সিলেটে সড়ক–রেলপথে নাজুক অবস্থা, জমায়েতের ঘোষণা আরিফুলের
Published: 9th, October 2025 GMT
সিলেটের নাজুক যোগাযোগব্যবস্থার প্রতিকার চেয়ে গণজমায়েতের ডাক দিয়েছেন সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার সকালে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে এক খুদে বার্তা পাঠিয়ে তিনি সিলেটবাসীর প্রতি এই আহ্বান জানান।
খুদে বার্তায় জানানো হয়, গণজমায়েতের অংশ হিসেবে আগামী রোববার বেলা ১১টায় সিলেট নগরের কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় এক সমাবেশ হবে। এতে অংশ নিতে বৃহত্তর সিলেটবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান বিএনপির এই নেতা।
আরিফুল হক বলেন, ‘বৃহত্তর সিলেটের যোগাযোগব্যবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে চলমান দুর্ভোগ, অনিয়ম ও চরম নৈরাজ্য অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। সহজ, নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল যাতায়াতে জনগণের অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এই অব্যবস্থাপনা ও অবিচারের প্রতিবাদে এবং একটি যথাযথ উন্নয়নমূলক, স্বচ্ছ ও টেকসই যোগাযোগব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে আমরা সবাই একত্র হব। আসুন, দলমত–নির্বিশেষে আমরা সবাই একত্র হই, আমাদের প্রিয় সিলেটের অধিকার আদায়ের এই ন্যায্য আন্দোলনে।’
আরও পড়ুনক্ষোভ জানিয়ে বেহাল সড়কে দাঁড়িয়ে সিলেট বিএনপি সভাপতির লাইভ ৪ ঘণ্টা আগেএর আগে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিলেট–ঢাকা মহাসড়ক ও রেল যোগাযোগের দুরবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আরিফুল হক। দ্রুত সংস্কারকাজ শুরু না হলে সিলেটবাসীকে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে আরিফুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘সিলেট–ঢাকা মহাসড়কের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। তিন থেকে চার ঘণ্টায় ওই মহাসড়ক দিয়ে আগে সিলেট থেকে ঢাকায় যাওয়া যেত, এখন ১৫ থেকে ২৪ ঘণ্টাও লাগছে। দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা চললেও সমাধানে কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপ নেই। এই অবস্থা নিরসনে আন্দোলন কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। দলমত–নির্বিশেষে সিলেটের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ আমরা কামনা করছি।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড় হয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ দীর্ঘ আট বছর ধরে চলছে। সম্প্রতি ঢাকা–সিলেট মহাসড়কে যানজট আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। কাজটি করছে ভারতীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পালাবদলের পর প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা দেশে ফিরে যান। তিন মাস পর তাঁরা বাংলাদেশে ফিরে আবার কাজ শুরু করেন। এর মধ্যে তাঁদের অনেক মালামাল খোয়া গেছে। এতে কাজের গতি কমেছে বলে দাবি প্রতিষ্ঠানটির।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে সড়ক–রেলপথে নাজুক অবস্থা, জমায়েতের ঘোষণা আরিফুলের
সিলেটের নাজুক যোগাযোগব্যবস্থার প্রতিকার চেয়ে গণজমায়েতের ডাক দিয়েছেন সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার সকালে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে এক খুদে বার্তা পাঠিয়ে তিনি সিলেটবাসীর প্রতি এই আহ্বান জানান।
খুদে বার্তায় জানানো হয়, গণজমায়েতের অংশ হিসেবে আগামী রোববার বেলা ১১টায় সিলেট নগরের কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় এক সমাবেশ হবে। এতে অংশ নিতে বৃহত্তর সিলেটবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান বিএনপির এই নেতা।
আরিফুল হক বলেন, ‘বৃহত্তর সিলেটের যোগাযোগব্যবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে চলমান দুর্ভোগ, অনিয়ম ও চরম নৈরাজ্য অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। সহজ, নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল যাতায়াতে জনগণের অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এই অব্যবস্থাপনা ও অবিচারের প্রতিবাদে এবং একটি যথাযথ উন্নয়নমূলক, স্বচ্ছ ও টেকসই যোগাযোগব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে আমরা সবাই একত্র হব। আসুন, দলমত–নির্বিশেষে আমরা সবাই একত্র হই, আমাদের প্রিয় সিলেটের অধিকার আদায়ের এই ন্যায্য আন্দোলনে।’
আরও পড়ুনক্ষোভ জানিয়ে বেহাল সড়কে দাঁড়িয়ে সিলেট বিএনপি সভাপতির লাইভ ৪ ঘণ্টা আগেএর আগে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিলেট–ঢাকা মহাসড়ক ও রেল যোগাযোগের দুরবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আরিফুল হক। দ্রুত সংস্কারকাজ শুরু না হলে সিলেটবাসীকে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে আরিফুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘সিলেট–ঢাকা মহাসড়কের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। তিন থেকে চার ঘণ্টায় ওই মহাসড়ক দিয়ে আগে সিলেট থেকে ঢাকায় যাওয়া যেত, এখন ১৫ থেকে ২৪ ঘণ্টাও লাগছে। দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা চললেও সমাধানে কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপ নেই। এই অবস্থা নিরসনে আন্দোলন কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। দলমত–নির্বিশেষে সিলেটের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ আমরা কামনা করছি।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড় হয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ দীর্ঘ আট বছর ধরে চলছে। সম্প্রতি ঢাকা–সিলেট মহাসড়কে যানজট আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। কাজটি করছে ভারতীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পালাবদলের পর প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা দেশে ফিরে যান। তিন মাস পর তাঁরা বাংলাদেশে ফিরে আবার কাজ শুরু করেন। এর মধ্যে তাঁদের অনেক মালামাল খোয়া গেছে। এতে কাজের গতি কমেছে বলে দাবি প্রতিষ্ঠানটির।