কিশোরগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু, আহত ৩০
Published: 13th, October 2025 GMT
কিশোরগঞ্জের ইটনায় গরু চুরি চেষ্টার অভিযোগকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।
রবিবার (১২ অক্টোবর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার মৃগা ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
আরো পড়ুন:
প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন-রানার্সআপ ঘোষণা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১২
ঠাকুরগাঁওয়ে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৭
নিহত রোমান মিয়া (২২) একই গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে।
ইটনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ জাফর ইকবাল জানান, গজারিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন ও একই এলাকার আবদুল করিমের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। কয়েকদিন আগে জসিম উদ্দিনের বাড়ি থেকে গরু চুরি চেষ্টার অভিযোগ ওঠে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসার কথা থাকলেও রবিবার উভয় পক্ষের অন্তত চার শতাধিক মানুষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান।
তিনি জানান, সংঘর্ষ চলাকালে জসিম উদ্দিনের পক্ষের রোমান মিয়াসহ কয়েকজন আহত হন। স্থানীয়রা তাদের কিশোরগঞ্জ এবং পাশ্ববর্তী সিলেট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোমান মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকিরা এখনো বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঢাকা/রুমন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ ন হত আহত স ঘর ষ উদ দ ন
এছাড়াও পড়ুন:
চুয়াডাঙ্গায় ‘মদ পানে’ ৬ জনের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকায় বিষাক্ত মদ পানে গত দুইদিনে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় একজন জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রবিবার (১২ অক্টোবর) চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান এ তথ্য জানান।
আরো পড়ুন:
ফতুল্লায় ঝগড়া থামাতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের
কুড়িগ্রামে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
মারা যাওয়ারা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র গ্রামের লাল্টু (৪৫), শংকর চন্দ্র মাঝের পাড়ার শহীদ মোল্লা (৫০), শঙ্করচন্দ্র টাওয়ার পাড়ার ছমির উদ্দীন (৫৫), খাজুরা গ্রামের সেলিম (৩৮), পিরোজখালি পূর্ব পাড়ার লালটু (৩৮) এবং নফরকান্দী গ্রামের খেদের আলী (৫৫)। তারা সবাই পেশায় দিনমজুর ও লেবারের কাজ করতেন।
ওসি খালেদুর রহমান জানান, গত ১০ অক্টোবর ১০-১২ জন ব্যক্তি ডিঙ্গেহ এলাকার গোপন স্থানে বিষাক্ত মদ পান করেন। গত ১১ অক্টোবর চার জনের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। রবিবার রাতে তিন জন অসুস্থ হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতলে চিকিৎসা নিতে যান। তাদের মধ্যে দুই জন মারা গেছেন। একজন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তিনি আরো জানান, পুলিশ মাঠ কাজ করছে। মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।মারা যাওয়াদের মধ্যে চার জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। দুইজনের মরদেহ ময়মাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ঢাকা/মামুন/মাসুদ