মেয়ে নার্গিস আক্তারের কোনো খবর পাচ্ছেন না মা সুরমা বেগম। মেয়ের পাসপোর্ট সাইজের ছবি হাতে আহাজারি করছেন তিনি। বারবার বলছেন, ‘আর্মি, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিস কেউ কিছু বলতাসে না। ভিতরে কী অবস্থা, মাইয়াডার কিসু হইল কি না, কিছুই জানি না।’

আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে একটি পোশাক কারখানা ও একটি রাসায়নিকের গুদামে আগুন লাগে। এ ঘটনায় বিকেল পর্যন্ত ৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কারখানায় আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন সুরমা বেগম।

মিরপুর-১ গুদারাঘাট এলাকার বাসিন্দা সুরমা বেগম জানান, দুই সপ্তাহ হয় তাঁর মেয়ে নার্গিস ‘আনোয়ার ফ্যাশন’ নামের ওই তৈরি পোশাক কারখানায় অপারেটর হিসেবে চাকরি নিয়েছিল। মেয়েকে তিনি বাসাতেই সেলাইয়ের কাজ শিখিয়েছিলেন। এসএসসি পরীক্ষা শেষ করে বাসায় বসে না থেকে মেয়ে নিজেই খোঁজ করে এখানে চাকরি নেয়।

শিয়ালবাড়ির যে সড়কে পোশাক কারখানায় আগুন লেগেছে, এর পাশের সড়কেই একটি শোরুমে ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে আছেন আফজাল সরকার। অগ্নিকাণ্ডের শুরু তিনি দেখেছেন বলে জানান। আফজাল প্রথম আলোকে বলেন, আগুন প্রথমে লাগে কারখানার নিচতলায় ‘ওয়াশ সেকশনে’।

আরও পড়ুনমিরপুরে আগুনে ৯ জনের লাশ উদ্ধার, এখনো তল্লাশি চলছে৩৮ মিনিট আগেদুই সপ্তাহ আগে আনোয়ার ফ্যাশন নামের তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন নার্গিস আক্তার.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়ার খবর নিলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খবর নিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান ও মির্জা আব্বাসও হাসপাতালে গিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত থেকে দলীয় প্রধানের স্বাস্থ্যের খবর নিয়েছেন।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন শুনে দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা–কর্মীরাও হাসপাতালের সামনে গিয়ে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করছেন।

ফুসফুস ও হৃদ্‌যন্ত্রে সংক্রমণ নিয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া। রাতে হাসপাতালের সামনে গিয়ে দেখা যায়, বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা জটলা করে দাঁড়িয়ে আছেন। কয়েকটি গণমাধ্যমের কর্মীদেরও হাসপাতালের সামনে দেখা গেছে।

খালেদা জিয়াকে দেখতে রাত ১১টা ৩৮ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালে আসেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি রাত ১২টা ৬ মিনিটে হাসপাতাল ত্যাগ করেন। বিকেল চারটা থেকে হাসপাতালে অবস্থান করছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাতে হাসপাতালে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান ও মির্জা আব্বাস। জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী এস এম খালিদুজ্জামানও রাতে হাসপাতালে গিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্যের খবর নেন।

রাত ১২টার পর হাসপাতালে ফটকে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের আবদুল মঈন খান বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ড বসেছিল, বোর্ড তাঁর (খালেদা জিয়া) সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করেছে এবং যা যা করা দরকার, তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।’

শুক্রবার বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এভারকেয়ার হাসপাতালে অবস্থান করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাত ১২টার পর হাসপাতাল থেকে বের হন তিনি

সম্পর্কিত নিবন্ধ