প্রভুভক্ত প্রাণীর নাম কুকুর। বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবেও কুকুরের খ্যাতি আছে। নেপালের কুকুর প্রেমী মানুষেরা বিশ্বস্ত এই প্রাণীটিকে ভালোবাসার নমুনা হিসেবে একটি উৎসব পালন করে, যার নাম ‘কুকুর তিহার’। এই উৎসবে পোষ্য এবং সার্ভিস ডগ, উভয়কেই মালা, খাবার এবং সিঁদুর দিয়ে সম্মান জানানো হয়। নেপাল পুলিশ কাইনাইন ডিভিশনে কুকুরদের পদকও দেওয়া হয়।

কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে ‘কুকুর তিহার’ অনুষ্ঠিত হয়। কুকুর তিহারে নেপালের ঘরে ঘরে আর পথে পথে সাজানো-গোছানো কুকুরদের দেখা মেলে।  কোনোটির মাথায় টিকা, কোনোটিকে সাজানো হয় ফুল দিয়ে, কুকুরদের জন্য স্পেশাল খাবারের আয়োজন করা হয়। এদিন পথকুকুরদের জন্যও থাকে খাবারের ব্যবস্থা।

আরো পড়ুন:

নেপালের রাজনৈতিক উত্থান-পতনের ইতিহাস

নেপালে থাকা বাংলাদেশিদের ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ

 হিন্দু ধর্মমতে, কুকুরকে মনে করা হয় মৃত্যুর দেবতা বা যমের দূত। কুকুর আত্মার পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করে। এই বিশ্বাস থেকেই শতাব্দী ধরে চলে আসছে ‘কুকুর তিহার’। দেবতার দূত হিসেবে নয়, বরং বিশ্বস্ত সঙ্গী হিসেবে কুকুরদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেই নেপালের এই দিনটিকে এত বিশেষ করে তোলে।
পুরাণে বলা হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি কুকুরকে স্নেহ করে, যম তাকে আশীর্বাদ দেন এবং মৃত্যুর পর আত্মার নিরাপদ পথ নিশ্চিত হয়’। 

নেপাল ছাড়াও ভারতের কিছু কিছু জায়গায় ‘কুকুর তিহার’ পালিত হয়।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ছবি: ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে সাহিত্যের উৎসবে শামিল সবাই

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে যে একটা উৎসব চলছে, ক্যাম্পাসে ঢুকেই তা টের পাওয়া গেল। বলছি ‘ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি লিট-কার্নিভাল ২০২৫ ’-এর কথা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ইংরেজি বিভাগের এ আয়োজনে অংশ নিয়েছে দেশের ২২টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৬ অক্টোবর দিনব্যাপী চলা এ আয়োজনের অন্যতম সহযোগী ছিল ‘স্বপ্ন নিয়ে’।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী। পরে তিনি উৎসব উপলক্ষে বসানো স্টলগুলোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

উৎসবকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর ছিল পুরো ক্যাম্পাস। সাহিত্য রচনা, শৈল্পিক উদ্ভাবন এবং সৃজনশীল কাজকে উৎসাহিত করতে উৎসবে ছিল বর্ণিল নানা আয়োজন। স্পট পোয়েট্রি ও আবৃত্তি, কমিক-কন ও কসপ্লে, পোস্টার প্রদর্শনী এবং নাটক—এই চার বিভাগে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিযোগিতা। অংশ নেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা দুই শর বেশি শিক্ষার্থী। প্রতিযোগিতাগুলো অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুর এলাহী মিলনায়তনে।

নটর ডেম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী অদিতি সরকার। নাটক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে তাঁদের ১০ জনের দল। নাটকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের মুক্তির চেতনাকে তুলে ধরতে চেয়েছেন তাঁরা। অদিতি বলেন, ‘আমাদের নাটকের নাম মুক্তি। আমরা এখানে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের বিভিন্ন লেখায় “মুক্তি” শব্দটির যে অনুপ্রেরণা, তারই সম্মিলন ঘটাতে চেয়েছি।’ অদিতি জানান, ইংরেজি ক্লাবের শিক্ষার্থীরা মিলে এক সপ্তাহের অনুশীলনে নাটকটি মঞ্চস্থ করেছেন।

আরও পড়ুনইস্ট ওয়েস্টের উপাচার্য: এটা শুধুই আরও একটি চাকরি নয়২০ ডিসেম্বর ২০২৩

উৎসব উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণজুড়ে বসেছিল ছোট ছোট স্টল। স্টলগুলোয় খাবার, গয়না, সুগন্ধী কিনতে ভিড় করে শিক্ষার্থীরা। পুরোনো বই বিনিময়ের জন্যও ছিল আলাদা স্টল। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রাহাত হোসেন বন্ধুদের নিয়ে ঘুরছিলেন স্টলে স্টলে। তিনি বলেন, ‘সকালে ক্লাস ছিল, তাই একটু দেরি হয়ে গেল। স্টলগুলো ভালো লেগেছে, তবে খেলার স্টলে যাওয়া এখনো বাকি। সব কটিই ঘুরে দেখব।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফারমিনের হ্যাটট্রিকে বার্সার গোল উৎসব
  • এক ঘন্টায় ২০ লাখ রিয়্যাক্ট! প্রথমবার কন্যার মুখ দেখালেন দীপিকা–রণবীর
  • পূজামণ্ডপে যেন ধ্বণিত হচ্ছে গাজার শিশুদের আর্তনাদ
  • রাঙামাটিতে গুর্খা সম্প্রদায়ের ‘ভৈল-ঢেওসি’ উৎসব
  • বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ক্রীড়া আনন্দ উৎসব
  • দীপাবলি: অন্ধকারের বিরুদ্ধে আলোর উৎসব
  • আন্দোলনরত শিক্ষকদের ভুখা মিছিল
  • মোরাল প্যারেন্টিং বৃত্তি পেল অর্ধশতাধিক ইবি শিক্ষার্থী
  • ছবি: ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে সাহিত্যের উৎসবে শামিল সবাই