এনআইডি পেতে যাচ্ছেন লস অ্যাঞ্জেলেসপ্রবাসী বাংলাদেশিরা, দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান
Published: 9th, October 2025 GMT
দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসে বসবাস করছেন গোলাম কিবরিয়া। দীর্ঘদিন বিদেশে থাকার কারণে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই ৬৫ বছর বয়সী এই প্রবাসীর। এতে দেশে ব্যাংক এবং সম্পদসংক্রান্ত আইনি কাজে তাঁকে সমস্যায় পড়তে হয়। এনআইডি না থাকায় নিজের ভোটাধিকারও প্রয়োগ করতে পারেননি তিনি।
গোলাম কিবরিয়ার মতো ভুক্তভোগী সেখানকার আরও অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি। লস অ্যাঞ্জেলেসের সমাজকর্মী সৈয়দ নাসির জেবুল প্রথম আলোকে বলেন, শুধু এনআইডি করতেই অনেক টাকা খরচ করে বাংলাদেশে যেতে হয়। এরপরও এনআইডি না পেয়েই ফিরতে হয়েছে, যা অর্থের অপচয়।
অবশেষে প্রবাসীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। লস অ্যাঞ্জেলেসে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় (লস অ্যাঞ্জেলেস সময়) আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে প্রবাসীদের এনআইডি নিবন্ধন কার্যক্রম।
নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে এই পরিষেবা চালু হচ্ছে, যা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। এখন থেকে দেশে না গিয়ে কনস্যুলেট থেকেই এনআইডিসংক্রান্ত সব সেবা পাবেন তাঁরা। একই সঙ্গে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন।
লস অ্যাঞ্জেলেসে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল কাজী জাবেদ ইকবাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি কয়েক দিন হলো এখানে যোগদান করেছি। যোগদানের পরপরই প্রবাসীদের জন্য এনআইডি সেবা চালু হচ্ছে, যা আমার জন্য খুবই আনন্দের। প্রবাসীরা আবেদন করার পর দ্রুততার সঙ্গে যাতে জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে পেতে পারেন, সে চেষ্টা আমরা করব।’
সব নথি যাচাই শেষে নির্বাচন কমিশন আবেদনকারীর স্থায়ী ঠিকানার আওতাধীন উপজেলা নির্বাচন অফিসারের মাধ্যমে সরেজমিনে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করবে। এরপর আবেদন যাচাই হয়ে গেলে এনআইডি কার্ড সরাসরি আবেদনকারীর হাতে তুলে দেওয়া হবে।কনসাল জেনারেল আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসীরা দেশের নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহণের স্বপ্ন দেখলেও তা বাস্তবায়নের সুযোগ সীমিত ছিল। জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম চালুর মাধ্যমে এই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিচ্ছে।
যেভাবে আবেদন করতে হবে
প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনলাইনে ফরম-২(ক) পূরণ করে এনআইডির জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রয়োজনে অতিরিক্ত কাগজপত্রও জমা দেওয়া যাবে। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত বিশেষ এলাকার জন্য নির্ধারিত ফরম, নাগরিক সনদ, নিকাহনামা ও স্বামী বা স্ত্রীর এনআইডি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, টিআইএন সার্টিফিকেট, স্থানীয় প্রশাসনের নাগরিক সনদ এবং ইউটিলিটি বিল বা বাড়িভাড়ার রসিদের অনুলিপি।
সব নথি যাচাই শেষে নির্বাচন কমিশন আবেদনকারীর স্থায়ী ঠিকানার আওতাধীন উপজেলা নির্বাচন অফিসারের মাধ্যমে সরেজমিনে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করবে। এরপর আবেদন যাচাই হয়ে গেলে এনআইডি সরাসরি আবেদনকারীর হাতে তুলে দেওয়া হবে।
প্রবাসীরা আবেদন করার পর দ্রুততার সঙ্গে যাতে জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে পেতে পারেন, সে চেষ্টা আমরা করবকাজী জাবেদ ইকবাল, কনসাল জেনারেল, বাংলাদেশ কনস্যুলেট, লস অ্যাঞ্জেলেসএর আগে প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধন ও এনআইডি পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের নির্দেশনায় বলা হয়েছে প্রবাসীরা অনলাইনে নির্ধারিত ফরম-২(ক) পূরণ করে আবেদন করতে পারবেন এবং আবেদন করার সময় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
এসব কাগজপত্রের মধ্যে রয়েছে অনলাইনে পূরণকৃত আবেদনপত্র, অনলাইন ভেরিফায়েড জন্মনিবন্ধন সনদের অনুলিপি, বৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বাংলাদেশি পাসপোর্ট বা বিদেশি পাসপোর্টের অনুলিপি অথবা এনআইডি আছে একই দেশে বসবাসকারী এমন তিনজন বাংলাদেশির প্রত্যয়নপত্র, আবেদনকারীর বাবা-মায়ের এনআইডি বা জন্মনিবন্ধন বা নাগরিকত্ব বা পাসপোর্টের অনুলিপি এবং পাসপোর্ট সাইজের একটি রঙিন ছবি।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আবেদনকারী নিজে উপস্থিত হতে না পারলে বাংলাদেশে অবস্থানরত তাঁর মনোনীত প্রতিনিধি সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন কার্যালয়ে কাগজপত্র জমা দিতে পারবেন। আবেদনপত্রে দেওয়া তথ্য স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তা যাচাই করবেন। সঠিক ও প্রামাণিক কাগজপত্র না থাকলে আবেদন বাতিল হতে পারে।
যুক্ত হলো বিশেষ নিয়ম
প্রবাসী হিসেবে এনআইডি পেতে একটি বিশেষ নিয়ম চালু করা হয়েছে। যে প্রবাসী এনআইডির জন্য আবেদন করবেন, তাঁর বর্তমান ঠিকানায় বসবাস করছেন এমন তিনজন বাংলাদেশি নাগরিকের প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে। প্রত্যয়নপত্রে উল্লেখ থাকবে আবেদনকারী প্রবাসী ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের নাগরিক এবং উক্ত ঠিকানায় বসবাস করছেন।
প্রত্যয়নপত্রে তিনজন প্রত্যয়নকারীর নাম, এনআইডি নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর, মুঠোফোন নম্বর, স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর প্রথম আলোকে বলেন, ‘অক্টোবরে যাঁরা এনআইডির জন্য আবেদন করবেন, আমরা তাঁদের পরিচয়পত্র দ্রুত দেওয়ার চেষ্টা করব, যাতে প্রবাসীরা দেশের নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন।’ তিনি আরও বলেন, আবেদনের সময় যদি সঠিকভাবে কাগজপত্র জমা দেয়, তাহলে এনআইডি পেতে খুব বেশি দিন লাগবে না।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: লস অ য ঞ জ ল স প রব স দ র কনস য ল ট ক গজপত র র অন ল প প রব স র র জন য প রব ন বসব স
এছাড়াও পড়ুন:
কাপড় খোলা বাজারে বিক্রি: অ্যাডভান্স এ্যাটায়ারকে নোটিশ
তৈরি পোশাক খাতের প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাডভান্স এ্যাটায়ার’ বন্ড সুবিধা নিয়ে ৩৪ লাখ ৭২ হাজার ৬৫৩ কেজি বা প্রায় ৩ হাজার ৪৭২ মেট্রিক টন কাপড় আমদানি করেছে। এর প্রায় অর্ধেক কাপড়ই খোলা বাজারে বিক্রি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এই অনৈতিক কাজের মাধ্যমে পোশাক কোম্পানিটি সরকারের কোটি কোটি টাকার বেশি রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বন্ড সুবিধা ব্যবহার করে খোলাবাজারে কাপড় বিক্রি করার অভিযোগের প্রমান পাওয়া তৈরি পোশাক কোম্পানি অ্যাডভান্স এ্যাটায়ার কে ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রেখেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। একই সঙ্গে সরকারের রাজস্ব ফাঁকির ৬৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা পরিশোধ করতে প্রতিষ্ঠানটিকে নোটিশ দিয়েছে এনবিআর। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্র জানায়, অ্যাডভান্স এ্যাটায়ার ২০১০ সালে বন্ড লাইসেন্স পেয়েছে। এরপর থেকেই কোম্পানিটি বন্ড সুবিধায় কাপড় আমদানি করে আসছে। এসব আমদানি করা কাপড়ের অধিকাংশই খোলা বাজারে বিক্রি করে দেয় অ্যাডভান্স এ্যাটায়ার-এমনই অভিযোগ পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি খোজ নেয় ঢাকা দক্ষিণ কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট।
এদিকে, চলতি গত ২৩ সেপ্টেম্বর বন্ড কমিশনারেটের কর্মকর্তারা অ্যাডভান্স এ্যাটায়ারের ওয়্যারহাউস পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে কোম্পানির আমদানি করা কাগজপত্র যাচাই ও ইনভেন্ট্ররি করা হয়। এ সময় আমদানি রপ্তানির কাগজপত্র যাচাই ও মজুত পণ্যে বেশ গরমিল পায় বন্ড কমিশনারেটের কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির আমদানি করা বিপুল পরিমাণ কাপড় খোলাবাজারে বিক্রির প্রমাণ পায় বন্ড কর্মকর্তারা। কোম্পানির আমদানি করা কাপড় খোলা বাজারে বিক্রির বিষয়টি নিয়ে এক পর্যায়ে বন্ড কমিশনারেটের কর্মকর্তাদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. মশিউর রহমান স্বীকার করেছেন। গত ৬ অক্টোবর কোম্পানিটি পরিদর্শনের প্রতিবেদন জমা দেয় কর্মকর্তারা।
অ্যাডভান্স এ্যাটায়ারের চেয়ারম্যান সালাম হোসেন চৌধুরী রাইজিংবিডিকে বলেন, “আমাদের প্রতিষ্ঠান বন্ড সুবিধায় আমদানি করা কাপড় খোলাবাজারে বিক্রি করেনি। বন্ড কমিশনারেটের কর্মকর্তারা ওয়্যারহাউস পরিদর্শন করে কি পেয়েছে সেটি আমাদেরকে জানায়নি। বুঝেন তো .......তারা কিছু ...চায়।”
পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাডভান্স এ্যাটায়ার লিমিটেড ২০২৪ সালের ৪ মার্চ থেকে গত ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩৪ লাখ ৭২ হাজার ৬৫৩ কেজি কাপড় আমদানি করেছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটিতে আগের কাপড় মজুত রয়েছে ৯৩ হাজার ৪৫৪ কেজি। আগের মজুতসহ প্রতিষ্ঠানটিতে কাপড় থাকার কথা ৩৫ লাখ ৬৬ হাজার ২০৭ কেজি। প্রতিষ্ঠানের দেওয়া কাগজপত্র অনুযায়ী, ১৭ লাখ ১৪ হাজার ৩২৮ কেজি বা ১ হাজার ৭১৪ মেট্রিক টন কাপড় দিয়ে পোশাক তৈরি করে তা রপ্তানি করা হয়েছে। তবে এসব পণ্য সত্যিই রপ্তানি করা হয়েছে কিনা তা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।রপ্তানির তৈরি পোশাক বাদ দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ওয়্যারহাউসে আমদানি করা বাকি ১৪ লাখ ৭৩ হাজার ৪৬৭ কেজি বা ১ হাজার ৪৪৩ দশমিক ৪৬৭ মেট্রিক টন কাপড় থাকার কথা। কিন্তু ওয়্যারহাউসে এসব বিপুল পরিমাণ কাপড় নেই। এই কাপড় ফ্যাক্টরিতে প্রবেশ করেনি, বন্দর থেকে সরাসরি খোলাবাজারে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে অ্যাডভান্স এ্যাটায়ারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
অবৈধভাবে শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে বিক্রি করা এই কাপড়ের মূল্য প্রায় ৮০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, যাতে প্রযোজ্য শুল্ককর প্রায় ৬৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা।পরিদর্শন প্রতিবেদনে কর্মকর্তারা প্রতিষ্ঠানটি রাজস্ব ঝুঁকি থাকায় ফাঁকি দেওয়া শুল্ককর আদায়ে দাবিনামা সম্বলিত কারণ দর্শানো নোটিশ ও অনিয়ম, জালিয়াতির ঝুঁকি থাকায় প্রতিষ্ঠানটির বন্ড লাইসেন্স সাময়িক স্থগিত করার সুপারিশ করেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ১২ নভেম্বর ঢাকা দক্ষিণ কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট থেকে প্রতিষ্ঠানকে অবৈধভাবে বিক্রি করে ১ হাজার ৪৪৩ মেট্রিক টন কাপড়ের ওপর প্রযোজ্য শুল্ককর ৬৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা পরিশোধে দাবিনামা সম্বলিত কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা দক্ষিণ কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের একজন কর্মকর্তা জানান, পোশাক কারখানা অ্যাডভান্স এ্যাটায়ারের বন্ড লাইসেন্সের বিপরীতে কাপড় আমদানি করত। একই সঙ্গে তারা অবৈধভাবে খোলা বাজারে আমদানি করা কাপড় বিক্রি করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিত। বিষয়টি যাচাই করে প্রমান পাওয়া গেছে। আগেও এমন ঘটনার প্রমান পেয়েছিল বন্ড কমিশনারেট, প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা করা হলেও অদৃশ্য কারণে প্রতিষ্ঠানটি ছাড় পেয়ে যায়। লাইসেন্স বাতিল করার পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেও একটি প্রভাবশালী মহলের কারণে সেটি হয়নি। এবারও ম্যানেজের চেষ্টা করে তারা ব্যর্থ হয়েছে। তাই অ্যাডভান্স এ্যাটায়ারকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশের জবাবের পর আইন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
জানা গেছে, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক মানিকগঞ্জের ঘিওর পুখরিয়া এলাকায় অ্যাডভান্স এ্যাটায়ারের কারাখানা। এই পোশাক কোম্পানিটি ২০১০ সালে বন্ড লাইসেন্স পেয়েছে। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এর সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠান অ্যাডভান্স এ্যাটায়ার। কোম্পানিটি শার্ট, বোতাম, প্যান্ট, জ্যাকেট উৎপাদন ও রপ্তানি করে।
ঢাকা/নাজমুল/এসবি