৪৫০ কোটি টাকায় কেনা হচ্ছে ৪৩ হাজার বডি ক্যামেরা
Published: 9th, October 2025 GMT
পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ৪৩ হাজার বডি–ওর্ন ক্যামেরা। এগুলো কাজে লাগবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায়। প্রতিটি ক্যামেরার দাম ১ লাখ ৪ হাজার টাকা ধরে মোট ব্যয় হবে ৪৫০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, অনিয়ম ও দুর্নীতি ঠেকাতে এসব ক্যামেরা কেনা হবে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) মাধ্যমে। এতে সরকারের সংশ্লিষ্টতা থাকবে না। সরকার শুধু টাকা দেবে। পুলিশের পরিচালন ব্যয় থেকে অর্থের জোগান হবে।
সূত্রমতে, এ–সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে এরই মধ্যে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় নীতিগত সম্মতি দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মনে করছেন, ইউএনডিপির মাধ্যমে ক্যামেরা কিনলে সময় লাগবে কম। সরকার উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ক্যামেরা কিনতে গেলে তিন থেকে চার মাস সময় লেগে যেতে পারে। অন্যদিকে ইউএনডিপির মাধ্যমে কিনলে ডিসেম্বরের মধ্যে ক্যামেরা পাওয়া যাবে। তা ছাড়া সরকারিভাবে ক্যামেরা কিনতে গেলে নানা ধরনের অনিয়ম–দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ইউএনডিপির মাধ্যমে কিনলে তা এড়ানো যাবে বলে মনে করছেন মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তরের কর্মকর্তারা।
পুলিশের জন্য এসব ক্যামেরা কেনা হবে ইউএনডিপির মাধ্যমে। এতে সময় বাঁচবে, দুর্নীতি এড়ানো যাবে বলে মনে করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।সরকারি ক্রয় বিধিমালার ৬৮, ৭৫ ও ৭৬ ধারার আলোকে এই ক্যামেরা কেনা হবে। যেখানে বলা হয়েছে, ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী যেকোনো পণ্য ও সেবা সরাসরি ক্রয় করতে পারবে। এ জন্য বিজ্ঞাপনও দিতে হবে না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পুলিশ) আতাউর রহমান খান বলেন, ইউএনডিপির মাধ্যমে ক্যামেরা কেনার কারণ হচ্ছে সময় কম লাগবে। তাদের নির্দিষ্ট ঠিকাদার থাকে। দ্রুততার সঙ্গে তারা ক্যামেরা সরবরাহ করতে পারে। তিনি বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্যামেরা কিনতে গেলে তিন থেকে চার মাস সময় লেগে যায়। আবার অনেকে নানা ধরনের অভিযোগও করে। বিধিবিধান অনুসরণ করেই ইউএনডিপি থেকে ক্যামেরা কেনা হচ্ছে।
উদ্দেশ্য ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণ
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজনের কথা বলে আসছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তা ধরে নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি শুরু করেছে।
গত ৯ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা সব ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণের জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা ও পুলিশ সদস্যদের জন্য বডি–ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহারের নির্দেশ দেন। মূলত ওই বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জন্য ক্যামেরা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত হয়।
জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করার জন্য গত ৬ আগস্ট স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.
নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্রসচিব দুজনেই ইউএনডিপির মাধ্যমে ক্যামেরা কেনার বিষয়ে পুলিশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেন। এরপর পুলিশ থেকে ক্যামেরা কেনার একটি খসড়া কারিগরি প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। প্রস্তাবটি ইউএনডিপি ঢাকা অফিসেও পাঠানো হয়।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেন্দ্রগুলোকে অতিঝুঁকিপূর্ণ, ঝুঁকিপূর্ণ ও সাধারণ—এই তিন শ্রেণিতে ভাগ করেছে পুলিশ বিভাগ। তাদের হিসাবে মোট ক্যামেরা লাগবে ৪৩ হাজার। এই ক্যামেরার সঙ্গে ডেটা সংগ্রহ ও স্থানান্তরে ডিভাইস (ব্যাক অ্যান্ড সিস্টেম) থাকবে। থাকবে ডেটা ব্যবস্থাপনা প্ল্যাটফর্মও।
তবে শুধু ক্যামেরা কিনলেই হবে না, এর কার্যকর ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) দুজন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ সদস্যদের তা ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
কেনা হবে ক্রয়বিধি মেনে
ইউএনডিপির মাধ্যমে ক্যামেরা কিনলে সরকারের কোন বিধি মেনে করতে হবে, তা খতিয়ে দেখতে ২৮ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভা হয়। সেখানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিভিন্ন দেশে নির্বাচনসংক্রান্ত যন্ত্রপাতি সরবরাহের অভিজ্ঞতা রয়েছে ইউএনডিপির। জাতিসংঘের একটি সংস্থা হিসেবে তারা কাজটি কম সময়ে করতে পারবে। ক্রয়প্রক্রিয়া দ্রুত হবে, স্বচ্ছতাও নিশ্চিত হবে। তবে ওই বৈঠকে সরকারি ক্রয় নিয়ে কাজ করা সংস্থা বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটির (বিপিপিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মঈন উদ্দীন আহমেদ ভিন্নমত জানিয়ে বলেছিলেন, সরকারি ক্রয়বিধির (পিপিআর) ১২ নম্বর ধারা অনুযায়ী ক্যামেরা কিনতে ইউএনডিপিকে নির্বাহক সংস্থা মনোনীত করে ক্রয় কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ নেই।
তবে পিপিআরের ৬৮, ৭৫ ও ৭৬ নম্বর ধারা অনুসরণ করে এ ক্রয় কার্যক্রমটি করা যেতে পারে বলে মত দেন মঈন উদ্দীন। তাতে বলা আছে, ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান কেবল একটি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বা ঠিকাদারকে দরপত্র দাখিলের আহ্বান জানাতে পারবে।
ইউএনডিপির কাছ থেকে কোন পদ্ধতিতে ক্যামেরা কেনা হবে, তা নিয়ে সভায় আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয়, একমাত্র দরদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইউএনডিপির সঙ্গে মূল্য–সম্পর্কিত নেগোসিয়েশন করতে হবে। সব প্রক্রিয়া শেষ করে ক্রয়কারী সংস্থা পুলিশের সঙ্গে ইউএনডিপির চুক্তি সই করতে হবে। ইউএনডিপি একক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে।
আগে কেনা ৫ হাজার ক্যামেরা অচল
২০২০ থেকে ২০২২ সাল—এই তিন বছরে পুলিশের জন্য ১০ হাজার বডি–ওর্ন ক্যামেরা কেনা হয়েছিল। এর মধ্যে বর্তমানে পাঁচ হাজার ক্যামেরা কার্যকর রয়েছে। বাকি পাঁচ হাজার ক্যামেরা অচল হয়ে গেছে।
এত কম সময়ে পাঁচ হাজার ক্যামেরা কেন অচল হয়ে পড়ল, তা অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয় আন্তমন্ত্রণালয় সভায়। তদন্ত করে দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, নতুন করে ৪৩ হাজার ক্যামেরা আনার পর পরবর্তী তিন বছর বিনা মূল্যে ইউএনডিপি স্পেয়ার পার্টস সরবরাহ করবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স দ ধ ন ত হয় ওর ন ক য ম র ৪৩ হ জ র ব যবহ র সরবর হ প রস ত র জন য সদস য সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সার কারখানার জন্য গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার প্রস্তাব
ইউরিয়া সার উৎপাদনের ক্ষেত্রে মূল কাঁচামাল হিসেবে কাজ করে প্রাকৃতিক গ্যাস। কিন্তু গ্যাস–সংকটে বছরের বেশির ভাগ সময় সরকারি সার কারখানা বন্ধ রাখতে হয়। প্রতিবছর সার উৎপাদন কমছে। চাহিদা মেটাতে বাড়তি দামে সার আমদানি করতে হচ্ছে। এখন আমদানি কমিয়ে উৎপাদন বাড়াতে চায় সরকার। তাই গ্যাস সরবরাহ বাড়িয়ে সার কারখানা চালু রাখার নামে বাড়ছে গ্যাসের দাম।
সার কারখানায় গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে আজ সোমবার গণশুনানি করেছে জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এতে অংশীজনেরা বলেন, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের কথা বলে ২০২২ সালে শিল্পে ১৭৯ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয় গ্যাসের দাম। যদিও বাড়তি দাম দিয়ে গ্যাস পায়নি শিল্প। সার কারখানায় প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম দাম ৪ টাকা ৪৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৬ টাকা করার পরও কারখানা বন্ধ ছিল। এখন আরও বাড়িয়ে ৩০ টাকা করার চেষ্টা চলছে।
সরকারি মালিকানায় ৫টি ইউরিয়া সার কারখানা আছে। এগুলো বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) অধীনে। সংস্থাটির কর্মকর্তারা শুনানিতে জানান, গ্যাসের অভাবে গত অর্থবছরে (২০২৪-২৫) যমুনা সার কারখানা বন্ধ ছিল ৩৫১ দিন। তার মানে চালু ছিল মাত্র ১৪ দিন। আশুগঞ্জ সার কারখানা বন্ধ ছিল ২৫৯ দিন। শাহজালাল সার কারখানা বন্ধ ছিল ১৪৭ দিন। চট্টগ্রাম ইউরিয়া কারখানা বন্ধ ছিল ৮১ দিন। এর আগের বছরেও বেশির ভাগ সময় বন্ধ ছিল কারখানা। ২০০৬-০৭ অর্থবছর থেকেই বছরের বড় একটি সময় সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা শুরু হয়।
রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে আজ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গণশুনানি চলে। এতে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) ও ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি দাম বাড়ানোর অভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরে। তারা সার কারখানার জন্য গ্যাসের দাম ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে বিইআরসি গঠিত কারিগরি কমিটির মূল্যায়ন প্রতিবেদনে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ৩০ টাকা নির্ধারণের যৌক্তিকতা তুলে ধরা হয়।
এর আগে গত ১০ আগস্ট সার কারখানায় গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় পেট্রোবাংলা। এরপর একই প্রস্তাব আলাদা করে জমা দেয় ৬টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি। এতে বলা হয়, প্রতি ঘনমিটার গ্যাসে গড়ে খরচ হয় ২৮ টাকা ৭৮ পয়সা। বর্তমানে বিক্রি করা হচ্ছে ২২ টাকা ৯৩ পয়সা। প্রতি ঘনমিটারে লোকসান হচ্ছে ৫ টাকা ৮৫ পয়সা। এতে চলতি অর্থবছরে ১২ হাজার ২৯১ কোটি টাকা ঘাটতি হতে পারে। সরকার ভর্তুকি বরাদ্দ রেখেছে ৬ হাজার কোটি টাকা। সার কারখানায় গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে ঘাটতি কমানো সম্ভব হবে।
শুনানি শেষে বিইআরসির চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ বলেন, ২০ বছর আগে প্রিপেইড মিটারের কাজ শুরু হয়েছে, এখনো ২০ শতাংশ হয়নি। সদিচ্ছা থাকলে এটা হতো। গ্যাস খাতে সিস্টেম লস (কারিগরি ক্ষতি) কমাতে সদিচ্ছা থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, ১৭ কোটি মানুষকে খাইয়ে পরিয়ে রাখছে কৃষি। তাই কৃষির জন্য বোঝা তৈরি করা যাবে না। সার কারখানায় উৎপাদন ধরে রাখতে হবে। আবার পেট্রোবাংলার ঘাটতিও করা যাবে না। সব দিক চিন্তা করেই সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। সবার মতামত বিবেচনা করা হবে। এর বাইরে ১৩ অক্টোবরের মধ্যে লিখিত মতামত দিতে পারবেন।
শুনানিতে অংশ নিয়ে নাগরিকদের কেউ কেউ গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিরোধিতা করেন। তাঁরা বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে সারের উৎপাদন খরচ বাড়বে। এরপর সেই অজুহাতে সারের দাম বাড়ানো হবে। এতে কৃষিপণ্যের খরচ বাড়বে, যা ভোক্তার ওপর প্রভাব পড়বে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মনিরুজ্জামান বলেন, প্রতি টন সারে ভর্তুকি এখন ১৩ হাজার টাকা। কৃষক পর্যায়ে সারের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই। বাড়তি উৎপাদন খরচের দায় যদি সরকার ভর্তুকি দিয়ে মেটায়, তাহলে গ্যাসের দাম বাড়তে পারে।
তবে বিসিআইসির পরিচালক (পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন) দেলোয়ার হোসেন বলেন, ২০২২ সালে গ্যাস সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দাম বাড়িয়েছিল, সেটা রক্ষা করা হয়নি। এতে আগের চেয়ে বছরে উৎপাদন কমেছে ৩ লাখ টন। গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। আর দাম যদি বাড়াতেই হয়, তাহলে ১৬ টাকা থেকে ৪ টাকা বাড়িয়ে ২০ টাকা করা যেতে পারে। এতে কৃষক বাঁচবে।
বিসিআইসির তথ্য বলছে, ২০০৬-০৭ সালে তারা সার উৎপাদন করেছে ১৮ লাখ ১৭ হাজার টন। কমতে কমতে ২০২১-২২ সালে করেছে ১০ লাখ ১০ হাজার টন। গ্যাসের দাম বাড়ানোর পর ২০২২-২৩ সালে করেছে ৭ লাখ ১৮ হাজার টন ও ২০২৩-২৪ সালে করেছে ৬ লাখ ৯৪ হাজার টন। তবে গত অর্থবছরে উৎপাদন ১০ লাখ টন ছাড়িয়েছে। যদিও এর মধ্যে প্রায় ৮ লাখ টন উৎপাদন করেছে গত বছরের মার্চে উৎপাদনে আসা ঘোড়াশালের নতুন সার কারখানা। সেই হিসাবে আগের কারখানাগুলোয় উৎপাদন হয়েছে ২ লাখ টন। যদিও পুরোনো কারখানাগুলোর জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহারের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে শুনানিতে। বিসিআইসির কর্মকর্তারা শুনানিতে বলেন, প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ৩০ টাকা করা হলেও সার আমদানির চেয়ে দেশে সার উৎপাদন খরচ কম হবে।
শুনানিতে অংশ নেবে না বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছিল ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম আজ প্রথম আলোকে বলেন, দাম বাড়ানোর পর গ্যাস পাবে কোথায়? আগেও গ্যাস দেবে বলে দাম বাড়ানো হয়েছিল। এভাবে গ্যাসের দাম বাড়ানোর পর সারের দাম বাড়বে। সারের দাম বাড়লে কৃষি ধ্বংস হয়ে যাবে। এরপর খাদ্যও আমদানি করতে হবে। দেশ ধীরে ধীরে আমদানি বাজারে পরিণত হচ্ছে।