কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া বিএনপির আলোচিত নেতা ফজলুর রহমান বলেছেন, ‘অনেকে বলেছিল, আমি নাকি মনোনয়ন পাব না। আপনারাও শঙ্কার মধ্যে ছিলেন। আমি আজকে বলতে চাই, জামায়াত শত শত কোটি টাকা খরচ করেছে আমার বিরুদ্ধে। চেষ্টা করেছিল দল থেকে আমাকে একেবারে বহিষ্কার করে দেওয়ার জন্য।’

আজ রোববার দুপুরে ইটনা উপজেলা বিএনপির কর্মী সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ইটনা ডাকবাংলোর সামনে এ কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমার দল বিএনপি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দেশনায়ক তারেক রহমান আমাকে মনোনয়ন দিয়ে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রামের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি যে সম্মান দেখিয়েছেন, সে জন্য আমি কৃতজ্ঞ।

আমি জানতাম আমার দল আমাকেই মনোনয়ন দেবে। আমার বিরুদ্ধে দেশ-বিদেশে অনেক অপপ্রচার ছিল। আজকে আমি মনোনয়ন নিয়ে এসেছি। আমি যদি নির্বাচিত হতে পারি, তাহলে এলাকার ভাগ্য বদলে দেব।’

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী আমাকে টাইটেল দিয়েছে ফজু পাগলা। আমাকে ফজু পাগলা উপাধি দেওয়ার জন্য তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই। আপনারা জানেন, কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদকে মানুষ অনেক সম্মান করে।

কোটি কোটি টাকা পাগলা মসজিদে মানুষ দান করে। তাহলে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদ এলাকার সন্তান ফজু পাগলার সম্মান কত? তাই যাঁরা আমাকে এই উপাধি দিয়েছেন, তাঁদের আমি ধন্যবাদ জানাই।’

ইটনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ফজলুর রহমানের স্ত্রী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি উম্মে কুলসুম, ইটনা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক স্বপন ঠাকুর, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো.

মনির উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পলাশ রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র ফজল র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা

যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রাশিদা রহমান।

রবিবার (৯ নভেম্বর) আদালতে তিনি মামলা দায়ের করলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শান্তনু কুমার মণ্ডল অভিযোগটি আমলে নিয়ে ডিবি পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. আব্দুল্লাহ।

আরো পড়ুন:

সিদ্ধিরগঞ্জে মাইক্রোবাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

জঙ্গলে নবজাতকের মরদেহ, যুবকের বিরুদ্ধে মামলা

মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, রাশিদা রহমান দলীয় সভানেত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দেলোয়ার হোসেন খোকন রাজনৈতিকভাবে বাদীকে হেয় করার জন্য বিভিন্ন সময় অপমান, অপদস্ত ও মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে আসছেন। বাদী তা মুখ বুজে সহ্য করে আসছিলেন।

এর মধ্যে শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে যশোর রেড ক্রিসেন্ট অফিসের দ্বিতীয় তলায় আয়োজিত সভা শুরুর আগে কথাবার্তার এক পর্যায়ে সবার সামনে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেন দেলোয়ার হোসেন খোকন। এ সময় তিনি বাদীর ছেলেকে নিয়েও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন এবং নানা ধরনের হুমকি ধামকি দেন।

পরে আশপাশের লোকজন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় বাদী সবার সামনে লজ্জিত হয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এতে তার মানহানি হয়েছে উল্লেখ করে দেলোয়ার হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে আদালতে এ মামলা করেন তিনি।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, “তিনি  বড় বোন। হয়তো মেজাজ হারিয়ে মামলাটি করেছেন। মামলা করার অধিকার সবার রয়েছে। তিনি আইনের আশ্রয় নিয়েছেন, আমিও আইনি উপায়ে বিষয়টির সমাধান চাই।”

ঢাকা/রিটন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ