ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নের জন্য বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) গঠন করেছে ১১ সদস্যের মনোনয়ন বোর্ড। 

সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির অনলাইন সভায় এই বোর্ড গঠন করা হয় বলে রবিবার (৯ নভেম্বর) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা হলেন— কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, রফিকুজ্জামান লায়েক, এস এ রশীদ, রাগীব আহসান মুন্না, জলি তালুকদার, মো.

আমিনুল ফরিদ, মোহাম্মদ শাহ আলম, লক্ষ্মী চক্রবর্তী এবং দিবালোক সিংহ।

এর আগে, ২৫ অক্টোবর সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আগামী সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধভাবে ৩০০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হবে। নির্বাচনে সিপিবি নেতৃত্বাধীন জোট, বামপন্থী দল, গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল সংগঠন ও ব্যক্তিরা একত্রিতভাবে অংশগ্রহণ করবেন।

সভায় আরো সিদ্ধান্ত হয়, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা ‘জনতার সনদ’ মেনে চলবেন। এছাড়া, সাংগঠনিক কাজ ত্বরান্বিত করা এবং রাজনৈতিক কার্যক্রম জোরদার করার মাধ্যমে নির্বাচনে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।

ঢাকা/এএএম/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জলে ভাসছে বেওয়ারিশ মন

আপেল

একেবারে মিশে যেতে পারিনি, একটু ফাঁক থেকে গেছে যেকোনো উপায়ে
ভোকাট্টা ঘুড়ির মতো হয়তো খুব মাঝপথে নেমে গেছি আমি অকস্মাৎ,
মাথায় আপেল নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছি একা, তারপর টলোমলো পায়ে
দেখেছি অন্ধ কোনো তিরন্দাজের মতো আমাকে নিশানা করছে রাত...

সবারই আশ্রয় থাকে। কার্নিশে ক্লান্ত রোদ। প্যারাসিটামল। রিংটোন।
আমার ব্যাপারে আজও সিদ্ধান্তে আসেনি নদী। জলে ভাসছে বেওয়ারিশ মন।

তোমার সকাল নামছে

বাজনা বলতে শুধু
পাতাদের হাততালি আছে

বাজনা বলতে শুধু
গাছ একা আবৃত্তি করছে:
বসন্ত ছোঁয়াচে ঋতু, প্রতিবার আমাকে ভোগায়

আর যে পথে শিশির আসে ঘাসের ডগায়
যে পথে ঠান্ডা হাওয়াগুলো
পিঠ রাখে শহরের উঁচু উঁচু দেয়ালের গায়
সে পথে, তেমনই চুপিচুপি, তোমার সকাল নামছে—
মশারি গুটিয়ে সব বাড়িগুলো উঠে বসছে
আলগা হাতখোঁপা বেঁধে স্যুটকেস গুছিয়ে নিচ্ছে রাত;
বাজনা বলতে শুধু, আটা মাখছে চুড়ি পরা হাত

যে মেয়েটা সারা রাত ঘুমাতে পারেনি
বাজনাগুলোর গায়ে, ও রবি ঠাকুর,
গানের ভরসা বুনে একটি নাকফুল তাকে করো হে প্রেরণ

বয়ঃসন্ধি টের পাওয়া প্রথম সকালে
তুমি তার শান্তিনিকেতন।

গোপন স্টেশন

বন্ধুতার কিছু পরে
প্রেমের কয়েক কিমি আগে
গোপন স্টেশন আছে, সব ট্রেন থামে না।

কদাচিৎ চেন টেনে যারাই থেমেছে, ভেবেছে একটুক্ষণ
যাত্রাবিরতির খেলা ভালো—
পত্রিকাস্টলে গিয়ে পাতা ওল্টানোর সঙ্গে
এক রাউন্ড চা চলতে পারে—

তারা কি ফিরেছে আর হুইসেলে, সূচীভাষ্যকারে?

থেকে গেছে; দেখা যায়—পা গুটিয়ে, সিমেন্টবেঞ্চিতে,
জীবন খরচ করে বাদাম কিনছে আর
বান্ধবনগর থেকে যে আসছে ডেকে নিতে
তাকেই খারিজ করছে, ‘না, না, তুমি সে না!’

গোপন স্টেশন এক, বলাই বাহুল্য, সব ট্রেন থামে না।

আঁতাত

একটি শহুরে আত্মহত্যায়
সিলিং ফ্যানের সঙ্গে
টুলের যে বোঝাপড়া

মিছিলের পায়ে পায়ে
পুলিশ ভ্যানের গায়ে গায়ে
যেমন নাছোড়
সংবাদপত্র–লেখা গাড়ি

মন খারাপের সঙ্গে
যেভাবে সম্পর্কিত
ঠান্ডা বাতাসওয়ালা ছাদ
আর মাগরিবের গোধূলিবিষাদ

লাল ও সবুজ সংকেতমালার মধ্যে
মাজনবিক্রেতার দন্তঝিলিকের মতো
যেটুকু হলুদ সমঝোতা

ছুচের সঙ্গে
পেনসিলে আঁকা নকশার যে আঁতাত

সে রকম—
সে রকমই আমার এই কলমবন্ধুতা
পাঠিকা, তোমার সঙ্গে

আমিও বোর্ডে লেখা নাম

ডাস্টার হাতে ব্ল্যাকবোর্ড মুছে দিচ্ছিলে
অথবা বিদায় জানাচ্ছিলে তুমি।

আমিও বোর্ডে লেখা নাম
রাস্তার ওপারে ক্রমে ছোট হতে হতে
আস্তে আস্তে মুছে যাচ্ছিলাম!

এ সমস্ত জরুরি বিষাদ
এ সমস্ত ছুরি-চিকিৎসা
বুঝতে পারি একদিন ফের
আমাকে ভন্ডুল করে
পৌঁছে দেবে তোমার বিহিতে

অনতিক্রম্য তুমি জেনে
পা পড়ছে একই জায়গায়,
যেন দড়িলাফ দিতে দিতে...

সম্পর্কিত নিবন্ধ