মুঠোফোনের ওপর শুল্ক–কর কমাতে এনবিআরকে বিটিআরসির চিঠি
Published: 9th, November 2025 GMT
প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশে স্মার্টফোনের দাম অনেক বেশি। ফলে স্মার্টফোনের ব্যবহারকারীও কম। আবার অবৈধভাবে আসা ফোনের বাজারও বড়। ফলে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। স্মার্টফোন ব্যবহারের হার কম হওয়া এবং অবৈধ ফোনের বাজার বড় হওয়ার অন্যতম কারণ সরকারের উচ্চহারে শুল্ক ও ভ্যাট আরোপ। এসব কথা জানিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) শুল্ক-কর কমানোর অনুরোধ করে চিঠি দিয়েছে।
৫ নভেম্বর এনবিআরকে এ–সংক্রান্ত এক চিঠি দিয়েছে বিটিআরসি। চিঠিতে সরকারের রাজস্ব রক্ষা, অবৈধ মুঠোফোনের অনুপ্রবেশ রোধে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন রেজিস্টারের (এনইআইআর) চালু করতে মুঠোফোন আমদানি ও উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শুল্ক ও ভ্যাট কমানো এবং বাজারে বিদ্যমান অননুমোদিত মুঠোফোনকে বৈধকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চেয়েছে কমিশন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
বিটিআরসি বলেছে, বাংলাদেশ ২০১৮ সাল থেকে ফোর-জি প্রযুক্তির যুগে প্রবেশ করলেও দেশে স্মার্টফোন ব্যবহারের হার এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের (শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ভারত, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া প্রভৃতি) তুলনায় কম। এ হার আনুমানিকভাবে ৬৩ শতাংশ। অর্থাৎ দেশের ৩৭ শতাংশ জনগণ ফোর-জি নেটওয়ার্কের মধ্যে বাস করেও স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারছেন না। তাই তাঁরা ইন্টারনেটের ব্যবহারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
স্মার্টফোনের ব্যবহার বাড়াতে এনইআইআর বাস্তবায়ন এবং মুঠোফোনের শুল্ক ও ভ্যাট কমানো অন্যতম উদ্যোগ বলে উল্লেখ করেছে বিটিআরসি।
বিটিআরসি বলেছে, শুল্ক ও ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে মুঠোফোন এসে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফোনের বাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এনবিআরের তথ্য অনুসারে, সরকার এ খাতে অন্তত দুই হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে এনইআইআর চালু হবে। এ ব্যবস্থায় শুধু অনুমোদিত ও বৈধভাবে আমদানি করা মুঠোফোন ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহকেরা সেবা পাবেন। ভবিষ্যতে অবৈধ বা ক্লোন আইএমইআই ফোন নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হতে পারবে না।
বিটিআরসি বলছে, বর্তমানে বাংলাদেশে মুঠোফোন উৎপাদন ও আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক এবং উৎপাদিত পণ্যের মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বেশি। ফলে মুঠোফোনের মূল্য অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। তাই এ ক্ষেত্রে এনবিআরের কার্যকর ভূমিকার মাধ্যমে শুল্কহার যৌক্তিকভাবে পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ রয়েছে। মুঠোফোন উৎপাদনে আমদানি করা যন্ত্রাংশের শুল্ক ও প্রযোজ্য অন্যান্য ভ্যাট কমানোর জন্য বিটিআরসি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাধ্যমে এনবিআরকে চিঠি দিয়েছে।
বিটিআরসি জানিয়েছে এবং এনবিআরের চেয়ারম্যানের সঙ্গে তাদের চেয়ারম্যান এক বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন।
শুল্ক কত
বর্তমানে বিদেশ থেকে আমদানি করা মুঠোফোনের আমদানি শুল্কও অনেক বেশি, যা প্রায় ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশ বলে জানিয়েছে বিটিআরসি। সংস্থাটি বলছে, মুঠোফোন আমদানিতে বিদ্যমান উচ্চ আমদানি শুল্ক কমানো প্রয়োজন। তাই দেশে উৎপাদিত ও আমদানি করা ফোনের ওপর শুল্ক ও ভ্যাট কমানোর উদ্যোগ গ্রহণ করলে তা এমনভাবে সমন্বয় করতে হবে, যাতে স্থানীয় খাতের স্বার্থ রক্ষা হয়।
দেশের বাজারে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক অবৈধ স্মার্টফোন ঢুকেছে উল্লেখ করে বিটিআরসি বলেছে, এনইআইআর কার্যকর হলে এসব ফোনের বড় একটি অংশ অবিক্রীত থেকে যাবে, যা পরবর্তী সময়ে দেশের নেটওয়ার্কে ব্যবহারের সুযোগ থাকবে না। বিশাল আর্থিক লোকসান থেকে রক্ষা পেতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিটিআরসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে।
এ ক্ষেত্রে বিটিআরসি বলেছে, বিটিআরসি এসব ফোনকে ডেটাবেজে যুক্ত করতে পারবে। সে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শুল্কায়নের বিষয়ে এনবিআরের মতামতসহ সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।
তিন বিষয়ে মত চায় বিটিআরসি
বিটিআরসি তিনটি বিষয়ে এনবিআরের কাছে মতামতসহ সিদ্ধান্ত চেয়েছে—স্বল্প ও যৌক্তিক সময় দিয়ে দেশের ভেতরে প্রবেশ করা অননুমোদিত মুঠোফোন বিটিআরসির ডেটাবেজে সংযুক্ত করা হলে সে বিষয়ে প্রযোজ্য শুল্কায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত; দেশে উৎপাদিত স্মার্টফোন এবং বিদেশ থেকে আমদানি করা মুঠোফোনের ক্ষেত্রে শুল্ক ও ভ্যাট কমানোর আশু ব্যবস্থা। এ ছাড়া বিদেশ থেকে আমদানি করা এবং দেশে অভ্যন্তরে তৈরি মুঠোফোনের শুল্কের মধ্যে সামঞ্জস্য আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
মুঠোফোন উৎপাদন–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশের বাজারে একটি ফোন উৎপাদনে ২০ থেকে ২২ শতাংশ কাস্টম শুল্ক ও ভ্যাট দিতে হয়। দেশের বাজারের অর্ধেকই অবৈধ ফোনের দখলে। দেশে ১৮টির মতো ফোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বছরে ১ কোটি ফিচার ফোন ও ৯০ লাখের মতো স্মার্টফোন উৎপাদন হয়।
মুঠোফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এমআইওবি) সহসভাপতি রেজওয়ানুল হক প্রথম আলোকে বলেন, সরকার যদি দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা করে, তাহলে শুল্ক ও ভ্যাট কমাতে হবে। সরকার এখন যে রাজস্ব হারাচ্ছে, সে রাজস্বও পাবে। তিনি বলেন, ফোনের দাম অনুযায়ী সরকার শুল্ক ও ভ্যাটের হার নির্ধারণ করতে পারে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ল ক ও ভ য ট কম ন ফ ন ব যবহ র ব যবহ র র এনব আর র ব ট আরস ব যবস থ উৎপ দ ত কম ন র সরক র আমদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
মুঠোফোনের ওপর শুল্ক–কর কমাতে এনবিআরকে বিটিআরসির চিঠি
প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশে স্মার্টফোনের দাম অনেক বেশি। ফলে স্মার্টফোনের ব্যবহারকারীও কম। আবার অবৈধভাবে আসা ফোনের বাজারও বড়। ফলে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। স্মার্টফোন ব্যবহারের হার কম হওয়া এবং অবৈধ ফোনের বাজার বড় হওয়ার অন্যতম কারণ সরকারের উচ্চহারে শুল্ক ও ভ্যাট আরোপ। এসব কথা জানিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) শুল্ক-কর কমানোর অনুরোধ করে চিঠি দিয়েছে।
৫ নভেম্বর এনবিআরকে এ–সংক্রান্ত এক চিঠি দিয়েছে বিটিআরসি। চিঠিতে সরকারের রাজস্ব রক্ষা, অবৈধ মুঠোফোনের অনুপ্রবেশ রোধে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন রেজিস্টারের (এনইআইআর) চালু করতে মুঠোফোন আমদানি ও উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শুল্ক ও ভ্যাট কমানো এবং বাজারে বিদ্যমান অননুমোদিত মুঠোফোনকে বৈধকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চেয়েছে কমিশন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
বিটিআরসি বলেছে, বাংলাদেশ ২০১৮ সাল থেকে ফোর-জি প্রযুক্তির যুগে প্রবেশ করলেও দেশে স্মার্টফোন ব্যবহারের হার এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের (শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ভারত, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া প্রভৃতি) তুলনায় কম। এ হার আনুমানিকভাবে ৬৩ শতাংশ। অর্থাৎ দেশের ৩৭ শতাংশ জনগণ ফোর-জি নেটওয়ার্কের মধ্যে বাস করেও স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারছেন না। তাই তাঁরা ইন্টারনেটের ব্যবহারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
স্মার্টফোনের ব্যবহার বাড়াতে এনইআইআর বাস্তবায়ন এবং মুঠোফোনের শুল্ক ও ভ্যাট কমানো অন্যতম উদ্যোগ বলে উল্লেখ করেছে বিটিআরসি।
বিটিআরসি বলেছে, শুল্ক ও ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে মুঠোফোন এসে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফোনের বাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এনবিআরের তথ্য অনুসারে, সরকার এ খাতে অন্তত দুই হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে এনইআইআর চালু হবে। এ ব্যবস্থায় শুধু অনুমোদিত ও বৈধভাবে আমদানি করা মুঠোফোন ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহকেরা সেবা পাবেন। ভবিষ্যতে অবৈধ বা ক্লোন আইএমইআই ফোন নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হতে পারবে না।
বিটিআরসি বলছে, বর্তমানে বাংলাদেশে মুঠোফোন উৎপাদন ও আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক এবং উৎপাদিত পণ্যের মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বেশি। ফলে মুঠোফোনের মূল্য অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। তাই এ ক্ষেত্রে এনবিআরের কার্যকর ভূমিকার মাধ্যমে শুল্কহার যৌক্তিকভাবে পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ রয়েছে। মুঠোফোন উৎপাদনে আমদানি করা যন্ত্রাংশের শুল্ক ও প্রযোজ্য অন্যান্য ভ্যাট কমানোর জন্য বিটিআরসি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাধ্যমে এনবিআরকে চিঠি দিয়েছে।
বিটিআরসি জানিয়েছে এবং এনবিআরের চেয়ারম্যানের সঙ্গে তাদের চেয়ারম্যান এক বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন।
শুল্ক কত
বর্তমানে বিদেশ থেকে আমদানি করা মুঠোফোনের আমদানি শুল্কও অনেক বেশি, যা প্রায় ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশ বলে জানিয়েছে বিটিআরসি। সংস্থাটি বলছে, মুঠোফোন আমদানিতে বিদ্যমান উচ্চ আমদানি শুল্ক কমানো প্রয়োজন। তাই দেশে উৎপাদিত ও আমদানি করা ফোনের ওপর শুল্ক ও ভ্যাট কমানোর উদ্যোগ গ্রহণ করলে তা এমনভাবে সমন্বয় করতে হবে, যাতে স্থানীয় খাতের স্বার্থ রক্ষা হয়।
দেশের বাজারে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক অবৈধ স্মার্টফোন ঢুকেছে উল্লেখ করে বিটিআরসি বলেছে, এনইআইআর কার্যকর হলে এসব ফোনের বড় একটি অংশ অবিক্রীত থেকে যাবে, যা পরবর্তী সময়ে দেশের নেটওয়ার্কে ব্যবহারের সুযোগ থাকবে না। বিশাল আর্থিক লোকসান থেকে রক্ষা পেতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিটিআরসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে।
এ ক্ষেত্রে বিটিআরসি বলেছে, বিটিআরসি এসব ফোনকে ডেটাবেজে যুক্ত করতে পারবে। সে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শুল্কায়নের বিষয়ে এনবিআরের মতামতসহ সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।
তিন বিষয়ে মত চায় বিটিআরসি
বিটিআরসি তিনটি বিষয়ে এনবিআরের কাছে মতামতসহ সিদ্ধান্ত চেয়েছে—স্বল্প ও যৌক্তিক সময় দিয়ে দেশের ভেতরে প্রবেশ করা অননুমোদিত মুঠোফোন বিটিআরসির ডেটাবেজে সংযুক্ত করা হলে সে বিষয়ে প্রযোজ্য শুল্কায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত; দেশে উৎপাদিত স্মার্টফোন এবং বিদেশ থেকে আমদানি করা মুঠোফোনের ক্ষেত্রে শুল্ক ও ভ্যাট কমানোর আশু ব্যবস্থা। এ ছাড়া বিদেশ থেকে আমদানি করা এবং দেশে অভ্যন্তরে তৈরি মুঠোফোনের শুল্কের মধ্যে সামঞ্জস্য আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
মুঠোফোন উৎপাদন–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশের বাজারে একটি ফোন উৎপাদনে ২০ থেকে ২২ শতাংশ কাস্টম শুল্ক ও ভ্যাট দিতে হয়। দেশের বাজারের অর্ধেকই অবৈধ ফোনের দখলে। দেশে ১৮টির মতো ফোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বছরে ১ কোটি ফিচার ফোন ও ৯০ লাখের মতো স্মার্টফোন উৎপাদন হয়।
মুঠোফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এমআইওবি) সহসভাপতি রেজওয়ানুল হক প্রথম আলোকে বলেন, সরকার যদি দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা করে, তাহলে শুল্ক ও ভ্যাট কমাতে হবে। সরকার এখন যে রাজস্ব হারাচ্ছে, সে রাজস্বও পাবে। তিনি বলেন, ফোনের দাম অনুযায়ী সরকার শুল্ক ও ভ্যাটের হার নির্ধারণ করতে পারে।