বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক আরো জোরদারে আশাবাদী
Published: 9th, November 2025 GMT
নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন পাকিস্তান নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফ। সফর শেষে আগামী ১২ নভেম্বর তার বাংলাদেশ ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
রবিবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী সদর দপ্তরে পাকিস্তান নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফ এসে পৌঁছালে নৌবাহিনী প্রধান নাজমুল হাসান তাকে স্বাগত জানান।
আরো পড়ুন:
নির্বাচন হলে দেশ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে: সেনাসদর
‘নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বহাল থাকবে’
এ সময় বাংলাদেশে নৌবাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল তাকে গার্ড অব অনার দেয়। তিনি গার্ড পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন। পরে তারা সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।
রবিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর)।
তারা জানায়, সাক্ষাৎকালে উভয় দেশের নৌবাহিনী প্রধান পারস্পরিক কুশল বিনিময় করেন। এ সময় দুই দেশের নৌবাহিনীর মধ্যকার পেশাগত ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়া বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্ক আরো জোরদার করার লক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সাক্ষাতকালে পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রতিনিধিদল, পাকিস্তান হাইকমিশনার, ডিফেন্স অ্যাটাশে, নৌবাহিনী সদর দপ্তরের পিএসও ও উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে পাকিস্তান নৌবাহিনী প্রধান শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে একাত্তরের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শাহাদৎ বরণকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
সেনাপ্রধানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ
পাকিস্তান নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সেনাসদরে সেনাবাহিনী প্রধানের জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাৎকালে, পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি তারা দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা আরো জোরদার এবং পারস্পরিক সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করার বিষয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া, যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও পরিদর্শনের মাধ্যমে সামরিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের সম্ভাবনা নিয়েও তাঁরা মতবিনিময় করেন।
অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফ ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে করাচি এবং উত্তর আরব সাগরে অনুষ্ঠিত যৌথ অনুশীলন AMAN এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণকারীদের পেশাদারিত্বের ভুয়সী প্রশংসা করেন।
আইএসপিআর আরো জানায়, পাকিস্তান নৌবাহিনী প্রধান বাংলাদেশ সফরকালে বিমানবাহিনীর প্রধান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, কমান্ড্যান্ট ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ ও চট্টগ্রামের নৌ প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
একই সময় পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ ‘পিএনএস সাইফ’ শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রামে এসেছে। জাহাজের অধিনায়কসহ অন্য কর্মকর্তা ও নৌ সদস্যরা চট্টগ্রামে বাংলাদেশ নেভাল একাডেমি, নৌবাহিনীর ঘাঁটি ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করবেন।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরাও পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ ‘পিএনএস সাইফ’ পরিদর্শন করবেন। এতে উভয় দেশের নৌ সদস্যরা পেশাগত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ লাভ করবেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স জন য স ক ষ ৎ করব ন
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ পিএনএস সাইফ
চার দিনের শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ পিএনএস সাইফ। শনিবার চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছালে চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের পক্ষ থেকে চিফ স্টাফ অফিসার জাহাজের কর্মকর্তা ও নাবিকদের স্বাগত জানান। এ সময় নৌবাহিনীর সুসজ্জিত বাদক দল ঐতিহ্যবাহী রীতি অনুযায়ী ব্যান্ড পরিবেশন করে।
জাহাজটিকে স্বাগত জানাতে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রতিনিধিসহ নৌবাহিনীর স্থানীয় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ বানৌজা স্বাধীনতা তাদের অভ্যর্থনা জানায়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশে অবস্থানকালে জাহাজটির অধিনায়ক, অন্যান্য কর্মকর্তাসহ একটি প্রতিনিধিদল কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চল, কামান্ডার বিএন ফ্লিট, এরিয়া সুপারিনটেনডেন্ট ডকইয়ার্ডের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবে। চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলে অবস্থানকালে জাহাজের অফিসার, নাবিক ও প্রশিক্ষণার্থীরা চট্টগ্রামের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান, নৌবাহিনীর জাহাজ ও ঘাঁটি পরিদর্শন করবেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও নাবিকেরাও পাকিস্তানের জাহাজটি পরিদর্শন করবেন।
পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজের বাংলাদেশ সফরের ফলে দুই দেশের মধ্যকার সৌহার্দ্যপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, শুভেচ্ছা সফর শেষে জাহাজটি ১২ নভেম্বর বাংলাদেশ ত্যাগ করবে।