মেসির বার্সায় ফেরার সম্ভাবনাকে ‘অবাস্তব’ বললেন লাপোর্তা
Published: 13th, November 2025 GMT
ক্যাম্প ন্যুতে লিওনেল মেসির দাঁড়িয়ে থাকার ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার থেকেই পুরোনো সেই আশাটা অনেকের মনে দানা বেঁধে উঠছে। মেসি যদি ফিরতেন বার্সেলোনায়! কিন্তু সে আশার গুড়েবালি। বার্সার সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা বলেছেন, খেলোয়াড় হিসেবে মেসির বার্সায় ফেরাটা ‘বাস্তবসম্মত নয়’।
আর্জেন্টিনা দল প্রীতি ম্যাচের প্রস্তুতিতে স্পেনে অনুশীলন করছে। মেসিও তাই স্পেনেই অবস্থান করছেন। গত রোববার রাতে অনেকটা গোপনেই বার্সার মাঠ ক্যাম্প ন্যুতে গিয়েছিলেন মেসি। সেখানে কিছু ছবি তুলে পোস্ট করেন নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে। ক্যাপশনে লেখেন, ‘গত রাতে আমি ফিরে গিয়েছিলাম এমন এক জায়গায়, যেটাকে আমি মনেপ্রাণে মিস করি। এমন এক জায়গা, যেখানে আমি অসম্ভব সুখে ছিলাম। যেখানে তোমরা সবাই আমাকে অনুভব করিয়েছিলে যে আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ। আশা করি একদিন আবার ফিরতে পারব, শুধু খেলোয়াড় হিসেবে বিদায় জানাতে নয়, বরং যেমনটা আগে কখনো পারিনি.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফেসবুকে প্রেম, গোপনে বিয়ে, এরপর হত্যার ঘটনায় ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড
ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্রে প্রেম। পরে বন্ধুদের উপস্থিতিতে ব্যাংক কর্মকর্তা রেজাউল করিম রেজার সঙ্গে বিয়ে হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) শিক্ষার্থী জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকার। বিয়ের দুই বছর পরে জন্মদিন পালনের কথা বলে তাঁকে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যান রেজাউল। সম্পর্ক নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে জান্নাতুলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন তিনি।
প্রায় তিন বছর আগের এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার রেজাউলের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। জান্নাতুলের বাবা শফিকুল আলমের করা মামলায় এই রায় দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. সাব্বির ফয়েজ। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি রেজাউলকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে এ মামলায় গত ২২ মে হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর পলাতক রয়েছেন আসামি রেজাউল।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন জানান, আদালত তাঁর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে সেখানে গাইনি অ্যান্ড অবস বিষয়ে একটি কোর্সে অধ্যয়নরত ছিলেন জান্নাতুল। ২০১৯ সালের শেষের দিকে রেজাউলের সঙ্গে তাঁর প্রেম হয়। ২০২০ সালের ৭ অক্টোবর বন্ধুদের উপস্থিতিতে তাঁরা বিয়ে করেন। বিয়ের পরদিন উভয়ে পরিবারকে বিষয়টি জানান। উভয়ের পরিবার জান্নাতুলের বড় বোনের বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়ে অপেক্ষা করতে সম্মত হয়।
মামলার নথিতে আরও বলা হয়েছে, রেজা মাঝেমধ্যে জান্নাতুলদের বাসায় যেতেন। আবার কখনো হোটেলে একসঙ্গে থাকতেন। ২০২২ সালের ১০ অগাস্ট জান্নাতুলের জন্মদিন পালনের জন্য রাজধানীর পান্থপথের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যান রেজাউল। সেখানে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কথা–কাটাকাটি, বাগ্বিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে জান্নাতুলকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করেন তিনি। পরে গলা কেটে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
ঘটনার পরদিন ১১ আগস্ট রেজাউলকে আসামি করে কলাবাগান থানায় হত্যা মামলা করেন জান্নাতুলের বাবা শফিকুল আলম।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পান কলাবাগান থানার পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ মাহফুজুল কবির। ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর রেজাউলকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তিনি। ২০২৪ সালের ৭ মার্চ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।
আসামি পলাতক হওয়ায় রায়ের সময় আজ তাঁর পক্ষে কোনো আইনজীবীও উপস্থিত ছিলেন না।