জয়পুরহাটে বীজ আলু বিক্রিতে প্রতারণা, ৭ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
Published: 14th, October 2025 GMT
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে সাধারণ আলু বস্তাজাত করে বীজ আলু হিসেবে বিক্রির অভিযোগে সাত ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলার কলেজ বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবিদা খানম। এ সময় তাঁদের প্রত্যেককেই এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীরা হলেন জহুরুল ইসলাম, ফরমাজুল ইসলাম, বিশ্বনাথ সাহা, কামাল হোসেন, তুহিন হোসেন, বেলাল হোসেন ও রুস্তম হোসেন। পরে এসব আলু খাওয়ার আলু হিসেবে বিক্রির নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, কলেজ বাজারে দীর্ঘদিন ধরে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সাধারণ আলু বস্তাজাত করে বীজ আলু হিসেবে বিক্রি করছিলেন। এসব আলু কিনে কৃষকেরা প্রতারিত হচ্ছিলেন। এবারের মৌসুমে বীজ আলু বলে এসব আলু বেচাকেনা হচ্ছে—এমন অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা কৃষি দপ্তরের সহযোগিতায় বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন ও আক্কেলপুর থানার পুলিশ সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সাত ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়। এসব ব্যবসায়ীকে সাধারণ আলুকে বীজ আলু হিসেবে বিক্রি না করতে সতর্ক করা হয়।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবিদা খানম সাংবাদিকদের বলেন, একই অনিয়ম ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে গুদামে গিয়ে আলুর মোড়কজাত বস্তা কেটে দেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন কলেজ বাজার বণিক সমিতির সভাপতি কাজী শফি উদ্দিন। গতকাল সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকর্মীদের নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ডেকে কাটা বস্তাগুলো দেখান তিনি। এ সময় কাজী শফি উদ্দিন বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় আমি গুদামে ছিলাম না। আমার গুদামে কোনো খাওয়ার উপযোগী আলু নেই, আছে বীজ আলু। যদি খারাপ বীজ আলু হতো, তাহলে সেগুলো জব্দ করতে পারতেন। কিন্তু আমার গুদামের বীজ আলুর বস্তা কেটে দেওয়া হয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, কেউ যাতে খাওয়ার আলু বীজ আলু হিসেবে বিক্রি করতে না পারেন, সেই কারণে বস্তা কেটে দেওয়া হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস য় ক ত ব যবস ব জ আল উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
কড়াইলবাসীর জন্য জরুরি মানবিক সেবাকেন্দ্র চালু
রাজধানীর মহাখালীর কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অসহায় মানুষদের সহায়তা দিতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী বস্তির অভ্যন্তরে একটি মানবিক সেবাকেন্দ্র চালু করেছে।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদের নির্দেশনায় এ সেবাকেন্দ্রটি কার্যক্রম চালু করা হয়।
মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেন, “এই সেবাকেন্দ্রের লক্ষ্য হলো ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে প্রাথমিক মানবিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে জরুরি খাদ্য, পানি ও অন্যান্য সহায়তা প্রদান করে তাদের জীবনের নিরাপত্তা সহায়তা ও কিছুটা স্বস্তি নিশ্চিত করা।”
মানবিক সেবাকেন্দ্রটি প্রতিদিন দুই বেলা প্রায় দুই হাজার মানুষকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করবে, যা আজ থেকে শুরু করে পাঁচ দিন অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি নিরাপদ পানির চাহিদা পূরণে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সেবাকেন্দ্র এলাকায় নলকূপ স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যাতে বিশুদ্ধ পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা যায়।
এই ব্যবস্থা পানীয়জল সংকট কমানোর পাশাপাশি পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধ, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও স্যানিটেশন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে। সেবাকেন্দ্র চালুর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ দ্রুত খাদ্য সহায়তা পেয়ে নতুন করে আশার আলো দেখছে। খাদ্য এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী পেয়ে অনেক পরিবার স্বস্তি প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে শিশু, নারী ও প্রবীণদের কাছে দ্রুত মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক বার্তা হিসেবে প্রতিফলিত হয়েছে। ঢাকা মহানগর আনসারের পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান গনী এই মহতী কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।
‘মানুষ মানুষের জন্য’—এই মানবিক অঙ্গীকার নিয়ে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী ভবিষ্যতেও সব সংকটময় মুহূর্তে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে থেকে সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ