একটি ভোট দিতে ১৪ সেকেন্ড সময় পাবেন ভোটার
Published: 12th, October 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের নির্বাচনসংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। এ সময় ভোট প্রদানের প্রক্রিয়া, ফলাফল তৈরির প্রক্রিয়া, নির্বাচনী আচরণবিধি, নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
৪৩ ভোট দিতে সময় ১০ মিনিট
একজন ভোটারকে রাকসু নির্বাচনে মোট ২৩টি পদে, হল সংসদ নির্বাচনে ১৫টি পদে ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ৫টি পদে মিলিয়ে মোট ৪৩টি ভোট দিতে হবে। এসব ভোট দিতে ভোটার সময় পাবেন ১০ মিনিট। ফলে গড়ে প্রায় ১৪ সেকেন্ডে একটি করে ভোট দিতে হবে শিক্ষার্থীকে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়ানো ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন।
যেভাবে ভোট দেবেন ভোটাররা
সভায় নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ জানান, একজন প্রার্থীর ভোট দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে প্রবেশ করে পোলিং অফিসারের কাছে তালিকায় স্বাক্ষর করে ভিন্ন রঙের ছয়টি ব্যালট পেপার সংগ্রহ করতে হবে। পরে গোপন বুথে গিয়ে তা পূরণ করতে হবে।
প্রথম ব্যালট পেপারে থাকবে সহসভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থীর তালিকা; দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ব্যালটে থাকবে বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদের প্রার্থীদের নাম; পঞ্চম ব্যালটে থাকবে সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি ও সবশেষে ষষ্ঠ ব্যালটে থাকবে হল সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের তালিকা। ভিন্ন রঙের ব্যালট গোপন বুথে পূরণ শেষে ভোটারদের ভিন্ন ভিন্ন রঙের স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে রাখতে হবে।
ভোট প্রদান করতে ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা কাগজে প্রার্থীর নাম লিখে নিয়ে যেতে পারবেন। প্রার্থীরাও তাঁদের প্যানেলের তালিকা ভোটারদের দিতে পারবেন।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ বলেন, ‘আমরা ডাকসু ও জাকসুতে ভোটারদের প্যানেলের তালিকা দেওয়ার বিষয়ে অনেক অভিযোগ দেখেছি। এ বিষয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে সব প্রার্থী ও প্যানেল তাঁদের প্যানেলের তালিকা ভোটারদের দিতে পারবেন। কারণ আমরা দেখেছি, একজন ভোটারের পক্ষে একসঙ্গে ৪৩ প্রার্থীর নাম মনে রাখা সম্ভব নয়। ভোটার যেন কোনো ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার না করেন, এ জন্যই আমরা কাগজ নিয়ে প্রবেশের সুযোগ রাখছি।’
তিন ধাপে তৈরি হবে চূড়ান্ত ফলাফল
নির্বাচন কমিশনার জানান, একাডেমিক ভবনসহ বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শেষে সব কেন্দ্রের ব্যালট পেপার নিয়ে আসা হবে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে। ভিন্ন ভিন্ন বাক্সের ব্যালট বের করে ১০০টি করে আলাদা আলাদা বান্ডেল করা হবে। প্রতিটি বান্ডেল ওএমআর মেশিনে দিয়ে গণনা করা হবে। এ ছাড়া বিশেষজ্ঞ প্যানেল আধুনিক এ ফলাফল পর্যবেক্ষণ করবেন। সর্বমোট তিনটি ধাপে চূড়ান্ত ফলাফল তৈরি হবে। এভাবে একটি হলের ফলাফল তৈরি হলে অন্য হলেরটা শুরু হবে। সব ফলাফলের কাজ সম্পন্ন হতে ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
ভোটকেন্দ্রে থাকবে সিসিটিভি
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ৯ শতাধিক বুথে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি কেন্দ্র থাকবে সম্পূর্ণ সিসিটিভির আওতাভুক্ত। ভোট গ্রহণ শেষে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ভোট গণনা করা হবে। এখানে সাংবাদিকেরা তাঁদের সম্প্রচার কাজ করতে পারবেন। এ ছাড়া ভোটগণনার সব প্রক্রিয়া মিলনায়তনের সামনে বড় স্ক্রিনে দেখানো হবে।
নিরাপত্তায় কেন্দ্রের ৪০০ গজ দূরে চৌহদ্দি
ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষার্থে কেন্দ্রের ৪০০ গজ দূরে একটি চৌহদ্দি (চারদিকের সীমানা) নির্ধারণ করা হবে। এর ভেতরে কোনো প্রার্থী প্রচার চালাতে পারবেন না। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ বলেন, শৃঙ্খলা রক্ষার্থে যে চৌহদ্দি দেওয়া হবে, এর ভেতরে ঢুকে কোনো প্রার্থী প্রচারণা চালাতে পারবেন না। এ ছাড়া প্রার্থীরা ভোটারদের যে প্রার্থী তালিকা দেবেন, সেটা নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হওয়ার পর না দিতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। নির্বাচনে নিরাপত্তা দিতে পুলিশ মোতায়ন করা হবে এবং প্রয়োজনে অন্যান্য বাহিনীর সাহায্য নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এই নির্বাচন কমিশনার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘আমরা খুবই আশাবাদী এবং নির্বাচনী পরিবেশও অত্যন্ত সুন্দর। ভালো লাগছে এটা দেখে যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই প্রচারণা চালাচ্ছে। টুকটাক যে দুই-একটা ব্যত্যয় ঘটছে না, তা নয়; তবে বড় কোনো ঘটনা এখনো ঘটেনি। সিন্ডিকেট থেকে যে নির্বাচন কমিশন করে দেওয়া হয়েছে, সেটা অত্যন্ত শক্তিশালী, তারা এখন পর্যন্ত ধৈর্য রেখে কাজ করছে।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান, রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যাক্ষ অধ্যাপক সেতাউর রহমান। সভায় নির্বাচন পরিচালনায় নিয়োজিত রিটার্নিং কর্মকর্তা, পোলিং অফিসার, পোলিং এজেন্ট ও প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নজর ল ইসল ম ভ টক ন দ র প রব ন ফল ফল
এছাড়াও পড়ুন:
ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই...
‘গোলাভরা ধান, গোয়ালভরা গরু, পুকুরভরা মাছ আর ঘরভরা সন্তান’—এই ছিল একসময় বাঙালির আদর্শ সুখী পরিবারের প্রত্যাশা। এখন গোয়ালভরা গরুও নেই, পুকুরভরা মাছও নেই, গোলাভরা ধানও নেই। তবে সুখের কথা, ঘরভরা সন্তানের কোনো অভাব নেই। এই অভাব নেই-এর প্রভাব নিয়ে ভেবেছিলাম আর লেখালেখি করব না—আমার ধারণাটাই হয়তো ভুল। কারণ, সেসব লেখা (প্রথম আলোতেই প্রকাশিত) হালে পানি পায়নি, কারও সমর্থন তো দূরের কথা।
আমার অজ্ঞতাপ্রসূত অনধিকারচর্চা হিসেবে হয়তো তিরস্কৃতও হয়েছে। তবে কয়েক দিন আগে একজন রিকশাচালকের টেলিভিশন ক্যামেরায় দেওয়া মন্তব্যটি শুনে কিছুটা আশ্বস্ত হলাম। জ্ঞানী-গুণীরা না হলেও একজন সাধারণ শ্রমিকের উপলব্ধি থেকে আমার বিশ্বাসের সমর্থন তো পেলাম। তাঁর কথার মধ্যে আমার বিশ্বাসেরই প্রতিধ্বনি খুঁজে পেলাম। তিনি বলেছিলেন, এ দেশ ‘ফেরেশতা’ এলেও চালাতে পারবেন না, কারণ এ দেশে শুধু মেট্রোরেলের নিচে যত মানুষ রাত যাপন করে, পৃথিবীর বহু দেশেও এত মানুষ নেই।
মানবসম্পদ যে শুধু আশীর্বাদই নয়, উপচে পড়া এ সম্পদ যে অভিশাপও হতে পারে, একজন বিজ্ঞ নয়—অজ্ঞ (?) সাধারণ মানুষের কথার মধ্যে তার পর্যবেক্ষণ লক্ষ করা গেল। তবে এ তো অতি সাধারণ একজন মানুষের পর্যবেক্ষণ। এ প্রসঙ্গে কিছু অসাধারণ মানুষের পর্যবেক্ষণ লক্ষ করা যাক।
ভারতের বিখ্যাত লেখক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী খুশবন্ত সিংয়ের একটি মন্তব্য প্রণিধানযোগ্য, ‘...আমি মোটামুটি নিশ্চিত, আজকের দারিদ্র্য, অজ্ঞতা, বস্তি, দুর্নীতি ও অপরাধ—এসবের বেশির ভাগই অতিরিক্ত জনসংখ্যা এবং আমরা যে আত্মঘাতী হারে সন্তান জন্ম দিচ্ছি, তার ফল।’ কথাগুলো আমাদের ক্ষেত্রেও
শতভাগ প্রযোজ্য।
অজ্ঞতা, উদাসীনতা, ধর্মীয় বিধিবিধানের অপব্যাখ্যা ইত্যাদি কারণে এ সমস্যা আমাদের এই ক্ষুদ্র দেশের জন্য কী দুর্ভোগ যে ডেকে আনছে, তা বোঝার ক্ষমতা যে আমাদের নেই তা নয়। কিন্তু জনতুষ্টির বিবেচনায় রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে লেখক, বুদ্ধিজীবী, তথা সিভিল সোসাইটি—সবাই বিষয়টিকে সচেতনভাবে এড়িয়ে যান (অধম ক্ষমাপ্রার্থী)।
স্বাধীনতার সময় আমাদের জনসংখ্যা ছিল সাড়ে সাত কোটি, পঞ্চাশ বছর পর তা এসে দাঁড়িয়েছে আঠারো কোটিতে (সরকারি হিসাবে, বাস্তবে তা কুড়ি কোটি ছাড়িয়ে যাবে)।কিছুদিন আগে একটি বিদেশি সংবাদমাধ্যমে একটি সংবাদের শিরোনাম ছিল ‘ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের একটি দেশে আঠারো কোটি মানুষের বেঁচে থাকার সংগ্রাম।’
এই সংগ্রাম থেকেই জন্ম নিচ্ছে যত অশিক্ষা, অপরাধ, প্রতারণার নব নব কৌশল। প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললেই চোখে পড়বে একচিলতে জমির জন্য ভাইয়ের হাতে ভাই খুন, চাঁদাবাজি, দখলদারি ইত্যাদি নিয়ে খুনোখুনি, তথা নানা ধরনের অপমৃত্যু। মানুষের জীবনের যেন কোনো মূল্য নেই। সরবরাহ বেশি হলে মূল্য কমে যাওয়া—অর্থনীতির এ সাধারণ নিয়ম যেন এ ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
একটি মানবশিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার বেঁচে থাকার অধিকারও প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাভাবিক পন্থায় সুযোগ না পেলে যেকোনো পন্থায় সে বেঁচে থাকার চেষ্টা করবেই। চুরি, ডাকাতি, সন্ত্রাস ইত্যাদির জন্মও এভাবেই। তবে ‘কচু কাটতে কাটতে ডাকাত’—একপর্যায়ে বেঁচে থাকার এ যুদ্ধ ওপরে ওঠার সংক্ষিপ্ত পন্থা হয়ে ওঠে।
আমাদের দেশে এই শর্টকাট পন্থাটি সমাজের সর্বস্তরেই অত্যন্ত জনপ্রিয়। বহু বিত্তশালীর উত্থানের পেছনেও এই শর্টকাট পন্থা সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিও এই সমাজবিধ্বংসী কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করেছে। তরুণেরা লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, হচ্ছে।
উইনস্টন চার্চিলের একটি মন্তব্য মনে পড়ছে, ‘ইন্ডিয়ান্স ব্রিড লাইক রেবিট’ (ভারতীয়দের প্রজনন ইঁদুরের মতো) । মন্তব্যটি আমাদের জন্য অত্যন্ত অপমানজনক এবং ক্ষুব্ধ হওয়াও স্বাভাবিক, কিন্তু কথাটি কি একেবারেই মিথ্যা?
স্বাধীনতার সময় আমাদের জনসংখ্যা ছিল সাড়ে সাত কোটি, পঞ্চাশ বছর পর তা এসে দাঁড়িয়েছে আঠারো কোটিতে (সরকারি হিসাবে, বাস্তবে তা কুড়ি কোটি ছাড়িয়ে যাবে)।
আরও পড়ুনজনসংখ্যা, উন্নয়ন ও বৈষম্যের মধ্যে সম্পর্ক কী১১ নভেম্বর ২০২৫কলকারখানা, বাসস্থান ইত্যাদির প্রয়োজনে নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর-ডোবা, পাহাড়-পর্বত—কিছুই রেহাই পাচ্ছে না। এ ছাড়া উপায়ই-বা কী। চারদিকে শুধু ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই। প্রকৃতিকে এভাবে বিধ্বস্ত করলে সে তার প্রতিশোধ নেবেই। ২১ নভেম্বরের ভয়ংকর দুর্যোগ আমাদের জন্য কি একটি ওয়েকআপ কল নয়? ঢাকা শহর মানুষের ভারে ন্যুব্জ। শুধু ঢাকাই নয়, সারা দেশের চিত্রও একই।
আমরা জনসংখ্যাকে সম্পদে পরিণত করব, লাখ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করব—এসব জনতুষ্টিমূলক মেঠো বয়ান অনেক শুনেছি। যাঁরা এসব আশ্বাসবাণী শোনান, তাঁরা নিজেরাও জানেন, যে গতিতে আমাদের জনসংখ্যা বাড়ছে, কোনো উন্নয়ন প্রচেষ্টা তথা কর্মসংস্থান সৃষ্টি এর সঙ্গে পাল্লা দিতে সমর্থ হবে না।
‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি
সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি।’
এ শুধু গান নয়, বাস্তব। এ দেশের মাটি, জল, হাওয়া, ষড়্ঋতুর বৈচিত্র্যময় প্রকৃতি আর কোথাও কি খুঁজে পাওয়া যাবে? ভূস্বর্গ পাওয়া যাবে, মাটির পৃথিবী নয়। আমরা যাঁরা দেশটাকে, মাতৃভূমিকে ভালোবাসি, তাঁদের ভেবে দেখতে হবে। অন্তত এই একটি বিষয়ে কোনো জনতুষ্টির রাজনীতি নয়।
স্বল্পমেয়াদি কসমেটিক সমাধানের চেষ্টা না করে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের চেষ্টা করতে হবে—এ আমাদের জাতীয় সমস্যা, সব সমস্যার মূল।
সৈয়দ আব্দুল হাদী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, সংগীতশিল্পী
*মতামত লেখকের নিজস্ব