বিয়ানীবাজারে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করলেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ফয়সল আহমদ চৌধুরী
Published: 30th, October 2025 GMT
পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সঙ্গে আঁতাত করে একটি গোষ্ঠী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলা বিএনপির সদস্য ফয়সল আহমদ চৌধুরী। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী এই নেতা বলেন, বাংলাদেশ একটি সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। নির্বাচনী উৎসবে মেতে উঠতে সবাই প্রস্তুত।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের খাড়াবড়া বাজারে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন। দুবাগ ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফার পক্ষে জনমত গঠনের লক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় ফয়সল আহমদ চৌধুরী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নে আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে চায়। তাদের লক্ষ্য স্বৈরাচারকে ফিরিয়ে এনে এ দেশকে আবারও ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া। কিন্তু দেশপ্রেমিক জনতা সে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতে দেবে না। বাংলার মাটিতে আগামী ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে জাতীয় নির্বাচন হবেই, ইনশা আল্লাহ।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে অভিযোগ করে ফয়সল আহমদ চৌধুরী বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় দল বিএনপি। কিন্তু বিস্ময়করভাবে বিএনপির সুপারিশ, মতামত, নোট অব ডিসেন্ট এসবকে পাশ কাটিয়ে গেছে ঐকমত্য কমিশন। বিএনপির মতামত, প্রস্তাবকে উপেক্ষা করেছে তারা। এই কমিশন ঐকমত্যের বদলে অনৈক্য কমিশন হয়ে গেছে। ২৫টি রাজনৈতিক দল যে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল, সেই সনদের সঙ্গে কমিশনের সুপারিশের মিল নেই। এগুলো দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক নিয়াজ উদ্দিন। জেলা যুবদলের সদস্য এবি কালাম ও উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য শহিদুল ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির উপদেষ্টা এম এ মান্নান, বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছরওয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মিছবাহ উদ্দিন প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে অবিলম্বে গণভোট দিতে হবে- খেলাফত মজলিস
খেলাফত মজলিস নেতৃবৃন্দ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই জাতীয় সনদ ঘোষণা করলেও এখনো তার আইনি ভিত্তি তৈরি ও বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে পারেনি। এই জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম দাবি।
জনগণ এই সরকারকে দায়িত্ব দিয়েছিল ফ্যাসিবাদীদের বিচার, প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য। তাই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না থাকলে নির্বাচন ও সংস্কারের কোন মূল্য নেই।
আমরা অবিলম্বে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও গণভোটের মাধ্যমে তার শক্তিশালী আইনি ভিত্তি দেয়ার দাবি জানাচ্ছি। আমরা নির্বাচনী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি সংসদের উচ্চ কক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, ফ্যাসিবাদীদের বিচার কার্যক্রম দৃশ্যমান, ফ্যাসিবাদী দল ও দোসরদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থগিত এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
খেলাফত মজলিস ঘোষিত ৬ দফা দাবি আদায়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচী হিসেবে খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে ২৭ অক্টোবর-২০২৫, সোমবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্বরে এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল চাষাঢ়া চত্বর প্রদক্ষিণ করে ডিআইটি চত্বরে এসে শেষ হয়।
খেলাফত মজলিসের নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি হাফেজ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে ও ফতুল্লা থানা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শরীফ মাহমুদের পরিচালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর সহ-সভাপতি অধ্যাপক শাহ আলম, ডাক্তার শামীম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক ও ৪ আসনের এমপি প্রার্থী ইলিয়াস আহমদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক মুফতী শেখ শাব্বীর আহমাদ, নুর মোহাম্মদ খান, জেলা সহ-সাধারণ সম্পাদক মুফতী আব্দুল গনী, মুহাম্মদ শরীফ মিয়াজী, ইসলামী যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক মাইদুল ইসলাম, জেলা সভাপতি রিফাত আহমদ সাজিদ, ইসলামী ছাত্র মজলিসের মহানগর সভাপতি মুহাম্মদ শাহনেওয়াজ, জেলা সভাপতি আনাস আহমদ, খেলাফত মজলিসের জেলা সমাজকল্যাণ সম্পাদক আব্দুল করীম মিন্টু, মহানগর প্রচার সম্পাদক মুফতী তৌফিক বিন হারিছ, প্রমুখ৷
খেলাফত মজলিস নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো নাজুক। এখনো গুম, হত্যা, নির্যাতন বন্ধ হয়নি। সাম্প্রতিক হিন্দুত্ববাদী উগ্র সংগঠনের অপতৎপরতা বৃদ্ধির কারণে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের আশংকা সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসনকে এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সরকারকে অবশ্যই অন্যায়ের বিপক্ষে ও ন্যায়ের পক্ষে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করতে হবে।
খেলাফত মজলিসের ৬ দফা দাবিসমূহ:
১। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও উক্ত আদেশের উপর আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করা
২। আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উচ্চ কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা
৩। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা
৪। ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল জুলুম নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা
৫। ফ্যাসিবাদী দল ও দোসরদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থগিত
৬। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগে ব্যবস্থা গ্রহণ।