পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ৪৩ হাজার বডি–ওর্ন ক্যামেরা। এগুলো কাজে লাগবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায়। প্রতিটি ক্যামেরার দাম ১ লাখ ৪ হাজার টাকা ধরে মোট ব্যয় হবে ৪৫০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, অনিয়ম ও দুর্নীতি ঠেকাতে এসব ক্যামেরা কেনা হবে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) মাধ্যমে। এতে সরকারের সংশ্লিষ্টতা থাকবে না। সরকার শুধু টাকা দেবে। পুলিশের পরিচালন ব্যয় থেকে অর্থের জোগান হবে।

সূত্রমতে, এ–সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে এরই মধ্যে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় নীতিগত সম্মতি দেওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মনে করছেন, ইউএনডিপির মাধ্যমে ক্যামেরা কিনলে সময় লাগবে কম। সরকার উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ক্যামেরা কিনতে গেলে তিন থেকে চার মাস সময় লেগে যেতে পারে। অন্যদিকে ইউএনডিপির মাধ্যমে কিনলে ডিসেম্বরের মধ্যে ক্যামেরা পাওয়া যাবে। তা ছাড়া সরকারিভাবে ক্যামেরা কিনতে গেলে নানা ধরনের অনিয়ম–দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ইউএনডিপির মাধ্যমে কিনলে তা এড়ানো যাবে বলে মনে করছেন মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তরের কর্মকর্তারা।

পুলিশের জন্য এসব ক্যামেরা কেনা হবে ইউএনডিপির মাধ্যমে। এতে সময় বাঁচবে, দুর্নীতি এড়ানো যাবে বলে মনে করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সরকারি ক্রয় বিধিমালার ৬৮, ৭৫ ও ৭৬ ধারার আলোকে এই ক্যামেরা কেনা হবে। যেখানে বলা হয়েছে, ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী যেকোনো পণ্য ও সেবা সরাসরি ক্রয় করতে পারবে। এ জন্য বিজ্ঞাপনও দিতে হবে না।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পুলিশ) আতাউর রহমান খান বলেন, ইউএনডিপির মাধ্যমে ক্যামেরা কেনার কারণ হচ্ছে সময় কম লাগবে। তাদের নির্দিষ্ট ঠিকাদার থাকে। দ্রুততার সঙ্গে তারা ক্যামেরা সরবরাহ করতে পারে। তিনি বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্যামেরা কিনতে গেলে তিন থেকে চার মাস সময় লেগে যায়। আবার অনেকে নানা ধরনের অভিযোগও করে। বিধিবিধান অনুসরণ করেই ইউএনডিপি থেকে ক্যামেরা কেনা হচ্ছে।

উদ্দেশ্য ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণ

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজনের কথা বলে আসছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তা ধরে নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি শুরু করেছে।

গত ৯ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা সব ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণের জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা ও পুলিশ সদস্যদের জন্য বডি–ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহারের নির্দেশ দেন। মূলত ওই বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জন্য ক্যামেরা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত হয়।

জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করার জন্য গত ৬ আগস্ট স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.

) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়, নির্বাচনের আগের দিন থেকে প্রতিটি কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে অন্তত একজনের (পুলিশ সদস্য) কাছে বডি–ওর্ন ক্যামেরা থাকতে হবে।

নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্রসচিব দুজনেই ইউএনডিপির মাধ্যমে ক্যামেরা কেনার বিষয়ে পুলিশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেন। এরপর পুলিশ থেকে ক্যামেরা কেনার একটি খসড়া কারিগরি প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। প্রস্তাবটি ইউএনডিপি ঢাকা অফিসেও পাঠানো হয়।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেন্দ্রগুলোকে অতিঝুঁকিপূর্ণ, ঝুঁকিপূর্ণ ও সাধারণ—এই তিন শ্রেণিতে ভাগ করেছে পুলিশ বিভাগ। তাদের হিসাবে মোট ক্যামেরা লাগবে ৪৩ হাজার। এই ক্যামেরার সঙ্গে ডেটা সংগ্রহ ও স্থানান্তরে ডিভাইস (ব্যাক অ্যান্ড সিস্টেম) থাকবে। থাকবে ডেটা ব্যবস্থাপনা প্ল্যাটফর্মও।

তবে শুধু ক্যামেরা কিনলেই হবে না, এর কার্যকর ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) দুজন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ সদস্যদের তা ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

কেনা হবে ক্রয়বিধি মেনে

ইউএনডিপির মাধ্যমে ক্যামেরা কিনলে সরকারের কোন বিধি মেনে করতে হবে, তা খতিয়ে দেখতে ২৮ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভা হয়। সেখানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিভিন্ন দেশে নির্বাচনসংক্রান্ত যন্ত্রপাতি সরবরাহের অভিজ্ঞতা রয়েছে ইউএনডিপির। জাতিসংঘের একটি সংস্থা হিসেবে তারা কাজটি কম সময়ে করতে পারবে। ক্রয়প্রক্রিয়া দ্রুত হবে, স্বচ্ছতাও নিশ্চিত হবে। তবে ওই বৈঠকে সরকারি ক্রয় নিয়ে কাজ করা সংস্থা বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটির (বিপিপিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মঈন উদ্দীন আহমেদ ভিন্নমত জানিয়ে বলেছিলেন, সরকারি ক্রয়বিধির (পিপিআর) ১২ নম্বর ধারা অনুযায়ী ক্যামেরা কিনতে ইউএনডিপিকে নির্বাহক সংস্থা মনোনীত করে ক্রয় কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ নেই।

তবে পিপিআরের ৬৮, ৭৫ ও ৭৬ নম্বর ধারা অনুসরণ করে এ ক্রয় কার্যক্রমটি করা যেতে পারে বলে মত দেন মঈন উদ্দীন। তাতে বলা আছে, ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান কেবল একটি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বা ঠিকাদারকে দরপত্র দাখিলের আহ্বান জানাতে পারবে।

ইউএনডিপির কাছ থেকে কোন পদ্ধতিতে ক্যামেরা কেনা হবে, তা নিয়ে সভায় আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয়, একমাত্র দরদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইউএনডিপির সঙ্গে মূল্য–সম্পর্কিত নেগোসিয়েশন করতে হবে। সব প্রক্রিয়া শেষ করে ক্রয়কারী সংস্থা পুলিশের সঙ্গে ইউএনডিপির চুক্তি সই করতে হবে। ইউএনডিপি একক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে।

আগে কেনা ৫ হাজার ক্যামেরা অচল

২০২০ থেকে ২০২২ সাল—এই তিন বছরে পুলিশের জন্য ১০ হাজার বডি–ওর্ন ক্যামেরা কেনা হয়েছিল। এর মধ্যে বর্তমানে পাঁচ হাজার ক্যামেরা কার্যকর রয়েছে। বাকি পাঁচ হাজার ক্যামেরা অচল হয়ে গেছে।

এত কম সময়ে পাঁচ হাজার ক্যামেরা কেন অচল হয়ে পড়ল, তা অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয় আন্তমন্ত্রণালয় সভায়। তদন্ত করে দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, নতুন করে ৪৩ হাজার ক্যামেরা আনার পর পরবর্তী তিন বছর বিনা মূল্যে ইউএনডিপি স্পেয়ার পার্টস সরবরাহ করবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স দ ধ ন ত হয় ওর ন ক য ম র ৪৩ হ জ র ব যবহ র সরবর হ প রস ত র জন য সদস য সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

শরীয়তপুরে চাহিদার ৭৫ শতাংশের কম সার সরবরাহ, দুশ্চিন্তায় চাষিরা

এখন চলছে ফসল আবাদের ভরা মৌসুম। এ মৌসুমে শরীয়তপুরে সারের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। কৃষকদের চাহিদার বিপরীতে ৪৪ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত কম সার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অনেক স্থানে নিকটবর্তী বাজারে সার না পেয়ে দূরবর্তী বাজার থেকে কৃষকদের অতিরিক্ত দাম দিয়ে সার কিনতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় উৎপাদিত ফসলের খরচ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।

শরীয়তপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, শরীয়তপুরের ৬টি উপজেলায় ৮২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসল আবাদ করেন কৃষকেরা। সেপ্টেম্বর মাস থেকে শরীয়তপুরের কৃষকেরা বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন শাকসবজি, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, রবিশস্য, তেলজাতীয় ফসল, ডালজাতীয় ফসল, মসলাজাতীয় ফসল, ধানের বীজতলা ও বিভিন্ন ধরনের ধানের আবাদ শুরু করেন। সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত কৃষকেরা ওই সব ফসল আবাদ নিয়ে মাঠে ব্যস্ত থাকেন। এই চার মাস শরীয়তপুরে ফসল আবাদের ভরা মৌসুম। এ মৌসুমেই জেলায় সারের বরাদ্দ কম পাওয়া গেছে।

ফসলের এ মৌসুমে (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর) শরীয়তপুরের ৮২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির ফসল আবাদের জন্য জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে কৃষি মন্ত্রণালয়ে সারের চাহিদা পাঠায়। যার মধ্যে ইউরিয়া ১৮ হাজার ৫৯৫ মেট্রিক টন, টিএসপি ৪ হাজার ৮১০ মেট্রিক টন, ডিএপি ১২ হাজার ৭৭৫ মেট্রিক টন, এমওপি ৮ হাজার ৯৯২ মেট্রিক টন। কিন্তু কৃষি মন্ত্রণালয় সারের বরাদ্দ দিয়েছে কম। শরীয়তপুরের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ইউরিয়া ৭ হাজার ৯৪৬ মেট্রিক টন, টিএসপি ১ হাজার ৭২৭ মেট্রিক টন, ডিএপি ৭ হাজার ৭৫ মেট্রিক টন, এমওপি ২ হাজার ২১৯ মেট্রিক টন। এ মৌসুমে চাহিদার চেয়ে কম পাওয়া গেছে ইউরিয়া ৫৭ শতাংশ, টিএসপি ৬৪, শতাংশ, ডিএপি ৪৪ শতাংশ এবং এমওপি ৭৫ শতাংশ।

শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের কাছে সার সরবরাহ করার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে মোট ৭১ জন ডিলার নিয়োগ দিয়েছে। সরকার–নির্ধারিত প্রতি কেজি ইউরিয়া ২৭ টাকা, টিএসপি ২৭ টাকা, ডিএপি ২১ টাকা ও এমওপি সার ২০ টাকা দামে বিক্রি করতে হবে। ওই দামে কৃষক তাঁর প্রয়োজনীয় সার ডিলার পয়েন্ট থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।

চাহিদার চেয়ে কম সরবরাহ থাকায় ডিলার ও ডিলারদের নিয়ন্ত্রিত খুচরা ব্যবসায়ীরা বর্তমানে প্রতি কেজি সার ১০ থেকে ১২ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন।

কৃষি কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় কৃষি বিভাগ থেকে মন্ত্রণালয় সারা বছরের চাহিদা নেওয়ার পর তার বিপরীতে বরাদ্দের তালিকা পাঠায়। ওই তালিকা জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা মাস অনুযায়ী বণ্টন করেন। তারপর ইউনিয়নভিত্তিক সারের ডিলারদের মধ্যে ওই ইউনিয়নের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেই বরাদ্দ অনুযায়ী বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি), বিসিআইসি ও যশোরের নওয়াপাড়ায় থাকা বেসরকারি আমদানিকারকেরা ডিলারদের অনুকূলে সার সরবরাহ করেন।

কয়েকজন কৃষক জানান, শরীয়তপুরের কৃষকেরা ইউরিয়া, টিএসটি, ডিএপি ও এমওপি সার সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেন। প্রতি শতাংশ জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসলের জন্য তিন কেজি সার ব্যবহার করা হয়। যার সরকার–নির্ধারিত দাম ৮০ থেকে ৮২ টাকা। বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বর্তমানে ওই সার কৃষককে ১১০ থেকে ১২০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। প্রতি শতাংশ জমিতে কৃষককে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেশি ব্যয় করতে হচ্ছে। এতে উৎপাদিত ফসলের খরচ বাড়বে।

নড়িয়ার নশাসন এলাকার কৃষক মোকলেছ খন্দকার ১৬৫ শতাংশ জমিতে শীতকালীন শাকসবজি, পেঁয়াজ ও রসুন আবাদ করেছেন। ওই ফসলগুলোর জন্য তাঁর ২০ হাজার টাকার সার ক্রয় করতে হয়েছে। বাজারে সরবরাহ কম থাকায় তাঁকে সার সংগ্রহ করতে সাড়ে ছয় হাজার টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করতে হয়েছে।

মোকলেছ খন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাজারে ডিলারের কাছে গেলে বলেন সার পাই না, কোথা থেকে দেব? যা চাই, তার কম পাই। ফসল আবাদ করেছি, ফলন ভালো পেতে হলে সার তো দিতেই হবে। তাই বেশি দাম দিয়ে খুচরা দোকান থেকে কিনতে হয়েছে।’

জাজিরার ডুবলদিয়া এলাকার কৃষক হারুন মাদবর প্রথম আলোকে বলেন, ‘শর্ষে, ধনিয়া, কালিজিরা, পেঁয়াজ ও রসুনের আবাদ করেছি। বাজারে সারের দাম বেশি। প্রতিটি সার বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। আমরা কৃষক, আমাদের কথা কে ভাবে? সার ও শ্রমিকের দাম বেশি। ফসলের উৎপাদন খরচ বাড়ছে, কিন্তু বিক্রি করতে গেলে দাম পাই না।’

জানতে চাইলে বিএডিসির ফরিদপুর অঞ্চলের যুগ্ম পরিচালক এস এম ইকরামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘টিএসপি, ডিএপি ও এমওপি সার দেশের বাইরে থেকে আমদানি করা হয়। বিএডিসি ছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আমদানি করে। আর ইউরিয়া বিসিআইসি সরবরাহ করে। মন্ত্রণালয় ও কৃষি বিভাগের বরাদ্দের তালিকা অনুযায়ী আমরা সেই সার ডিলারদের কাছে সরবরাহ করি। কোনো জেলায় চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দের ঘাটতি থাকলে তারা মন্ত্রণালয়ে উপবরাদ্দ চাইতে পারে। মন্ত্রণালয় বরাদ্দ দিলে আমরা সরবরাহ দিতে পারব।’

শরীয়তপুর সার বিক্রেতা সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রব হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘সারের যা বরাদ্দ পাই, তা নির্ধারিত দামে বিক্রি করছি। অনেক সময় কিছু সার সরবরাহের ঘাটতি থাকে। তখন খুচরা বিক্রেতারা একটু বেশি দামে বিক্রির চেষ্টা করেন।’

শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোস্তফা কামাল হোসেন বলেন, চাহিদা অনুযায়ী সারের বরাদ্দ কম আছে। কৃষক বিভিন্নভাবে ঘাটতি মোকাবিলা করছেন। বেশি দামে সার বিক্রি রোধে মনিটরিং কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। প্রশাসনের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছেন। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় কৃষকদের অতিমাত্রায় সার ব্যবহার না করে সুষম মাত্রায় ব্যবহার করা উচিত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সারে গ‍্যাসের দাম ১৬ থেকে বেড়ে ২৯ টাকা ২৫ পয়সা
  • উড়ালসড়কের পাইলিংয়ের সময় তিতাসের পাইপলাইনে ফাটল, গ্যাস সরবরাহ বন্ধ
  • খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে দ্রুত পদক্ষেপ নিন
  • রেহমান সোবহান এলডিসির খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানালেন
  • শরীয়তপুরে চাহিদার ৭৫ শতাংশের কম সার সরবরাহ, দুশ্চিন্তায় চাষিরা
  • ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের
  • গ্রী গ্লোবাল বাংলাদেশের পার্টনারস মিট: কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে দিকনির্দেশনা