সেই সময়ে শিল্পপতিদের আমরা পাই নাই, আজকে লাইন ধরেছে : সাখাওয়াত
Published: 9th, October 2025 GMT
আমরা বিগত ১৬টি বছর রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে হামলা মামলা জেল জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। সেই সময়ে কোনো শিল্পপতিদের আমরা পাই নাই। আজকে আমাদের দলে অনেক শিল্পপতিরাই লাইন ধরেছে।
যারা বিগত সময়ে বিএনপির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। মিটিং মিছিল তো দূরের কথা দলের কোন উপকারী আসে নাই। আমরা মার খেয়েছি হত্যার মতন পরিস্থিতি স্বীকারও হয়েছি।
আমাদের অনেক ভাইকেও কিন্তু আমরা হারিয়েছি । আমাদের বিরুদ্ধে অসহ্য মামলা দেওয়া হয়েছিল। আমাদের এখানে অনেকের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে আমি সাতবার জেলে গিয়েছিলাম।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন বন্দর থানা অন্তর্গত ২১নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মীসভা ও বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নে লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
বৃহস্পতিবার ( ৯ অক্টোবর) বিকেল চারটায় ২১নং ওয়ার্ডের বাড়াইপাড়া এলাকায় এই কর্মীসভার আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, আমরা তো কোনো অপরাধ করিনি তারপরও আমাদের জেল খাটতে হয়েছে কারন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি করেছি। আজকে কিছু মানুষ গোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইছে।
সেটার বিষয়ে আমাদের ভারপ্রাপ্ত যে চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান আমাদেরকে বলে দিয়েছে। তিনটি ক্যাইটারিয়ায় ৩০০ আসনে প্রার্থী নির্ধারণ করা হবে। এক নাম্বার যারা বিগত পনের বছর দলের সাথে ছিল। দলের মিটিং মিছিল করেছে। দলের জন্য মামলা মোকদ্দমা খেয়েছে, জেল খেটেছেন।
দুই নাম্বার জনসম্পৃক্ততা থাকতে হবে। নমিনেশন নিতে হলে জনগণের সাথে সম্পৃক্ততা থাকতে হবে। জনগণ যাতে ভালোবাসা, জনগণে বিপদ-আপদে যাকে জনগণের পাশে থাকে।
তিনি আরও বলেন, আমরা কিন্তু গত ১৫ টি বছর জনগণের পাশে ছিলাম, জনগণের পক্ষে কথা বলেছি। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধেও কথা বলছি। তৃতীয় নাম্বার আর যে আসবে তার চরিত্র স্বচ্ছ হতে হবে। কোন দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও নারী কেলেঙ্কারি রয়েছে তাদেরকে এই দলের নমিনেশন দেওয়া হবে না।
সুতরাং আমরা কারো বিরুদ্ধে কথা বলতে চাই না আমরা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি আমাদের পূর্ন আস্থা রয়েছে। আমরা কাজ করেছি দলের সাথে ছিলাম, নেতাকর্মীদের সাথে ছিলাম।
আমরা আগামীতেও দল বিপদে পড়লে এই দলের সাথে আছি কিন্তু ব্যবসায়ীদেরকে কিন্তু খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমরাই সেদিন দল ও নেতাকর্মীপাশে থাকবো এবং আপনাদের পাশে থাকবো।
মহানগর ২১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সাহেব আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জয়নাল প্রধানের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.
আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ পনেজ, বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি আমির হোসেন, বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোশারফ হোসেন মশু, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিনহাজ মিঠু, মহানগর ২১নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র বাসেদ মিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন মনাক্কা, সাংগঠনিক সম্পাদক শিপলু মিয়াজী প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স জনগণ র আম দ র দল র স রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশে নির্বাচনে যে সরকার আসবে, তাদের সঙ্গে কাজ করবে ভারত: বিক্রম মিশ্রি
বাংলাদেশে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে ‘অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের’ প্রতি ভারতের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। তিনি বলেছেন, নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণের রায় নিয়ে যে সরকার ক্ষমতায় আসবে, তাদের সঙ্গে কাজ করবে ভারত।
সোমবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ডিক্যাব) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন বিক্রম মিশ্রি। এ সময় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল, যুগ্ম সচিব (বাংলাদেশ ও মিয়ানমার) বি শ্যাম, ডিক্যাব প্রেসিডেন্ট এ কে এম মঈনুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুজ্জামান মামুন উপস্থিত ছিলেন।
ভারত সরকারের আমন্ত্রণে ডিক্যাবের ২৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল বর্তমানে দেশটি সফর করছে।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায় নিয়ে যে সরকার আসবে, তাদের সঙ্গে কাজ করতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় ভারতের পররাষ্ট্রসচিব দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, পানিবণ্টন ইস্যু এবং বর্তমানে ভারতে অবস্থান করা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঘিরে থাকা উদ্বেগের বিষয়গুলো নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। বর্তমানে দুই দেশের সম্পর্কে কিছু ইস্যু রয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেন, একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শুধু এই অঞ্চল থেকে নয়, বৈশ্বিকভাবে দেখা হচ্ছে। তা হলো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় পরবর্তী ধাপ কী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন নিয়ে ঘোষণা ও বিবৃতি আমরা সবাই দেখেছি। আমি যেটা বুঝেছি তা হলো, এ ক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারি নাগাদ একটি সময়সীমার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।’
বিক্রম মিশ্রি বলেন, ‘নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করে বাংলাদেশ সরকার যে বার্তা দিয়েছে, আমরা তাতে উৎসাহিত এবং আমরা প্রতীক্ষায় আছি যে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
বিক্রম মিশ্রি আরও বলেন, ‘এর মধ্য দিয়ে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে একটি সরকার নির্বাচিত হবে এবং বাংলাদেশের জনগণের তাদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য যাদের নির্বাচিত করবে, সেই সরকারের সঙ্গে আমরা কাজ করব।’
শান্তি ও স্থিতিশীলতাএই অঞ্চলে ভারতের ভূমিকা নিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রসচিব দাবি করেন, বাংলাদেশে উন্নয়ন, শান্তি, অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতায় ভারতের উল্লেখযোগ্য অংশীদারত্ব রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এর সবগুলো বিষয় আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার সঙ্গে যুক্ত এবং এর প্রতি আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিই—এটা শুধু আমাদের জন্য নয়, এটা আমাদের উভয়ের স্বার্থের জন্য করা হয়।’
একটি বড় দলকে বাদ দিয়ে নির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জবাবে বিক্রম মিশ্রি বলেন, ‘বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার মধ্যে আমি যেতে চাই না। এই নির্বাচন অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিকভাবে কীভাবে দেখা হবে, সে বিষয়ে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ, জনগণ ও সুশীল সমাজ তাদেরকে নিজেদের মূল্যায়ন করতে হবে।’ এটা শুধু অভ্যন্তরীণ বৈধতার বিষয় নয়, বাইরের দৃষ্টিভঙ্গির বিষয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিক্রম মিশ্রি বলেন, ‘এসব সিদ্ধান্ত শুধু বর্তমানের ওপর প্রভাব ফেলবে না। মধ্য থেকে দীর্ঘ মেয়াদেও এর প্রভাব থাকবে। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের জনগণকেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সন্দেহাতীতভাবে একটি নির্দিষ্ট ‘ম্যান্ডেট’ আসবে উল্লেখ করে বিক্রম মিশ্রি বলেন, ‘এই ম্যান্ডেটকে কীভাবে দেখা হবে সে প্রশ্ন যখন আসবে তখন ভারত হস্তক্ষেপ করবে না। বাংলাদেশের মানুষই এ বিষয় নির্ধারণ করবে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে এর প্রভাব নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিক্রম মিশ্রি বলেন, ‘এটা বিচারিক ও আইনি প্রক্রিয়া। এ ক্ষেত্রে দুই দেশের সরকারের মধ্যে আলোচনা ও মতবিনিময় প্রয়োজন। আমরা এসব বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এসব বিষয়ে কাজ করার প্রতীক্ষায় আছি। এই মুহূর্তে এ বিষয়ে আর কিছু বলা গঠনমূলক হবে বলে আমি মনে করছি না।’
বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরেও ভারত ঢাকার সঙ্গে কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বলে উল্লেখ করেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব। তিনি বলেন, ‘এগুলো আমাদের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যুক্ত হতে বা কাজ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি।’
এক প্রশ্নের জবাবে বিক্রম মিশ্রি বলেন, ‘আমি শুধু এটা বলতে পারি যে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে আমরা মূল্য দিই।’