গাজায় যুদ্ধ বন্ধে শান্তি পরিকল্পনার প্রথম দফায় ইসরায়েল ও হামাস একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বুধবার (৮ অক্টোবর) নিজের মালিকানাধীন সামাজিক মাধ্যম ট্রুথে এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান। খবর আলজাজিরার। 

ট্রাম্প লিখেছেন, “আমি অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে ইসরায়েল ও হামাস—উভয়ই আমাদের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে সই করেছে।” 

দ্রুতই সব জিম্মিকে মুক্ত করা হবে এবং ইসরায়েল তাদের সেনাকে নির্ধারিত সীমা পর্যন্ত সরিয়ে নেবে বলেও তিনি জানান।

এছাড়া, ফক্স নিউজকে ট্রাম্প বলেন, “শান্তিচুক্তির প্রথম ধাপ শেষ হলে মানুষ একে অপরের সঙ্গে মিলেমিশে চলবে এবং গাজা পুনর্নির্মিত হবে।”

তিনি আরও যোগ করেন, “এটা হবে এক ভিন্ন পৃথিবী। গাজায় বিপুল পরিমাণ সম্পদ ব্যয় করা হবে।”

ট্রাম্প বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, গাজা আরও নিরাপদ জায়গায় পরিণত হবে। এটি পুনর্গঠিত হবে এবং আশপাশের দেশগুলো, যাদের প্রচুর সম্পদ আছে, তারা গাজা পুনর্নির্মাণে সহায়তা করবে।”

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী যে মধ্যপ্রাচ্যে এবার শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।”

গত মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা নিয়ে ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। ইসরায়েল ও হামাস দুই পক্ষই ট্রাম্পের পরিকল্পনায় ইতিবাচক সাড়া দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার মিসরের পর্যটন শহর শারম আল শেখে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়।

বুধবার (৮ অক্টোবর) মিসরে তৃতীয় দিনের মতো আলোচনা হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে তারা আলোচনা করেন। এদিন আলোচনায় যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী মধ্যস্থতাকারীরা। তাদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার, কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল থানি এবং তুরস্কের গোয়েন্দাপ্রধান ইব্রাহিম কালিন।

ঢাকা ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

কপ-৩০: অস্থায়ী চুক্তির ব্যাপারে একমত আলোচকরা

ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলন কপ-৩০ এ আলোচকরা একটি অস্থায়ী চুক্তির ব্যাপারে একমত হয়েছেন। আলোচকরা গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর পদক্ষেপ এবং জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী অচলাবস্থার সমাধান করার পর এই ঐক্যমতে পৌঁছেছেন। শনিবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় দেশগুলো এখনও একত্রিত হতে পারে সেই বিষয়টি প্রমাণের চেষ্টা করা হয়েছে। দুই সপ্তাহব্যাপী এই সম্মেলন শুক্রবার শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আলোচকরা অচলাবস্থা সমাধানের জন্য অতিরিক্ত সময় লেগেছে।

সূত্র জানিয়েছে, আয়োজক দেশ ব্রাজিলের নেতৃত্বে সারা রাত ধরে আলোচনার পর অচলাবস্থার সমাধান হয়েছে। অবশ্য চূড়ান্ত চুক্তির পাঠ্য এখনো প্রকাশিত হয়নি এবং সমঝোতার বিশদ তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।

বিষয়টির সাথে পরিচিত দুটি সূত্র শনিবার সকালে রয়টার্সকে জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন কোনো চুক্তির পথে বাধা না হতে সম্মত হয়েছে। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট স্থানীয় সময় বেলা ১১ টায় সম্মেলনের সমাপনী পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের সময়সূচি নির্ধারণ করেছেন। 

২০২৩ সালে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে দূরে সরে যাওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা বাস্তবায়নের অগ্রগতি এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য উন্নত দেশে থেকে দরিদ্র দেশগুলোতে জলবায়ু অর্থায়নের প্রবাহের ভারসাম্য নিয়ে আলোচনায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসার জন্য ভাষাগত চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু সৌদি আরবসহ আরব দেশগুলোর তীব্র প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়েছিল।

এবারের সম্মেলনের সভাপতি আন্দ্রে কোরিয়া দো লাগো শনিবার জানিয়েছেন, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জীবাশ্ম জ্বালানি এবং বন রক্ষার বিষয়ে একটি পার্শ্ব লেখা প্রকাশ করবেন। কারণ বিশ্বব্যাপী জলবায়ু আলোচনায় এই বিষয়গুলোতে কোনো ঐক্যমত্য হয়নি।

তিনি বলেছেন, “আমি ঘোষণা করব যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দুটি রোডম্যাপ তৈরি করবেন। কারণ দৃশ্যত আমাদের ঐকমত্য অর্জনের জন্য পরিপক্কতা ছিল না। আমি বিশ্বাস করি যদি আমরা প্রেসিডেন্টের অধীনে এটি করলে আমাদের ভালো ফলাফল থাকবে।”

আলোচনার সাথে পরিচিত একটি সূত্রের মতে, ২০২৫ সালের দ্বিগুণ লক্ষ্যমাত্রার উপর ভিত্তি করে ধনী দেশগুলোকে ২০৩৫ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য অভিযোজন তহবিল তিনগুণ করার ব্যাপারে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো একমত হয়েছে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কপ-৩০: অস্থায়ী চুক্তির ব্যাপারে একমত আলোচকরা