ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি জানানো সেনাদের মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছে রাশিয়ার কমান্ডাররা অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। স্বাধীন সংবাদমাধ্যম ভার্স্টকারের একটি নতুন তদন্ত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য জানিয়েছে।

সেনা সদস্য, মৃতদের আত্মীয়স্বজন, ফাঁস হওয়া ভিডিও এবং সরকারি অভিযোগের রেকর্ডের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে ভার্স্টকা জানিয়েছেন, তারা ১০১ জন রাশিয়ান সেনাকে শনাক্ত করেছে যারা তাদের নিজস্ব সহকর্মীদের হত্যা, নির্যাতন বা মারাত্মক শাস্তি দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত। 

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, তারা কমপক্ষে ১৫০ জন নিহতের সত্যতা যাচাই করেছে। তবে তারা বিশ্বাস করে যে প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি।

ক্রেমলিন রুশ সেনাদের মধ্যে শৃঙ্খলাহীনতার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর মধ্যে এই ধরনের সমস্যা ব্যাপক।

কিন্তু ভার্স্টকার প্রতিবেদনটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বিস্তৃত বলে মনে হচ্ছে। প্রতিবেদনটিতে রুশ সেনাদের মধ্যে আনুগত্য এবং সন্ত্রাস জোরদার করার জন্য ব্যবহৃত পদ্ধতির একটি বিস্তারিত তালিকা রয়েছে।

ভার্স্টকা সেনাদের সাক্ষ্য উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, কমান্ডাররা ‘মৃত্যুদণ্ড কার্যকরকারী’ নিয়োগ করেছিলেন যাতে তারা প্রত্যাখ্যানকারীদের উপর গুলি চালাতে পারে এবং পরে তাদের মৃতদেহ নদী বা অগভীর কবরে ফেলে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে যুদ্ধে নিহত হিসাবে তাদের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়।

অন্যান্য বিবরণে কমান্ডারদের আহত বা পশ্চাদপসরণকারী সেনাদের ‘হত্যা’ করার জন্য ড্রোন এবং বিস্ফোরক ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে, অফিসাররা ড্রোন অপারেটরদের তাদের নিজস্ব লোকদের উপর গ্রেনেড ছুঁড়তে নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভ র স টক কম ন ড র

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহাসড়কে নির্মাণকাজের সময় গ্যাস লাইনে ছিদ্র, সরবরাহ বন্ধ হয়ে ভোগান্তিতে গ্রাহক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চার লেন মহাসড়কের নির্মাণকাজের সময় এক্সকাভেটরের (খননযন্ত্র) আঘাতে গ্যাসের সংযোগ লাইন ছিদ্র হয়ে যায়। গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখেছে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (বিজিডিসিএল) কর্তৃপক্ষ। এতে জেলা শহরের প্রায় ১৫ হাজার আবাসিক-বাণিজ্যিক গ্রাহকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে শহরের উলচাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করতে কাজ শুরু করেছে বিজিডিসিএলের কারিগরি দল। গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হতে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানা গেছে।

বিজিডিসিএলের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপমহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল হক প্রথম আলোকে বলেন, বিকেল চারটার দিকে শহরের ভাদুঘর থেকে উলচাপাড়া রোডের গ্যাস সঞ্চালনের ৬ ইঞ্চি লাইন ছিদ্র হয়ে যায়। গ্যাসের সঞ্চালন লাইন সচল রেখে মেরামত করলে ওই স্থানে আগুন ধরে যাবে। তাই সদর উপজেলার ঘাটুরা অংশ থেকে সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দক্ষিণ দিকে জেলা শহরের সব আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। গ্রাহকদের ভোগান্তির কথা ভেবে কারিগরি দল দ্রুত মেরামতকাজ শুরু করেছে। ২০ হাজার গ্রাহকের মধ্যে শহরের মধ্যেই প্রায় ১৫ হাজার গ্রাহক রয়েছে। গ্যাস সরবরাহ পেতে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগবে।

বাখরাবাদ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া চার লেন মহাসড়কে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। আজ বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের উলচাপাড়া অংশে খননযন্ত্র দিয়ে কাজ চলছিল। সে সময় ওই যন্ত্রের আঘাতে গ্যাস সঞ্চালন লাইনের ৬ ইঞ্চি পাইপ ছিদ্র হয়ে গ্যাস বের হতে থাকে। বিষয়টি বাখরাবাদ কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে তাদের কারিগরি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। গ্যাসের সংযোগ লাইন মেরামত করতে সদর উপজেলার ঘাটুরা এলাকায় থাকা গ্যাস সঞ্চালন লাইন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরসহ পৌর এলাকায় আবাসিক ও বাণিজ্যিক গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

কালাইশ্রীপাড়ার মনির হোসেন বলেন, ‘বিকেল চারটার পর থেকে গ্যাস নেই। রান্নার কাজ বন্ধ রয়েছে। শিশুদের জন্য কোনো খাবার রান্না করতে পারছেন না আমার স্ত্রী।’

কাজীপাড়ার বাসিন্দা তমালিকা দেবনাথ বলেন, ‘সন্ধ্যা ছয়টার নাশতা বানাতে রান্নাঘরে যাই। গিয়ে দেখি ‍চুলায় গ্যাস আসছে না। কবে আসবে জানি না। রান্নাবান্না বন্ধ রয়েছে। ছোট বাচ্চারা খাবারের জন্য কান্নাকাটি করছে।’

বিজিডিসিএলের ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার রাজস্ব বিভাগের উপব্যবস্থাপক গোলাম মোক্তাদির প্রথম আলোকে বলেন, ‘উলচাপাড়ায় গ্যাসের লাইন ছিদ্র হয়ে গেছে। তাই ঘাটুরা থেকে গ্যাসের সঞ্চালন লাইন বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে পুরো শহরে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তবে আমাদের কারিগরি দল কাজ শুরু করেছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ