গত মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠক করেছেন। কয়েক মাস আগে মস্কো তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এটা তাঁদের প্রথম বৈঠক। বৈঠকে অংশ নিয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার তীব্র সমালোচনা করেন এবং আফগানিস্তানের যুদ্ধোত্তর পুনর্গঠনে আন্তর্জাতিক সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানান।
‘মস্কো ফরম্যাট’ নামে আফগানিস্তান নিয়ে আয়োজিত এই বৈঠকের উদ্বোধনী বক্তব্যে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভ তালেবান সরকারের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, তালেবান নিজ দেশে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আঞ্চলিক শাখার বিরুদ্ধে লড়াই করছে এবং মাদক পাচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। আফগানিস্তানের রাষ্ট্রীয় সম্পদ জব্দ করে রাখা এবং দেশটির ব্যাংকিং ব্যবস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ কাবুলের বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের ‘মুখোমুখি অবস্থানের নীতির’ সমালোচনা করেন লাভরভ।
লাভরভ বলেন, ‘আমরা পশ্চিমা দেশগুলোকে নিজেদের অবস্থান পরিবর্তনের আহ্বান জানাই। একই সঙ্গে আফগানিস্তানের সম্পদ ফিরিয়ে দেওয়া এবং দেশটির পুনর্গঠনের দায়ভার নিতেও আহ্বান জানাচ্ছি।’
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সতর্ক করে বলেন, আফগানিস্তান বা এর প্রতিবেশী দেশে অন্য কোনো দেশের সামরিক ঘাঁটি স্থাপন মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। তিনি বলেন, ‘বিদেশি সামরিক হস্তক্ষেপ কতটা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনে, তা ইতিহাস আমাদের দেখিয়েছে। আমরা সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে পারি না।’
বৈঠকে আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি ছাড়াও ভারত, ইরান, পাকিস্তান এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পাঁচটি মধ্য-এশীয় প্রজাতন্ত্রের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। আফগানিস্তানে নিয়োজিত রাশিয়ার বিশেষ দূত জামির কাবুলভ সাংবাদিকদের বলেন, আফগানিস্তানের মাটিতে মস্কোর সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের কোনো পরিকল্পনা নেই।
২০২১ সালে পশ্চিমাদের সহায়তাপুষ্ট সরকারকে উৎখাত করে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসে তালেবান। এরপর তাঁরা নিজেদের মতো করে একধরনের কঠোর ইসলামি আইন চালু করে।
২০২৫ সালের জুলাইয়ে রাশিয়া প্রথম দেশ হিসেবে আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাত সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়। তালেবানকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে সরিয়ে তাদের রাষ্ট্রদূতকে গ্রহণ করে। গত বছর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তালেবানকে ‘সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের মিত্র’ বলে উল্লেখ করেছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পরর ষ ট রমন ত র আফগ ন স ত ন র ল ভরভ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম চেম্বার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন ৫ প্রার্থী
চট্টগ্রাম চেম্বার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন পাঁচ প্রার্থী। এর মধ্যে সাধারণ শ্রেণি (ক্যাটাগরি) থেকে চারজন ও সহযোগী সদস্য থেকে একজন মনোনয়ন ফরম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এ ছাড়া দুই শ্রেণিতে ফরম নিয়ে একটিও প্রত্যাহার না করায় একজনের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন বোর্ড। নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। নির্বাচন বোর্ড–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজ বুধবার বিকেলে চেম্বার নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন বোর্ড। এদিন বেলা ১টা পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ ছিল। চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী, সাধারণ শ্রেণিতে মোট প্রার্থী ৩৬ জন। অন্যদিকে সহযোগী শ্রেণিতে মোট প্রার্থী ১৪ জন। ট্রেড ও টাউন অ্যাসোসিয়েশনে ৩ জন করে প্রার্থী। আগামী ১ নভেম্বর নগরের আগ্রাবাদ এলাকায় ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চেম্বারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সাধারণ শ্রেণিতে মনোনয়ন ফরম প্রত্যাহার করে নেওয়া চারজন হলেন সাফা এন্টারপ্রাইজের মো. আশেক ইবনে সাফা, বিসমিল্লাহ শিপিং এজেন্সির মো. ওয়াহিদ মুরাদ চৌধুরী, মার্স শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকসের মোহাম্মদ আলাউদ্দিন আল আজাদ এবং আহমেদ ব্রাদার্সের সালাউদ্দিন আহমেদ। সহযোগী শ্রেণিতে মনোনয়ন ফরম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন নাহার ট্রেডিংয়ের মো. নাজেম উদ্দিন।
এদিকে আটলান্টিক ট্রেডার্স ও বাগদাদ ডিস্ট্রিবিউশন থেকে সাধারণ ও সহযোগী—দুই শ্রেণিতে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছিলেন মো. শওকত আলী। তবে চেম্বারের সংঘবিধি অনুযায়ী যেকোনো একটি প্রত্যাহারের বিধান রয়েছে। অন্যথায় প্রার্থীরা বাতিল হবে। প্রত্যাহারের শেষ দিন একটিও প্রত্যাহার না করায় দুই শ্রেণিতেই তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন বোর্ড।
এ বছর চেম্বারের মোট ভোটার ৬ হাজার ৭৮০। এর মধ্যে সাধারণ সদস্য ৪ হাজার ১ জন, সহযোগী সদস্য ২ হাজার ৭৬৪ জন, ট্রেড গ্রুপ প্রতিনিধি ১০ এবং টাউন অ্যাসোসিয়েশন প্রতিনিধি ৫ জন। এখন পর্যন্ত ২৪টি পরিচালক পদেই ভোট হবে বলে জানা গেছে। নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক মনোয়ারা বেগম।
এবারের নির্বাচনে দলনেতা হিসেবে আলোচনায় আছেন চট্টগ্রাম চেম্বার ও দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আমিরুল হক, বিজিএমইএ ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সহসভাপতি এস এম নুরুল হক। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর তাঁরা দু-এক দিনের মধ্যে প্যানেল ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন।