১. প্রেমের টানে নয়, ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব দেখে বিয়ে করুন। কেননা, প্রেমের রসায়ন খুব দ্রুত ফ্যাকাসে হয়ে যেতে পারে। জীবনসঙ্গীর সততা, সহানুভূতি, ধৈর্য—এসবই সংসারে মুখ্য, খুবই জরুরি।

২. ঝগড়া, মনোমালিন্য, কথা-কাটাকাটি, ভিন্নমত—দাম্পত্য সম্পর্কে স্বাভাবিক। এসব কোনো সমস্যা নয়, যতক্ষণ সমস্যা একদিকে আর আপনারা দুজন আরেক দিকে। যদি একজন আরেকজনকে প্রতিপক্ষ মনে করেন, কটু কথা দিয়ে আক্রমণ করেন, আহত করেন, সেটা সমস্যা।

৩.

‘স্কোর’ গুনতে যাবেন না। কে কতটা ভুল করল, কতটা দিল, কতবার পুরোনো কথা তুলল—এসবের হিসাব রাখতে যাবেন না। কেননা, কেবল দাম্পত্য সম্পর্কই নয়, পৃথিবীর কোনো সম্পর্কেই ‘ফিফটি ফিফটি’ বলে কিছু হয় না, কমবেশি থাকবেই।

৪. প্রতিদিন সঙ্গীর মনোযোগ পাওয়ার জন্য কিছু করুন। ফিট থাকুন। সুন্দর পোশাক পরুন। নিজের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক সৌন্দর্যের প্রতি মনোযোগী হোন।

আরও পড়ুনবিয়ে করলেই নাগরিকত্ব পাবেন যেসব দেশের১০ জুন ২০২৫

৫. মনে রাখবেন, সম্পর্কে সবচেয়ে বড় বাধা হলো অর্থনৈতিক সংকট। অভাব দরজায় এলে ভালোবাসা আদতেই জানালা দিয়ে পালাতে সময় লাগে না।

৬. নিজের অভাব, অভিযোগ, হতাশা বা রাগ সঙ্গীর ওপর ঝাড়বেন না। আপনার সঙ্গী আপনার থেরাপিস্ট নন। সঙ্গীর সঙ্গে সুন্দরভাবে কথা বলুন।

৭. ভালোবাসার সঙ্গে যদি সম্মান না থাকে, তাহলে বুঝবেন, খুব দ্রুতই ভালোবাসা অবসরে যেতে চলেছে।

৮. একজন আরেকজনকে ‘ডেট করা’ কখনোই বন্ধ করবেন না। সেজেগুজে খেতে যান, সারপ্রাইজ দিন, উপহার দিন, ঘুরতে যান। একজন আরেজনকে বিশেষ অনুভব করান।

একসঙ্গে হাসুন, এর চেয়ে ভালো ‘কাপল থেরাপি’ আর হয় না

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জুবিনের মৃত্যুর পরও কেন সিঁদুর পরেন স্ত্রী গরিমা?

২০০৬ সালে ‘গ্যাংস্টার’ সিনেমায় ‘ইয়া আলী’ গান গেয়ে তাক লাগিয়ে দেন ভারতীয় সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গ। গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে মারা যান ‘কিং অব হামিং’খ্যাত এই গায়ক। তার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তার অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগী। মানসিকভাবে ভীষণ বিপর্যস্ত জুবিনের স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া গার্গও।  

স্বামীর দীর্ঘ জীবন কামনায় প্রাচীনকাল থেকে হিন্দু নারীরা সিঁথিতে সিঁদুর পরেন। সাধারণত, স্বামী মারা গেলে হিন্দু নারীরা সিঁথিতে সিঁদুর পরেন না। একই চিত্র হওয়ার কথা ছিল জুবিন গার্গের স্ত্রী গরিমার বেলায়ও। কিন্তু তেমনটা দেখা যায়নি। জুবিন মারা যাওয়ার ২০ দিন পরও গরিমা নিয়মিত সিঁথিতে সিঁদুর পরছেন। তারই ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।  

আরো পড়ুন:

রেখার সিঁদুর রহস্য

শাহরুখপুত্রের হাত ধরে নায়িকার ভাগ্যবদল

গরিমার সিঁথির সিঁদুর দেখে নিন্দুকদের অনেকে নেতিবাচক মন্তব্য করছেন। এ পরিস্থিতিতে বিষয়টি পরিষ্কার করতে ভারতীয় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন গরিমা। জুবিনের ছায়াসঙ্গী গরিমা বলেন, “জানতে পারলাম, আমার সিঁথির সিঁদুর নিয়ে অনেক বিতর্ক হচ্ছে। প্রথমে ভেবেছিলাম, এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না। পরে মনে হলো, সবাইকে ব্যাপারটা বোঝানো দরকার।” 

সিঁদুর পরার কারণ ব্যাখ্যা করে গরিমা বলেন, “আমি আমার মাথায় হাত রেখে প্রতিজ্ঞা করছি, আমি আমার কপালে সিঁদুর রাখব—যতক্ষণ না জুবিনের সঙ্গে আমার আবার দেখা হয়।”

গরিমার এই বক্তব্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ভাইরাল। নেটিজেনরাও তার অনুভূতিকে সম্মান করছেন। সরাফ নামে একজন লেখেন, “আপনার এই সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তাকে (জুবিন) ভালোবাসুন।” সুজাতা লেখেন, “সত্যি আপনার অনুভূতিকে সম্মান করি। স্যালুট গরিমা।” মোনা লেখেন, “তাকে তার মতো বাঁচতে দিন। তার জীবন তার পছন্দ।” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে কমেন্ট বক্সে।

একটি চিঠির মাধ্যমে জুবিনের জীবনে আগমন ঘটে গরিমা সাইকিয়ার। আসামের গোলাঘাটের তরুণী গরিমা। মুম্বাইয়ে ফ্যাশন ডিজাইনিং বিষয়ে পড়ার সময় জুবিনের ‘অনামিকা’ ও ‘মায়া’ অ্যালবামের গান শুনে গভীরভাবে প্রভাবিত হন গরিমা। ঘরছাড়া, মন খারাপের মুহূর্তে গায়ককে একটি চিঠি লেখেন এই তরুণী। গরিমার এই চিঠি প্রশংসা ও আবেগে ভরা ছিল। আর সেই অচেনা অনুরাগী গরিমার চিঠি পৌঁছায় জুবিনের কাছে। সাধারণত, অনুরাগীদের চিঠির জবাব দিতেন না জুবিন। কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে, গরিমার সেই চিঠির জবাব দেন জুবিন। সেই একমাত্র যোগাযোগ ধীরে ধীরে রূপ নেয় প্রেমে। একটি সাধারণ চিঠি যে দুটি মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে, জুবিন-গরিমার গল্প তার জীবন্ত উদাহরণ। 

প্রেম গাঢ় হতেই জুবিন গরিমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু তাদের এই প্রেমের পথ সহজ ছিল না। গরিমার পরিবার, বিশেষ করে তার বাবা, এই সম্পর্ক মেনে নেননি। অন্যদিকে, জুবিনের অস্থির ও খামখেয়ালি স্বভাবও গরিমাকে বিচলিত করত। এই চাপ সহ্য করতে না পেরে একসময় গরিমা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন। এই সময় জুবিনের জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। 

প্রকৃত ভালোবাসা কখনো হারিয়ে যায় না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা আবার কাছাকাছি আসেন। ২০০২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি, বলিউডে জুবিনের বড় ব্রেকের আগেই তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর গরিমা শুধুই স্ত্রী নন, হয়ে ওঠেন জুবিনের জীবনের স্থিতিশীল এক আশ্রয়। একদিকে, গরিমা নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে, অন্যদিকে, ছায়াসঙ্গী হন জুবিনের সৃষ্টিশীল পথচলায়। আসামের অন্যতম আদর্শ দম্পতি হয়ে ওঠেন তারা। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কিশোরগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু, আহত ৩০
  • কিশোরগঞ্জে গরু চুরিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে তরুণ নিহত, আহত ৩০
  • গাজায় হামাসের সঙ্গে গোত্রের সংঘর্ষ, নিহত অন্তত ২৭
  • ক্ষুদ্রঋণ: পরিসংখ্যানের চেয়ে মানুষের গল্পটা শক্তিশালী
  • চাকসু: ভোট গণনা ২ ধাপে, প্রতি কেন্দ্রে থাকবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্
  • একটি ভোট দিতে ১৪ সেকেন্ড সময় পাবেন ভোটার
  • চাকরি নেই, প্রেম ভেঙে যাচ্ছে; তরুণেরা কী করবে
  • ইসরায়েলি সেনারা মেশিনগান নিয়ে সেলে ঢুকে যেত: শহিদুল আলম
  • জুবিনের মৃত্যুর পরও কেন সিঁদুর পরেন স্ত্রী গরিমা?